বাটলারের প্রতিরোধ ভেঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার জয়’
ইংল্যান্ডের হারটা আগের দিনই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল যখন তারা ৮২ রানে হারিয়েছিল ৪ উইকেট। অ্যাডিলড টেস্টের শেষ দিন দেখার বিষয় ছিল ইংল্যান্ড কতোক্ষন ঠিকে থাকতে পারে আর অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা কতো দ্রুত বাকি ৬ উইকেট তুলে নিতে পারে। সেখানে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা ভালোই প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। যদিও তারা শেষ পর্যন্ত পারেনি। রিচার্ডসনের ক্যারিয়ারে ইনিংসে প্রথমবারের মতো ৫ উইকেটের সুবাদে ১৯২ রানে অলআউট হয়ে হার মেনেছে ২৭৫ রানে। ৫ টেস্টের অ্যাসেজ সিরিজে অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে গেলো ২-০ ব্যবধানে। ব্রিসবেনে অস্ট্রেলিয়া প্রথম টেস্ট জিতেছিল ৯ উইকেটে। সিরিজের তৃতীয় টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে বক্সিংডেতে ২৬ ডিসেম্ববর মেলবোর্নে।
গোলাপী বলের টেস্টে ইংল্যান্ডকে জয়ের জন্য ৪৬৮ রানের টার্গেট ছুড়ে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু সে চ্যালেঞ্জ মোটেই নিতে পারেনি তারা। চতুর্থ দিনই ৮২ রানে ৪ উইকেটে হারিয়ে খাদের কিনারায় চলে গিয়েছিল। পঞ্চম দিনের শুরুতেই ২ উইকেট হারিয়ে সে পরাজয়কে আরো তরান্তিব করে তুলেছিল। কিন্তু যতোটা সহজ মনে হয়েছিল, ততোটা হয়নি। অজিদের জয় পেতে শেষ সেশন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। অজিদের কঠিন পরীক্ষায় ফেলেছিলেন ব জস বাটলার। কিভাবে উইকেটে ঠিকে থাকতে হয় তার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তিনি স্থাপন করেন ২০৭ বল খেলে মাত্র ২৬ রান করে।
১০৬ রানে ষষ্ট ব্যাটসম্যান হিসেবে বেন স্টোকস ফিরে যাওয়ার পর উইকেটে দাঁড়িয়ে যান জস বাটলার ও ক্রিস ওয়াকস। দুই জনে আর কোনো উইকেটের পতন হতে না দিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যান। জয়ের পেছনে ছুটে নাগাল পাওয়া সম্ভব হবে না। তাই তারা ঠিকে থাকার দিকেই মনযোগি হন। জুটিতে রান বেশি আসেনি। ৬১ রান যোগ হয়। কিন্তু এতে দুই ব্যাটসম্যান ওভার খেলেছিলেন ৩১.২টি। ওয়াকস ৯৭ বলে ৪৪ রান করে রিচার্ডসনের শিকার হন। তিনি আউট হওয়ার পর পরবর্তিতে যে ব্যাটসম্যানই এসেছেন ঠিকে থাকার চেষ্টা করেছেন। আর এতে করে স্বাগতিক দলের বোলারদের জন্য কাজটা কঠিন হয়ে উঠে। জস বাটলারতো মাটি কামড়ে পড়ে ছিলেনই। অষ্টম উইকেট জুটিতে তিনি রবিনসনকে নিয়ে ১৪.২ ওভার পার করে দেন। রান আসে মাত্র ১২। রবিনসনকে ফিরিয়ে দেন লিয়ন। নবম উইকেট জুটিতে স্টুয়ার্ট ব্রডকে নিয়েও ছোট-খাট একটা প্রতিরোধ গড়ে তুলেন বাটলার। জুটিতে ৪ রানে আসে ৭.২ ওভার খেলে। এবার ভেঙ্গে যায় বাটলারের প্রতিরোধ। দলীয় ১৮২ রানে তিনি আউট হন মাত্য ২৬ রান করে। কিন্তু বলের ব্যবহার ছিল অকল্পনীয় ২০৭টি । উইকেটে ঠিকে ছিলেন ২৫৮ মিনিট। রিচার্ডসনের বলে দুভার্গ্য জনকভাবে হিট উইকেট আউট হয়ে যান তিনি। এভাবে আউট না হলে অজিদের কপালে চিন্তার ভাজ রেখা আরো গভীর হয়ে যেতো। কারণ যেভাবে তিনি খেলছিলেন তাতেক করে চা বিরতিও পার করে দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি ফিরে যাওয়ার পর ব্রæড ও অ্যান্ডারসনের শেষ জুটি ভাঙ্গতে অবশ্য খুব বেশি সময় নেননি অজি বোলাররা। ৩.১ ওভার পর্যন্ত স্থায়ীত্ব ছিল তাদের অবস্থান। অ্যান্ডারসনকে আউট করে রিচার্ডসন ক্যারিয়ারে প্রথমবারর মতো ইনিংসে ৫ উইকেট নেন ৪২ রান খরচ করে। ক্যারিয়ারে তৃতীয় টেস্টেই তিনি এই কৃতিত্ব দেখালেন। ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে করেছিল ২৩৬ রান। অস্ট্রেিিলয়া প্রথম ইনিংসে ৯ উইকেটে ৪ ৭৩ রান করে ইনিংস ঘোষণা করার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ৯ উইকেটে ২৩০ রান করে আবারো ইনিংস ঘোষণা করেছিল। ম্যাচ সেরা হয়েছেন ১০৩ ও ৫১ রানের ইনিংস খেলে অস্ট্রেলিয়ার মার্নস লাবুশান।