দেশের বাইরে ঈদে রুমানা-জাহানারা অভ্যস্ত
করোনার কারণে গত দুই বছর নাড়ির টানে বাড়ি যাওয়া হয়নি মানুষজনের। এবার করোনার মহামারি কমে যাওয়াতে মানুষ আবার ছুটছেন স্রোতের মতো নিজ নিজ ভিটায়। যাওয়া নিশ্চিত করতে ট্রেনের একটি টিকিটের জন্য কমলাপুর রেলস্টেশনে মানুষের রাত জাগা। সঙ্গে ছিল ভোগান্তি। কেউবা দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সোনার হরিণ টিকিট পেয়েছেন, কাউকে পুড়তে হয়েছে না পাওয়ার বেদনায়। বাসে-লঞ্চেও ছিল মানুষের ঘরে ফেরার তারা।
কিন্তু সেখানে ব্যতিক্রম বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দলের দুই সদস্য রুমানা আহমেদ ও জাহানার আলমের। তারাও কাপড় গুছিয়ে লাগেজে ভরেছেন। কিন্তু ঈদ করতে নিজ বাড়িতে যাওয়ার জন্য নয়, খেলার জন্য বিমান ধরতে দুবাই যেতে। ঢাকাপ্রকাশ-এর মাধ্যমে ইতিমধ্যে অনেকেই জেনে গেছেন এই দুই ক্রিকেটার বেসরকারি উদ্যোগে ফেয়ারব্রেক ফ্রাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি আসর খেলতে। রুমানা বার্মি আর্মিতে আর জাহানারা ফ্যালকনে খেলবেন।
খেলার কারণে ঈদ দেশের বাইরে করার অভ্যাস আছে দুই ক্রিকেটারের। এই আসরে খেলার জন্য অনেক আগে থেকেই তারা প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। দেশের বাইরে ঈদ করার একট মানসিক প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছেন। কিন্তু এবার ঠিক ঈদের আগে পরিবার-পরিজন ছেড়ে দেশের বাইরে যাওয়াতে কিছুটা হলেও মন খারাপ তাদের। ৩০ এপ্রিল তারা দেশ ছেড়ে দুবাই গিয়েছেন। বাংলাদেশ থেকেই কিনে নিয়ে গেছেন ঈদের নতুন জামাত।
জাহানার আলম বলেন, ‘খেলার কারণে এখন পর্যন্ত আমার ৪/৫টা ঈদ দেশের বাইরে করা হয়েছে। এবার ঈদকে সামনে রেখে যেতে হচ্ছে। তাই ইমোশনাল হয়ে পড়েছি। তবে খুশি আমি খেলার জন্যই যাচ্ছি। আমার সব ফোকাস খেলাকে ঘিরে। এখন আমার কাছে এটাই সবচেয়ে বেশি ইম্পর্টেন্ট। তারপরও নতুন জামা কিনেছি। এবারই প্রথম একটি মুসলিম দেশে ঈদ করব। আরও অনেক দেশের মুসলিমদের পাবো। এবারের ঈদ অন্য রকম অভিজ্ঞতা হবে। ছোট বেলার ঈদের মজাই ছিল আলাদা। বড় বেলার ঈদ অন্য রকম।’
রুমানা আহমেদ বেশ কয়েকট ঈদ দেশের বাইরে করেছেন জানিয়ে বলেন, ‘আমি এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকটা ঈদ দেশের বাইরে করেছি। সর্বশেষ খুব সম্ভবত চীনে ঈদ করেছিলোম। সেখানে আসলে ঈদের আমেজ সেভাবে বুঝা যায়নি। এবার যাচ্ছি মুসলিম দেশে। ঈদের আমেজ বুঝা যাবে। ভিন্ন রকম একটা অভিজ্ঞতা হবে। পরিবারের সবাইকে ছেড়ে যেতে কষ্ট লাগছে। কিন্তু করার কিছু নেই। ঈদের দিন পরার জন্য নতুন জামা এখান থেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছি।’
এমপি/এমএমএ/