জিম্বাবুয়ে ফেরত নারী ক্রিকেটার ১৯ জন ফিরলেন বাসায়
জিম্বাবুয়ে থেকে দেশে ফিরে আসা নারী ক্রিকেট দলের ১৯ জনই বাসায় ফিরে গেছেন। নেগেটিভ হওয়া সাপেক্ষে অমিক্রনে আক্রান্ত দলের বাকি তিন সদস্যও ২০ ডিসেম্বর বাসায় চলে যেতে পারবেন বলে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
আজ শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘১৯ জন চলে গেছে। এতে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। খুব শীঘ্রই আশা করছি পরশু বাকি তিনজন নেগেটিভ হয়ে চলে যেতে পারবে।’
অমিক্রনের কারণে মাঝপথে থেমে গিয়েছিল জিম্বাবুয়েতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে নারী বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের খেলা। এতে দারুণভাবে শুরু করা বাংলাদেশ দলের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। র্যাঙ্কিংয়ে পাঁচে থাকার সুবাদে প্রথমবারের মতো মূল পর্বে খেলার সুযোগ করে নেয় তারা। কিন্তু আনন্দের এই সংবাদ তাদের জন্য খুব বেশি সময় স্থায়ী হতে পারেনি। প্রথমেই দেশে ফেরা নিয়ে ভোগান্তির শিকার হন। একটির পর একটি ফ্লাইট বাতিল হতে থাকে। পরে তারা নামিবিয়া–ওমান হয়ে দেশে ফিরেন। জিম্বাবুয়ে থেকে আসার কারণে তাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিধি মেনে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হয়।
বিসিবির তত্ত্বাবধানে তাদেরকে রাখা হয়েছিল হোটেল সোনারগাওয়ে। নিয়ম মাফিক তাদের প্রথম দুইটি কোভিড টেস্ট নেগেটিভ আসে। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে শেষ পরীক্ষাতে গিয়ে। সবার নেগেটিভ আসবে মনে করে তাদের বিদায় জানাতে হোটেলে গিয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। কিন্তু সেখানে দুজনের রিপোর্ট আসে পজেটিভ। এতে করে তাদের আর বাসায় ফেরা হয়নি। বিসিবি সভাপতিও তাদের সঙ্গে দেখা না করে ফিরে যান। পরে এই
দুজনের রিপোর্ট আসে অমিক্রন। এরা দুজনই ছিলেন বাংলাদেশে অমিক্রন আক্রান্ত প্রথম। যে কারণে এই দুই ক্রিকেটারকে আইসোলেশনে রাখা হয়। বাকিদের রাখা হয় আলাদাভাবে। এর মাঝে আবার দলের আরেক সদস্য করোনা আক্রান্ত হন। এই তিনজনকে পরে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বাকিদের নিয়ে যাওয়া হয় মিরপুরে বিসিবির নিজস্ব আবাসিক ব্যবস্থায়। সেখানে কোয়ারেন্টিনের নির্দিষ্ট সময় শেষে তারা বাসায় ফিরে যান।
বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘যে দুজনের ওমিক্রন হয়েছিল তারা একই কক্ষে ছিল। আমাদের জৈব সুরক্ষা বলয়, কোয়ারেন্টিন বা আইসোলেশন এটা বেশ ভালোভাবেই কাজ করছে। যারা পাশের কক্ষে ছিল ওদের সংক্রমণ হয়নি।’
এমপি/এসআইএইচ