জাতীয় ক্রিকেটে ২৫ বছর পর সিলেট চ্যাম্পিয়ন
২৫ বছর পর জাতীয় ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সিলেট জেলা। বুধবার (২৭ এপ্রিল) কক্সবাজার একাডেমি মাঠে টানটান উত্তেজনার ফাইনালে সিলেট জেলা ২ উইকেটে রাজশাহী জেলাকে পরাজিত করে শিরোপা জয়ের আনন্দে মেতে উঠে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রাজশাহী ৯ উইকেটে ২৭০ রান করে।
জবাব দিতে নেমে সিলেট সেই রান অতিক্রম করে ৪৮.৫ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৭৪ রান করে। সিলেটের এটি ছিল চতুর্থ শিরোপা।
সিলেটের জয় ছিল অনেকটা অপ্রত্যাশিত। ২৭০ রান তাড়া করতে নেমে এক পর্যায়ে তারা ৯৫ রানে ৬ উইকেটে হারিয়ে হারের প্রহর গুনছিল। কিন্তু হার মানতে রাজি ছিলেন না ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় আবু বকর সিদ্দিক।
তিনি সপ্তম ও নবম উইকেট জুটিতে আহমেদ সাদিকুর রহমান ও অধিনায়ক মো. মাহবুব হাসানকে নিয়ে দুইটি জুটি গড়ে রাজশাহীর মুখের খাবারকেড়ে নেন। আবু বকর সপ্তম উইকেট জুটিতে সাদিকুরকে নিয়ে পাক্কা ১৯ ওভারে ৯৮ রানের জুটি গড়ে ক্রান্তিকাল অতিক্রম করে দলকে লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনেন।
সাদিকুর ৭০ বলে ৩৭ রান করে রকির বলে তারই হাতে ধরা পড়ে বিদায় নেওয়ার পরই সাইদুর রহমানও মাত্র ৩ রান করে ফিরে গেলে সিলেঠ আবার চাপে পড়ে।
তখন সিলেটের রান ৮ উইকেটে ২০৯। ওভার বাকি ৭.২টি। হাতে উইকেট ২টি। রান করতে হবে ৬২। কঠিন সমীকরন। কিন্তু এবারও ত্রাতা হয়ে হাজির হন আবু বকর। তিনি সঙ্গী হিসেবে পেয়ে যান অধিনায়ক মাহবুব হাসানকে। অধিনায়ক খেলেন ঝড়ো ইনিংস। আবু বকর দেন সঙ্গ। আর এভাবেই তারা জয়ের জন্য প্রয়োজনী ৬২ রান সংগ্রহ করেন ৬.১ ওভারে। জয় সূচক রান আসে মাহবুবের ব্যাট থেকে জনির বলে ছক্কায়। মাহবুব ১৮ বলে ১ ছক্কা ও ৪ বাউন্ডারিতে ৩৯ ও আবু বকর ৭৯ বলে ৩ ছক্কা ও ৮ চারে ৯৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। রাজশাহীর বাকের হোসেন ৪৯ রানে নেন ২ উইকেট।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে অভিষেখ মিত্রের ৮৯, অধিনায়ক রকির ৩৮, ইদ্রস আলীর ৩৪, মেহেদি হাসানের ৩২ রানে ভর করে ৯ উইকেটে ২৭০ রান করেছিল। সাদিকুর রহমান ৩৯ রানে ৩টি ও আবিদুল হক ৭৪ রানে নেন ২ উইকেট। সিলেটের আসাদুল্লাহ আল গালিব ৬ ম্যাচে ৪ হাফ সেঞ্চুরিতে ২৯১ রান ও ২ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন।
এমপি/এমএমএ/