নিউ জিল্যান্ডে কোয়ারেনটিন বাড়ল বাংলাদেশ দলের
নিউ জিল্যান্ডের পরিস্থিতি এমনিতেই কঠিন। সেই কঠিনেরে কখনো জয় করতে পারেনি বাংলাদেশ। যদিও চেষ্টার কোনো ত্রুটি ছিল না। পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে অনেক আগেই বাংলাদেশ দল গিয়ে হাজির হয়েছে নিউ জিল্যান্ডে। এটি ছাড়াও ছিল কোয়ারেনটিনের বিষয়।
দুই দেশের বোর্ড আলাপ করে সফরকারীদের কোয়ারেনটিন এক সপ্তাহ নামিয়ে এনেছিল। এরপর বাংলাদেশ দল নিউ জিল্যান্ডের পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে নিজেদের গা গরম করে নেবে। কিন্তু কোথায় কী?
দলের এক সদস্য স্পিন বোলিং কোচ লঙ্কান রঙ্গণা হেরাথ করোনায় আক্রান্ত হওয়ায়, দলের সব সদস্যকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আইসোলেশনে থাকতে হচ্ছে। অথচ তারপর দিনই দুই দিনের অনুশীলন ম্যাচ বাংলাদেশ দলের। যদিও ম্যাচটি নিজেরা নিজেরাই খেলবে। কিন্তু এখন যদি খেলতে হয় কোনো রকম অনুশীলন ছাড়াই খেলতে হবে!
৯ ডিসেম্বর নিউ জিল্যান্ড রওনা হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশ দলের সব কিছু ভালোই চলছিল। প্রথম দুই দফা সবার করোনা নেগেটিভ আসে। কিন্তু তৃতীয় দফায় গিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। করোনা পজেটিভ আসে হেরাথের। এদিকে বিমানে মুমিনুলসহ চার ক্রিকেটারের পাশের যাত্রীর করোনা পজেটিভ হলে তাদের কোয়ারেনটিন সময় বাড়ানো হয় ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ সময় চার ক্রিকেটারকে আলাদা করে রাখা হয়। দলের বাকি ক্রিকেটাররা জিম শুরু করেন।
অনুশীলনও শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু বৃষ্টির কারণে তা আর সম্ভব হয়নি। এর মাঝে খবর এল এখন গোটা দলের সবাইকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আইসোলেশনে থাকতে হবে। এ সময় কোনো কিছুই করা যাবে না। রঙ্গনা হেরাথের করোনা পজেটিভ আসার পর নিউ জিল্যান্ড স্বাস্থ্য বিভাগের দিক নির্দেশনা মানতে হচ্ছে এখন বাংলাদেশ দলকে।
এমপি/এসএন