সেঞ্চুরি বঞ্চিত ওয়ার্নার, অপেক্ষায় লাবুশান
অ্যাডিলেড টেস্টের প্রথম দিন নিজেদের করে নিয়েছে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। ওয়ার্নার ও লাবুশানের ব্যাটে করে দিন শেষে ভাণ্ডারে জমা করেছে ২ উইকেটে ২২১ রান। ওয়ার্নার সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়ে ৯৫ রানে আউট হলেও সেঞ্চুরির অপেক্ষায় থাকা লাবেশান আছেন ৯৫ রানে অপরাজিত। তার সঙ্গে ১১৮ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামবেন এই টেস্টে নেতৃত্ব পাওয়া স্টিভেন স্মিথ।
দিন শেষে অস্ট্রেলিয়া সুখের গান গাইলেও শুরুটা কিন্তু ছিল বিপজ্জনক। টেস্টর শুরুর আগে করোনা পজেটিভ ব্যক্তির কাছাকাছি থাকায় টেস্ট থেকে ছিটকে যান অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। তাকে ৭ দিনের আইসোলেশনে থাকতে হবে। সেখানে নেতৃত্ব পান বল টেম্পারিং কান্ডে নেতৃত্ব হারানো স্মিথ। টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর শুরুতেই বিপড়ে পড়তে হয়।
ওপেনার মারকুস হ্যারিস ফিরে যান দলীয় মাত্র ৪ রানে। তখন তার রান ছিল ৩। ক্রিস বর্ডের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ ধরেন জস বাটলার। এ সময় ইংল্যান্ডের বোলাররা দারুণ বল করছিলেন। যেকারণে অজি ব্যাটসম্যানরাও সাবধানে ব্যাটিং করতে থাকেন। এর সুফলও পান তার। ইংল্যান্ডের বোলারদের শুরুর ধকল সামরে উঠেন ওয়ার্নান ও লাবুশান। দুই জনেই ধীর গতিতে ব্যাটিং করার কারণে রান সংগ্রহে ছিল অনেক কম।
রান সংগ্রহে কেমন ধীর গতি ছিল তা বুঝা যায় অজিদের ইনিংসের দিকে দৃষ্টি ফেরালে। লাঞের সময় রান ছিল ২৫ ওভারে ১ উইকেটে মাত্র ৪৫। ওয়ার্নার ২০ ও লাবুশান ১৬। চা বিরতিতে রান ছিল সেই ১ উইকেটে ৫৩ ওভারে ১২৯। ওয়ার্নার ৬৫, লাবুশান ৫৩। ওয়ার্নার ১০৮ ও লাবুশান ১৫৬ বলে ফিফটি করেন। এক পর্যায়ে দুই জনেই সেঞ্চুরির দিকে ছুটতে থাকেন। ওয়ার্নার ছিলেন বেশথ এগিয়েভ। জুটিতে ১৭২ রান আসার পর ওয়ার্নার ৯৫ রানে আউট হয়ে গেলে আর সেঞ্চুরি করা হয়নি। স্টোকসের বলে ব্রড তার ক্যাচ ধরেন। তার ১৬৭ বলের ইনিংসে ছিল ১১টি চারের মার। ওয়ার্নার আউট হওয়ার সময় লাবেশানের রান ছিল ৭০। স্মিথ এসেও মাটি কামড়ে পড়ে থাকেন। দুই জনে দিনের বাকি সময় ২৪.৪ ওভার খেলে রান যোগ করেন মাত্র ৪৫। স্মিথ ৭১ বলে ১৮ রান করে শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) আবার ব্যাট করতে নামবেন। লাবেশান ২৭৫ বলে ৭ চারে ৯৫ রান নিয়ে তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করার চেষ্টা করবেন।
এমপি/এএস/এএন