ওয়েস্ট ইন্ডিজকে উড়িয়ে দিল পাকিস্তান
টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশকে হোয়াইট ওয়াশ করে দেশে ফিরে যায় পাকিস্তান। এবার নিজেদের মাঠে পাকিস্তান নেমেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ঘায়েল করতে।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে করাচিতে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জয় পেয়েছে ৬৩ রানে। আগে ব্যাট করে পাকিস্তান ৬ উইকেটে ২০০ রান করে। জবাব দিতে নেমে সফরকারীরা মাত্র ১৩৭ রানে অলআউট হয়ে যায়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দারুণ খেলতে থাকা পাকিস্তান একটি মাত্র ম্যাচ হেরে বিদায় নিয়েছিল। সেই ম্যাচটি ছিল সেমিফাইনাল। এরপর সেখান থেকেই তারা চলে আসে বাংলাদেশে।
টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে তারা বাংলাদেশকে তুলোধুনো করে ছাড়ে। বাদ যাচ্ছে না ওয়েস্ট ইন্ডিজও। দলের সাফল্য আসে খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের সমষ্টিতে। ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই ছিল অপ্রতিরোধ্য পাকিস্তান।
এখানে সবার আগে নাম আসবে রিজওয়ানের। চলতি বছর টি-টোয়েন্টি সংস্করণে আছে দুর্দান্ত ফর্মে। তার ব্যাট হেসেছে আবারও। ৫২ বলে খেলেন ৭৮ রানের ইনিংস। ছিল ১০টি চার।
হায়দারের ইনিংস ছিল টর্নেডো গতিতে। ৪৯ বলে ৪ ছক্কা ও ৬ চারে খেলেন ৬৮ রানের ইনিংস। তৃতীয় উইকেট জুটিতে এ দুই দিনে যোগ করেন ১০৫ রান। পরে নেওয়াজ ১০ বলে অপরাজিত ৩০ রানের ইনিংস খেললে পাকিস্তানের সংগ্রহ হয় আকাশ ছোঁয়া। টস হেরে ব্যাট করতে নামার পুরো ফায়দা তুলে নেয়। যদিও শুরুতেই দলপতি বাবর আজম ও ফখর জামানকে হারিয়েছিল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে নিয়মিত অনেক খেলোয়াড় ছিলেন না। আবার টার্গেট বিশাল। রান অতিক্রম করাটা তাদের জন্য কঠিনই! সেই কাজ আরও কঠিন করে তুলেন পাকিস্তানের পেসাররা। মোহাম্মদ ওয়াসিম ও সাদাব খানের তোপে পড়ে ইনিংসে একটিবারের জন্যও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে। বাড়তে থাকে হারের ব্যবধান।
সর্বোচ্চ ২৪ রান করেন স্মিথ। পাওয়েল ২৩ ও শেফার্ড ২১ রান করেন। ওয়াসিম ৪০ রানে নেন ৪ উইকেট। সাদাব ৩ উইকেট নিতে খরচ করেন ১৭ রান। ম্যাচ সেরা হয়েছেন হায়দার আলী। ৩ ম্যাচের সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে করাচিতেই।
এমপি/এসএন