এভাবে ম্যাচ হেরে নিগারের আফসোস

তীরে এসে তরি ডুবিয়ে হতাশায় নিমজ্জিত নিগার সুলতানারা। উইন্ডিজকে বাগে পেয়েও ধরাশায়ী করতে পারেননি। অল্পের জন্য হাত ফসকে বের হয়ে গেছে হার মেনেছে মাত্র ৪ রানে। আগে ব্যাট করে ৭০ রানে উইন্ডিজের ৭ উইকেট তুলে নেয়ার পর শেষ ৩ উইকেটে যোগ করে আরো ৭০ রান। পরের এই ৭০ রানই বাংলাদেশের কপাল পুড়ে। বাংলাদেশও ৮৫ রানে ৭ উইকেট হারিয়েছিল। শেষ ৩ উইকেটে যোগ করে ৪১ রান। শেষের দিকে নাহিদা চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু তাতে সফল হতে পারেননি। এমন ম্যাচ হাত ছাড়া হয়ে যাওয়াতে পরপর দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় প্ওায়া হয়নি। আফসোসে পুড়ছেন অধিনায়ক নিগার সুলাতান।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমি খুবই হতাশা। অনেক ক্লোজ একটা ম্যাচ ছিল। আরো দুই পয়েন্ট পাওয়ার অনেক বড় সুযোগ ছিল আমাদের। অনেক বড় একটা সুযোগ আমাদের হাতছাড়া হয়ে গেছে। এটার জন্য সবার মন খারাপ। আর মন খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দলকে এত অল্প রানে আটকে রাখার পর খুব কাছাকাছি গিয়ে এভাবে হারা। নাহিদা শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেছে, যদি আমাদের আরো একজন ব্যাটসম্যান সাপোর্ট দিলে হয়ে যেতো। ফলাফল ভিন্ন রকম হতে পারতো। এমনকি আমি যদি শেষ পর্যন্ত থাকতে পারতাম। আমি একটা জুটি গড়ার চেষ্টা করেছিলম। কিন্তু আমার আউট দলের জন্য ক্ষতি হয়ে যায়।’
টার্গেট ছিল কম। রানা তাড়ায় নিজেদের পরিকল্পনার কথা বলতে গিয়ে নিগার সুলতানা বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা ছিল ১০ ওভার করে ভাগ করে খেলার। আমাদের টার্গেট কম ছিল। কিন্তু আমরা চেয়েছিলাম যতো কম ওভারে ৩০/৩৫ ওভারের ভেতর খেলা শেষ করা। কারণ উইকেট মন্থর ছিল। শেষের দিকে উইকেটে হয়ে যায়। চাপ বেড়ে যায়। কিন্তু দ্রুত উইকেট পড়ে যাওয়াতে তারা পরিকল্পটনা বাস্তবায়ন করতে পারেননি। নিগার সুলতানা এখন এই ম্যাচ ভুলে পরের ম্যাচের দিকে দৃষ্টি দিতে চান। ২২ মার্চ বাংলাদেশ তাদের পঞ্চম ম্যাচ খেলবে ভারতের বিপক্ষে।
এমপি/
