দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশন নিয়ে ভাবছেন না ডমিঙ্গো
নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে নিউ জিল্যান্ডকে হারানোর (টেস্ট ম্যাচ) পর বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের অন্তরে থেকে ‘কন্ডিশন’ নামক ভূত দূর হয়ে গেছে। আগে যখনই বাংলাদেশ নিউ জিল্যান্ড খেলতে গিয়েছে সবার আগে জগদ্দল পাথরের মতো এই কন্ডিশন চাপ তৈরি করত! যে চাপে বিনা লড়াইয়ে হার মানত বাংলাদেশ।
কন্ডিশনকে জয় করে অন্তরে জন্ম নিয়েছে সাহস। যে সাহসে বলীয়ান হয়ে বাংলাদেশ এখন আর কন্ডিশনকে ভয় পায় না। ভয়কে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেওয়ার মতো শক্তি অর্জন করেছে। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশনে এখন শীত। ১৮ মার্চ ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে শুরু হতে যাওয়া দিনে আকাশ থাকবে মেঘাচ্ছন্ন। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের জন্য একটু কঠিনই। দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশন নামক জুজুকে পাত্তা দিতে নারাজ দলের কোচ রাসেল ডমিঙ্গো।
বুধবার (১৬ মার্চ) তিনি সংবাদ বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকাতে বছরের এই সময় অনেক বৃষ্টি হয়। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে শুক্রবারের আবহাওয়া ভালো থাকবে। ম্যাচটি দিবা-রাত্রির। যে কারণে মেঘলা আবহাওয়া খুব একটা ফ্যাক্টর হবে না। ম্যাচের উপর খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারবে বলেও মনে হয় না।’
নিউ জিল্যান্ডের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতেও বাংলাদেশের নেই কোনো জয়। এবার তারা কন্ডিশনকে জয় করে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশেষ কিছু উপহার দিতে চান ডমিঙ্গো।
তিনি বলেন, ‘এখানে আমরা আগে কোনো ম্যাচ জিততে পারিনি। এবারও আমার আন্ডারডগ। কিন্তু মনে রাখতে হবে ওয়ানডেতে আমরা অনেক দিন থেকে ভালো খেলছি। এটি আমাদের আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকা কয়েকদিন আগে ভারতের মতো দলকে এখানে হোয়াইটওয়াশ করেছে। কিন্তু যেহেতু আমরা আন্ডারডগ এটিই আমাদের অনুপ্রেরণা। এই অনুপ্রেরণা থেকে আমরা এখানে এমন কিছু করে দেখাতে চাই, যা আগে বাংলাদেশের কোনো দল করে দেখাতে পারেনি।’
সাকিব খেলব না খেলব না করেও শেষ পর্যন্তে দলের সঙ্গে এসে যোগ দেওয়াতে দলের ভারসাম্য তৈরি হয়েছে বলে জানান কোচ।
তিনি বলেন, ‘সাকিব দলে থাকা মানে একজন বাড়তি ব্যাটসম্যান ও বোলার পাওয়া। তারমতো বিশ্বমানের একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে দলে পাওয়া অনেক বড় শক্তি। সে এখানে আগেও খেলেছে। তাকে পেয়ে দলে ভারসাম্য তৈরি হয়েছে।
ডমিঙ্গো দলে সিনিয়র-জুনিয়র বিভাজন করতে চান না। তিনি মনে করেন দলের সাফল্যে সবারই অবদান আছে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে যেমন মিরাজ-আফিফ ভালো করেছে, তেমনি দ্বিতীয় ম্যাচে মুশফিক-সাকিব।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার কাছে সিনিয়র-জুনিয়র বলে কিছু নেই। আমরা কাছে সবাই ১১ জন খেলোয়াড়। এখানে কে সিনিয়র, কে জুনিয়র এটা মূখ্য নয়।’
এমপি/এমএমএ/