বসুন্ধরার জয়ের দিনে আবাহনী-শেখ জামালের ড্র
গতবার লিগে বসুন্ধরা, শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব ও আবাহনী লিমিটেড ছিল যথাক্রমে চ্যাম্পিয়ন, রানার্সআপ ও তৃতীয়। এই তিন দলই আজ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে মাঠে নেমেছিল। তিন দলই পেয়েছে ভিন্ন স্বাদ।
চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা পেয়েছে জয়। রানার্সআপ শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ড্র করেছে। আর তৃতীয় থাকা বর্তমান মৌসুমে ডাবল জয়ী আবাহনীও ড্র করেছে। বসুন্ধরা ৫-০ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে চট্টগ্রাম আবাহনীকে। রানার্সআপ শেখ জামাল ইনজুরির টাইমের গোলে সাইফের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছে। বসুন্ধরাকে লিগের প্রথম ম্যাচেই ২-১ গোলে হারিয়ে চমক সৃষ্টিকারী স্বাধীনতা সংঘ এবার আবাহনীকে রুখে দিয়েছে ১-১ গোলে। এ রকম ফলাফলে প্রথম ম্যাচেই হেরে পিছিয়ে পড়া বসুন্ধরা ষষ্ঠ রাউন্ড থেকে শীর্ষস্থান ফিরে পাওয়ার পাশাপাশি এবার সেই ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নিয়েছে। ৮ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২১। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আবাহনীর সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধান ৪। আবাহনীর পয়েন্ট ১৭। শেখ জামালের পয়েন্ট ১৬। হারলেও নিজেদের চার নম্বর স্থানের পরিবর্তন হয়নি চট্টগ্রাম আবাহনীর। একই অবস্থা সাইফ স্পোর্টিং ও স্বাধীনতা সংঘেরও। সাইফ আছে পাঁচে আর স্বাধীনতা সংঘ এগারতম স্থানে।
বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় স্বাগতিকরা চট্টগ্রাম আবাহনীকে নিয়ে রীতিমতো খেলেছে। প্রথমার্ধেই তারা ৪-০ গোলে এগিয়ে যায়। দলের হয়ে রবসন রবিনিয়ো ২৮ ও ৪৩ মিনিটে দুই গোল করেন। যা ছিল দলের দ্বিতীয় ও চতুর্থ। তবে গোলের সূচনা করেন ১৭ মিনিটে সুমন। ৩২ মিনিটে ইব্রাহিমের গোলটি ছিল দলের তৃতীয়। ৬৭ মিনিটে দলের হয়ে পঞ্চম গোল করেন এলিটা কিংসলে।
রাজশাহী মুক্তিযোদ্ধা স্টেডিয়ামে ৩৯ মিনিটে নাবিব নেওয়াজ জীবনের গোলে এগিয়ে যায় আবাহনী। ৮০ মিনিটে আবাহনীকে হতাশ করে খেলায় সমতা আনেন স্বাধীনতা সংঘের ইকবাল।
মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে খেলাটি ইনজুরি টাইমে গিয়ে জমে উঠে। এ সময় খেলা ছিল ১-১ গোলে ড্র। ৫০ মিনিটে ওটাবেগের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল শেখ জামাল। ৫ মিনিট পর পেনাল্টি থেকে গোলটি পরিশোধ করেন সাইফের এমফোন। এরপর ৯০ মিনিটের খেলা শেষে ৪ মিনিটের অতিরিক্ত সময় দেখানো হয়। প্রথম মিনিটে এমফোনের গোলে সাইফের জয়ের সম্ভাবনা জেগে উঠে। কিন্তু খেলা শেষ হওয়ার কয়েক সেকেন্ড আগে সলোমন সিল্লাহ গোল করে সমতা আনেন।
এমপি/আরএ/