নির্বাচক কমিটির সদস্য আব্দুর রাজ্জাকের সত্য বচন
‘সাকিব সরে না গেলে ক্রিকেট বোর্ড থেকে সরিয়ে দেওয়া কঠিন’
বৃহস্পতিবার বিসিবি ২০২২ সালের তিন ফরম্যাটের জন্য ২১ জন ক্রিকেটারকে চুক্তিতে রেখেছে। যেখানে তিন ফরম্যাটেই আছে ৫ জন ক্রিকেটার। ‘সবার আগে দেশ’- এ মন্ত্রে উজ্জীবিত থাকা ৪ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম, তাসকিন আহমেদ, লিটস দাস ও শরিফুল ইসলামের সঙ্গে আছেন যখন-তখন নানা অজুহাতে দেশের হয়ে খেলতে অস্বীকৃতি জানানো সাকিব আল হাসানও।
সাকিবকে এমন এক সময় তিন ফরম্যাটের চুক্তিতে রাখা হয়েছে যখন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তিনি শারীরিক ও মানসিক অবসাদের কারণে ছুটি চেয়েছেন। বিসিবিও মাইন্ড গেম খেলে তাকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বিশ্রাম দিয়েছে! এ সবই হয়েছে সাকিব দেশের বাইরে যাওয়া থেকে শুরু করে ফিরে আসার আগ পর্যন্ত। এরই মাঝে বিসিবি প্রকাশ করেছে ২১ ক্রিকেটারকে নিয়ে কেন্দ্রীয় চুক্তি। সাকিবকে রাখা হয়েছে তিন ফরম্যাটেই। এতে করে অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন। যে ক্রিকেটার বিসিবির কাছে লম্বা সমেয়র জন্য টেস্ট ক্রিকেট থেকে ছুটি চেয়েছিলেন। বিসিবি তাতে সাড়া দেয়নি। যখন-তখন টেস্ট ম্যাচ খেলতে অস্বীকৃতি জানায় তাকে কি না রাখা হয়েছে তিন ফরম্যাটেই?
এ নিয়ে নির্বাচক কমিটির সদস্য, সাবেক ক্রিকেটার আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন সাকিব নিজ থেকে সরে না গেলে বোর্ডের করার কিছু নেই। ২০২২ সালের কেন্দ্রিয় চুক্তি নিয়ে আজ মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে সাংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
রাজ্জাক বলেন, ‘সাকিব কিন্তু এখনো কোনো টেস্ট ফরম্যাট থেকে সরে যাননি। সাকিব এ মাপের খেলোয়াড় যে নিজে থেকে কোনো ফরম্যাট থেকে সরে না গেলে ক্রিকেট বোর্ড থেকে সরিয়ে দেওয়া কঠিন। এখনো সাকিবের সঙ্গে আমাদের ওরকমভাবে কথা হয়নি। যেহেতু হয়নি, হুট করে একটা কথা বলে দেওয়া ঠিক না। কথা হলে জানতে পারবেন।’
এক পর্যায়ে রাজ্জাক মেজাজও হারান। সাকিবকে তিন ফরম্যাটে রাখা নিয়ে সাংবাদিকদের একের পর এক প্রশ্নে বিব্রত হয়ে রাজ্জাক মেজাজ হারিয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশে পাল্টা প্রশ্ন করে জানতে চান, ‘আপনি যদি নির্বাচক হতেন, কী করতেন? তারপর নিজেকে সামলে নিয়ে জবাব দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘৬ মাসের (টেস্ট ক্রিকেট থেকে) ছুটির যে কথা বলছেন তা আনুষ্ঠানিক কিছু না। যেহেতু আনুষ্ঠানিকতা নেই, কেউ দুইটা সিরিজ বিশ্রাম নিলে তাকে তিন ফরম্যাটের চুক্তিতে রাখা যাবে না এটা না। এখানে সিস্টেম হলো- বোর্ড প্রথমে কথা বলেছে কে কোন ফরম্যাটে খেলতে চায়। তারপর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
সাকিব এভাবে অনিয়মিত হওয়ার পর তিন ফরম্যাটে রাখা হলেও তামিম ইকবালকে কেন দুই ফরম্যাটে রাখা হলো? কেন টি-টোয়েন্টিতে রাখা হয়নি। এ প্রশ্নের জবাব দেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। তিনি বলেন, ‘এখানে একটা সিস্টেম আছে- যে যে ফরম্যাটে অফ আছে এখন, তামিম যদি ওই ফরম্যাটে দলে অন্তর্ভুক্ত হয় সেও বেতনের আওতায় চলে আসে। এখানে আক্ষেপের কিছু নেই। তামিম ৬ মাস পর টি-টোয়েন্টি দলে অন্তর্ভুক্ত হলে অবশ্যই বেতনভুক্তদের তালিকায় ঢুকে যাবে।’
এমপি/এসএন