এক ইনিংসে ভালো করলে ফর্ম আসে না

বিপিএলে দারুণ সময় পার করেছেন জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এক সেঞ্চুরি ও চারহাফ সেঞ্চুরিতে তিনি ৪০৭ রান করে ছিলেন তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী। আবার দেশি ক্রিকেটারদের মাঝে তিনি ছিলেন সবার ওপরে।
কিন্তু আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে তার ব্যাট একেবারেই হাসেনি। রান করেছিলেন ৮, ১১ ও ১২। অথচ এই ওয়ানডে তিনি খেলতে নেমেছিলেন প্রায় ৮ মাস পর। সর্বশেষ খেলা ওয়ানডেতে তার সেঞ্চুরি ছিল। হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করেছিলেন ১১২ রান। অবশ্য সেই ম্যাচে সেঞ্চুরি করলেও সার্বিকভাবে তার ওয়ানডেতে সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। সর্বশেষ ১০ ম্যাচের বাকি ছয় ম্যাচে আছে তার একটি মাত্র হাফ সেঞ্চুরি। অন্য ইনিংসগুলো ছিল ১, ১৩, ১৭, ০, ২০।
তারপরও কিন্তু তামিম ইকবাল ওয়ানেড ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকরী। ২২২ ম্যাচ খেলে তার মোট রান ৭৬৯৭ রান। সেঞ্চুরিও সবার থেকে বেশি ১৪টি। আর ওয়ানডে ম্যাচ খেলার সংখ্যা ২২২টি। তার উপরে আছেন ২৩০ ম্যাচ খেলে শুধু মুশফিকুর রহিম। তামিম ইকবাল মনে করেন তার এই রান না পাওয়াটা তার অফ ফর্ম না।
বুধবার (৯ মার্চ) মিরপুরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি সবসময় বলি, কেউ যদি চার-পাঁচ ইনিংসে রান না করে সে অফ ফর্মে চলে যায় না, আবার কেউ যদি ১০ ইনিংস পর এক ইনিংসে ভালো খেলে সে ফর্মে এসে যায় না। আমি যেটা বলতে পারি, আমি আমার প্রক্রিয়া অনুসরণ করি এবং চেষ্টা করি। তাতে রান আসলে ভালো না আসলে এতো দুশ্চিন্তা করি না। কারণ আমি জানি আজ বা কাল যখন আমার সময় আসবে তখন আমি বড় ইনিংসই খেলব।’
এভাবে রান পাওয়াটাকে তিনি চাপ হিসেবেও দেখেন না। তামিম ইকবাল বলেন, ‘চাপ তৈরি হওয়ার চেয়ে আমার কাছে মুখ্য যেটি তা হলো আমি আমার পারফরম্যান্স থেকে অনেক অনুপ্রেরণা নেই। যখন আমি রান করি না তখন খারাপ লাগে। মানুষ তো আলোচনা করবেই, তা স্বাভাবিক। হ্যাঁ, ব্যক্তিগতভাবে মাঝেমধ্যে হতাশ হই।
‘কিন্তু এত বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছি সঙ্গে এটাও শিখতে পেরেছি দুই-তিন সিরিজ আপনি ভালো খেলবেন না, কিন্তু অনেক সময় আসবে যেখানে আপনি টানা তিনটি সিরিজ ভালো খেলবেন। শুধু আমার ক্যারিয়ার না, বাংলাদেশ এবং বিশ্বের বাকি খেলোয়াড়, যাদের বড় ক্যারিয়ার রয়েছে সবার সঙ্গেই এমনটা হয়েছে। দুই-তিনটা সিরিজ ভালো না হতে পারে আবার দেখবেন একটানা এক বছর ভালো খেলেছে। এটাই ক্রিকেট এবং তা মেনে নিতে হবে।’
এমপি/এমএমএ/
