এমবাপের মহাকাব্যিক হ্যাটট্রিকে সিটিকে বিদায় করে শেষ ষোলোয় রিয়াল

ছবিঃ সংগৃহীত
অলৌকিক কিছু? মিরাকল? পাগলাটে? সবগুলো একসঙ্গে মিলিয়ে যদি কাছাকাছি বোঝানো যায়। গতরাতে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে যা হলো, সেটির বর্ণনায় যে অভিধানও কম পড়ে যায়। ব্যাখ্যাতীত ব্যাপার, যেটিকে শুধু অনুভব করা যায়, শব্দে বাঁধা কঠিন।
রোমাঞ্চের শিহরণ ছড়ানো এমনই কীর্তি গড়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নকআউট প্লে-অফের দ্বিতীয় লেগে ম্যানসিটিকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এতে করে দুই লেগে ৬-৩ গোলের অগ্রগামিতায় সিটিজেনদের বিদায় করে শেষ ষোলোতে উঠেছে আসরের ১৫ বারের চ্যাম্পিয়নরা।
প্রথম লেগে ইতিহাদ স্টেডিয়াম থেকে ৩-২ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছিল রিয়াল। বুধবার রাতে দ্বিতীয় লেগে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে পেপ গার্দিওলার দলকে স্বাগত জানায় তারা। প্রথমার্ধেই এমবাপ্পের জোড়া গোলে ব্যবধানটা তিনে বাড়িয়ে নেয় স্বাগতিকরা। বিরতির পর হ্যাটট্রিক পূরণ করেন ফরাসি ফরোয়ার্ড।

ম্যাচে মাত্র চার মিনিট যেতেই বল জালে জড়ান এমবাপ্পে। সিটির রক্ষণের ভুলে এগিয়ে যায় রিয়াল। ম্যানসিটি অধিনায়ক রুবেন দিয়াস হেডে বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে বল পায়ে নিয়ে এডারসনের মাথার ওপর দিয়ে বল জালে পাঠান ফরাসি ফরোয়ার্ড।
৩৩তম মিনিটে কাটব্যাকে খুব কাছ থেকে নিখুঁত ফিনিশিংয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি। ম্যাচ ঘড়ির কাঁটা ঘণ্টা পার হতেই তৃতীয়বার গোল করেন এমবাপ্পে। ৬১তম মিনিটে বক্সের প্রান্ত থেকে বাঁ পায়ের শটে গোল করেন তিনি।
রিয়ালের হয়ে ৩৮ ম্যাচে এমবাপ্পের গোল দাঁড়ালো ২৮টি। ক্লাব ও দেশের হয়ে সব মিলিয়ে তার গোল সংখ্যা ৩৫৯ এবং অ্যাসিস্ট করেছেন ১৪২টি। সব প্রতিযোগিতা মিলে ৫০১ গোলে অবদান ফরাসি তারকার। সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে শীর্ষ পর্যায়ে ৫০০ গোলে অবদান রাখার মাইলফলক অর্জন করলেন তিনি।
একেবারে শেষ সময়ে সান্ত্বনাসূচক গোল করেন সিটির নিকোলাস গঞ্জালেস। ওমর মারমৌশের ফ্রি কিক পোস্টে লেগে ফিরে এলে ফিরতি শটে গোল করেন তিনি।
শেষ ষোলোতে রিয়ালের প্রতিপক্ষ বেয়ার লেভারকুসেন কিংবা নগর প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। শুক্রবার হবে ড্র।
এদিকে, ঘরের মাঠে স্পোর্তিং সিপির সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। তবে প্রথম লেগ ৩-০ গোলে জেতায় দ্বিতীয় লেগের ফল জার্মান ক্লাবটির শেষ ষোলোতে ওঠা আটকাতে পারেনি। পরের পর্বে তাদের প্রতিপক্ষ অ্যাস্টন ভিলা কিংবা লিঁলে।
আর ব্রেস্টকে গোলবন্যায় ভাসিয়েছে পিএসজি। ৭-০ গোলে দ্বিতীয় লেগ জিতেছে ফরাসি জায়ান্টরা। দুই লেগে ১০-০ গোলের অগ্রগামিতায় তারা শেষ ষোলোতে।
প্রথমার্ধে দুই গোল দিয়েছিল প্যারিস ক্লাব। বিরতি থেকে ফিরে আরও পাঁচ গোল করে তারা। প্রথম দল হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গোলদাতার খাতায় নাম লেখেন পিএসজির ভিন্ন সাতজন।
একটি করে গোল করেন ব্রাডলি বারকোলা, খভিচা কভারাতখেলিয়া, ভিতিনিয়া, দেসির দোয়ে, নুনো মেন্দেস, গনসালো রামোস ও সেনি মায়ুলু। তাদের প্রতিপক্ষ বার্সেলোনা কিংবা লিভারপুল।
ফিরতি লেগে অঘটনের শিকার ২-১ গোলে প্রথম লেগ জেতা জুভেন্টাস। পিএসভি আইন্দহোভেনের মাঠে ৩-১ গোলে হেরেছে তারা।
দুই লেগের অগ্রগামিতায় ৪-৩ গোলে ইতালিয়ান জায়ান্টদের পেছনে ফেলে শেষ ষোলোতে পিএসভি, তাদের প্রতিপক্ষ আর্সেনাল কিংবা ইন্টার মিলান।
