সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫ | ১৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

ব্যালন ডি'অর না পাওয়া নিয়ে এবার মুখ খুললেন ভিনি

ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ( ইনসটে রদ্রি)। ছবি: সংগৃহীত

এবার ব্যালন ডি’অর জয়ীর নাম ঘোষণার সময় একটু বিস্মিত হওয়ারই কথা ফুটবল প্রেমীদের। সব সমীকরণ ইঙ্গিত দিচ্ছিল এই মর্যাদাপূর্ণ খেতাব জিততে যাচ্ছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে সে পুরস্কার জিতলেন ম্যানচেস্টার সিটির ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার রদ্রি।

বাংলাদেশ সময় সোমবার দিবাগত রাতে প্যারিসের থিয়েটার দু শাতলেতে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে মর্যাদাপূর্ণ ব্যক্তিগত পুরস্কারটি পেয়েছেন রদ্রি। যা রীতিমতো হতাশার মহাসাগরে ফেলে দিয়েছে ভিনিকে। মাদ্রিদভিত্তিক একাধিক সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, ব্যালন ডি’অর পাচ্ছেন না জেনে প্যারিসে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেও যাননি ভিনি। ব্যালন ডি’অর পুরস্কার না জিতে বেশ হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন মাদ্রিদের এই তারকা। নিজের হতাশার কথা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তুলে ধরেছেন ভিনি।

গত কয়েকমাস থেকেই ২০২৪ সালের ব্যালন ডি’ অরের জন্য ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের নামটা উচ্চারিত হচ্ছিল সবার আগে। রদ্রি একাধিক শিরোপায় অনেকটা এগিয়ে থাকলেও গোলে-অ্যাসিস্টে ভিনিকেই এগিয়ে রাখছিলেন সকলেই। কিন্তু দৃশ্যপট বদলাতে শুরু করে মূল আয়োজন শুরুর ঘণ্টা ছয়েক আগে।

গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ম্যানচেস্টার সিটি কর্তৃপক্ষই রিয়াল মাদ্রিদকে জানিয়ে দেয় ভিনিসিয়ুস জুনিয়র পাচ্ছেন না প্রেস্টিজিয়াস এই পুরস্কার। এরপরেই বেশ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখায় রিয়াল মাদ্রিদ।

ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ফ্লেরেন্তিনো পেরেজ জানান, ব্যালনের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে যাচ্ছে না তার ক্লাব। নাটকীয় এই ঘটনার পর ম্যানসিটির স্প্যানিশ মিডফিল্ডার রদ্রির হাতেই ওঠে ব্যালনের মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার।

মূল অনুষ্ঠানে ১৯৯৫ সালে ব্যালন ডি’ অর জেতা জর্জ উইয়াহ যখন নাম ঘোষণা করবেন, তখনও দর্শকসারি থেকে ভেসে আসতে থাকে ভিনি ভিনি চিৎকার। শেষ পর্যন্ত রদ্রির নামটাই বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এরপরেই নিজের এক্স হ্যান্ডেলে ছোট এক পোস্ট নিয়ে হাজির হন ভিনিসিয়ুস।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ভিনি লিখেছেন, ‘দরকার হলে আরও ১০ গুণ করবো। ওরা আমার জন্য প্রস্তুত না।’

উল্লেখ্য, গত মৌসুমে ভিনি দলের ও ক্লাবের হয়ে খেলেছেন ৪৯টি ম্যাচ। সেখানে তিনি গোল করেছেন ২৬টি ও সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ১১টি। শিরোপার হিসেবে জিতেছেন- চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, লা লিগা ও স্প্যানিশ সুপার কাপ। তবে জাতীয় দলের হয়ে ছিলেন পুরোপুরি ব্যর্থ। অপরদিকে রদ্রি গত মৌসুমে খেলেছেন ৬৩টি ম্যাচ। সেখানে গোল করেছেন ১২টি ও অ্যাসিস্ট ১৬টি। তার দখলে রয়েছে প্রিমিয়ার লিগ, ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ, উয়েফা সুপার কাপ ও স্পেনের জার্সিতে ইউরো। এই অবস্থায় ক্লাব আর জাতীয় দলে সমান পারফরম্যান্স আমলে নিয়ে রদ্রিকেই ব্যালন ডি’অর দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

Header Ad
Header Ad

বাধা সত্ত্বেও নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

দেশের সব ঈদ জামাতে অংশগ্রহণকারী, প্রবাসী শ্রমিক ও নারীসহ সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনূস। তিনি বলেন, "ঈদ নৈকট্য ও ভালোবাসার দিন। আমাদের মধ্যে যে ঐক্য তৈরি হয়েছে, সেটিকে স্থায়ীভাবে গড়ে তুলতে চাই।"

সোমবার (৩১ মার্চ) জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজের পর দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি বলেন, "সব প্রতিকূলতার মধ্যেও ঐক্য অটুট রাখতে হবে। একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি গঠনের মধ্য দিয়েই আমরা বাধা সত্ত্বেও নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই।"

জাতীয় ঈদগাহে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

ঈদের জামাত উপলক্ষে সকাল থেকেই রাজধানীর হাইকোর্টসংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে মুসল্লিদের ঢল নামে। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে পল্টন মোড়, মৎস্য ভবন ও হাইকোর্টের সামনে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে মুসল্লিরা ঈদগাহে প্রবেশ করেন। একইভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রান্তেও দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে।

জাতীয় ঈদগাহে অনুষ্ঠিত প্রধান ঈদের জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক। ক্বারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বায়তুল মোকাররমের মুয়াজ্জিন মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ব্যবস্থাপনায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দান প্রস্তুত করা হয়। প্রায় ৩ লাখ ২২ হাজার ৮০০ বর্গফুট আয়তনের এই মাঠে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন।

Header Ad
Header Ad

ঈদের সকালেও নাড়ির টানে ছুটছে মানুষ

ছবি: সংগৃহীত

সিয়াম সাধনার এক মাস শেষে নাড়ির টানে গ্রামে ফিরছেন অনেকে। যদিও ঈদযাত্রা আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ, তবুও ঈদের সকালেও রাজধানী ছেড়ে গ্রামে যাচ্ছেন বহু মানুষ।

সোমবার (৩১ মার্চ) রাজধানীর ফকিরাপুল বাস টার্মিনালে সরেজমিনে দেখা গেছে, শেষ মুহূর্তেও অনেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন। তবে পর্যাপ্ত পরিবহন সেবা না থাকায় কিছু যাত্রী বিড়ম্বনার সম্মুখীন হচ্ছেন।

ফকিরাপুলের শ্যামলী কাউন্টারের ম্যানেজার মিঠু বলেন, "সকাল ৯টায় আমাদের একটি বাস ছেড়েছে, এরপর আবার বিকালে বাস চলবে। ঈদুল ফিতরের তুলনায় ঈদুল আজহার সকালে যাত্রী বেশি থাকে।"

এদিকে, গ্রীন লাইন পরিবহণের ম্যানেজার সৌমিত্র জানান, তাদের বিভিন্ন রুটে সারাদিন বাস চলবে। তিনি বলেন, "আজ সকাল থেকেই প্রচুর যাত্রী রয়েছে। বেশিরভাগ পরিবহন বন্ধ থাকায় চাপও বেশি।"

চট্টগ্রামগামী যাত্রী ফরিদুল ইসলাম বলেন, "আগেই বাড়ি ফেরার ইচ্ছা ছিল, কিন্তু ছুটি না পাওয়ায় পারিনি। শেষ মুহূর্তে ছুটি পেয়ে ঈদের সকালেই রওনা হলাম। রাস্তা ফাঁকা থাকায় দ্রুত বাড়ি পৌঁছাতে পারবো।"

ইয়াসমিন নামের এক যাত্রী বলেন, "ভেবেছিলাম ঢাকাতেই ঈদ করবো, কিন্তু বাচ্চারা মামাবাড়ি যেতে বায়না ধরায় যেতে হচ্ছে। বাস সংকট থাকলেও আলহামদুলিল্লাহ, সিট পেয়েছি।"

শেষ মুহূর্তেও যারা গ্রামে ফিরছেন, তারা পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে মুখিয়ে আছেন।

Header Ad
Header Ad

ঈদের দিন ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬৪ ফিলিস্তিনি

ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দানবীয় হামলায় কেঁপে উঠেছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা। সোমবার (৩১ মার্চ) আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এই হামলায় অন্তত ৬৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে।

এছাড়া, দক্ষিণ গাজার রাফাহ এলাকায় এক সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ থাকা ৮ চিকিৎসকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মী এবং জাতিসংঘের একজন কর্মচারীও রয়েছেন। আন্তর্জাতিক রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট সংস্থা (আইএফআরসি) এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার ২৭৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৫ জন আহত হয়েছেন।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, মৃতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে, কারণ হাজারো মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন।

ঈদের দিনেও গাজার আকাশজুড়ে বোমা বিস্ফোরণ ও কামানের গোলার শব্দ। শিশুরা নতুন পোশাকের বদলে ক্ষুধার্ত ও আতঙ্কগ্রস্ত। ঘরবাড়িহীন মানুষরা আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটছে, কিন্তু নিরাপদ স্থান নেই কোথাও।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, "ঈদের দিন যেখানে ফিলিস্তিনিরা আনন্দ উদযাপন করত, সেখানে আজ কেবল ধ্বংসস্তূপ আর আর্তনাদ।" গাজার বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনী অব্যাহত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, ফলে মানুষের জন্য ঈদ এক দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাধা সত্ত্বেও নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার
ঈদের সকালেও নাড়ির টানে ছুটছে মানুষ
ঈদের দিন ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬৪ ফিলিস্তিনি
দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস
টাঙ্গাইলে ঈদের মাঠে সংঘর্ষের শঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি
বছর ঘুরে এলো খুশির ঈদ, আজ দেশজুড়ে উদযাপন
যুক্তরাষ্ট্রে ৩ হাজারের বেশি ঈদ জামাত, প্রবাসীদের মাঝে উৎসবের আমেজ
মায়ের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের ছবি শেয়ার করে যা বললেন তারেক রহমান
ময়মনসিংহে বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার নারী-শিশুসহ নিহত ৪
ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান
ঈদের আগের দিন গাজীপুরে বন বিভাগের উচ্ছেদ অভিযান
ঈদুল ফিতরের ছুটিতে দুই দিনে রাজধানী ছাড়লেন ৪১ লাখ মানুষ
ঈদেও রেহাই নেই গাজার, ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৯
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাবাহিনী প্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ
বাংলাদেশের আকাশে চাঁদ দেখা গেছে, সোমবার উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর
ফিলিস্তিনের আল-আকসায় ঈদের নামাজে মুসল্লিদের ঢল
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ঈদের আমন্ত্রণ জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
ধ্বংসস্তূপের মধ্যে গাজাবাসীর ঈদুল ফিতরের নামাজ
জাতীয় ঈদগাহে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত: ডিএমপি কমিশনার
৮ বছর পর পরিবারের সঙ্গে লন্ডনে ঈদ উদযাপন করলেন খালেদা জিয়া