সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র
ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। ছবি: সংগৃহীত
কাতার বিশ্বকাপের পর থেকেই ছন্দহারা ব্রাজিল। ২০২৬ সালের বিশ্বকাপের বাছাইয়ে আট ম্যাচ খেলে পাঁচটিতেই পয়েন্ট হারিয়েছে তারা। এর মধ্যে চারটিতেই হারের তিক্ত স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়ে সেলেসাও দল। সবশেষ প্যারাগুয়ের বিপক্ষেও জয়ের মুখ দেখেনি ভিনিসিয়ুস জুনিয়র বাহিনী। এমন হারের পর এবার ক্ষমা চাইলেন ভিনি, শোনালেন ঘুরে দাঁড়ানোর আশার বাণী।
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) প্যারাগুয়ের ঘরের মাঠ চাকো ডিফেন্ডার্স স্টেডিয়ামে ১-০ গোলে হেরেছে ডোরিভাল জুনিয়রের দল। প্যারাগুয়ের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন ইন্টার মিয়ামি ফরোয়ার্ড ডিয়েগো গোমেজ।
পরিসংখ্যান অনুসারে ২০০৩ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ৭১ ম্যাচ খেলে মাত্র ৫টিতে হেরেছিল ব্রাজিল। কিন্তু এবার ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ৮ ম্যাচ খেলেই ৪ হার। এতেই বোঝাই যাচ্ছে কতটা খারাপ সময় পার করছে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা।
ব্রাজিলের এই অবস্থার অন্যতম কারণ হলো নেইমারের অভাব পূরণ করতে না পারা। চোটের কারণে দীর্ঘ সময় মাঠে বাইরে নেইমার। অনেক দিন ধরেই মনমতো একজন স্ট্রাইকার, দুজন ফুলব্যাক আর মিডফিল্ডার পাচ্ছে না। তাই ভিনিকে ঘিরেই আশা দেখেছিল ব্রাজিল। তিনি গোল করবেন, অ্যাসিস্ট করবেন, জাদু দেখাবেন; এতটুকুই তো আশা ছিল তাদের।
কিন্তু প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারায় সমালোচনার শিকার হতে হয়েছে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে। রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে গত মৌসুমে দারুণ খেলেছেন, লিগ আর চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন এবং এবারের বালন ডি অর’রের দৌড়েও তাই তার নাম ওপরের দিকে। কিন্তু হলুদ জার্সি গায়ে জড়ালেই সেই ভিনির দেখা মিলছে না।
কোপা আমেরিকায় ব্যর্থ ভিনি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বেও ব্যর্থ। সেপ্টেম্বরের দুই ম্যাচে গোল তো পানইনি, তার খেলা দেখেও যেন বিরক্ত ব্রাজিলের সমর্থকেরা। তাই প্যারাগুয়ের কাছে হারের পর সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন ভিনি।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) ম্যাচ শেষে এই রিয়াল মাদ্রিদ তারকা বলেন, কী পরিস্থিতিতে আছি সেটা আমরা বুঝতে পারছি। যেকোনো মূল্যে ব্রাজিলকে এই পরিস্থিতি থেকে বের করে আনতে চাই। এখন সবাই বাড়ি ফিরব, ভালো খেলতে হলে এবং জিততে হলে কী করতে হবে সেটা বোঝার চেষ্টা করব।
রিয়াল মাদ্রিদে হয়ে পারলেও ব্রাজিলের হয়ে কেন পারছেন না, সে ব্যাখ্যা দিতে গিয়েই ক্ষমা চেয়েছেন ভিনি। তার ভাষ্য, ইউরোপে ম্যাচে গতি আরও বেশি থাকে। মাঠের কারণে বল পায়ে আসে দ্রুত। (এখানে) ম্যাচ জেতার জন্য সেরা খেলাটা খেলতে আমাদের মানিয়ে নিতে হবে।
‘জিততে পারলে মন স্থির হবে, তখন খেলাটাও অন্যরকম হবে। এই তো! আমি সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চাইছি। বুঝতে পারছি সময়টা খুব কঠিন যাচ্ছে, তবে আমরা উন্নতি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
আগামী মাসে (অক্টোবরে) চিলির বিপক্ষে নিজেদের নবম ম্যাচটি খেলবে ব্রাজিল। ওই ম্যাচটি জিতলে ৯ ম্যাচে ব্রাজিলের সংগ্রহ দাঁড়াবে ১৩ পয়েন্ট। তবে সেটাও ব্রাজিলকে যে খুব একটা স্বস্তিতে দেবে তার নিশ্চয়তা নেই। নিজেদের শেষ ৭ ম্যাচে একবারই কেবল ২ গোলের বেশি করেছিল সেলেসাওরা।