নেইমারের আল হিলালের কাছে হারল মেসির মায়ামি
ছবি: সংগৃহীত
লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেজ ও নেইমার- লম্বা সময় পর এই ত্রিরত্নকে একসঙ্গে মাঠে দেখার ইচ্ছে ছিল ফুটবলপ্রেমীদের। তবে, চোটের কারণে নেইমারের না থাকায় ভক্তদের সেই ইচ্ছে পূরণ হয়নি। ব্রাজিলিয়ান তারকা না থাকলেও রিয়াদ কাপে মেসির ইন্টার মায়ামিকে হারিয়ে দিল আল হিলাল। এটি প্রাক মৌসুমে মেসিদের দ্বিতীয় হার।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে রিয়াদের কিংডম অ্যারেনায় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। মায়ামির হয়ে গোল করেন মেসি, সুয়ারেজ ও ডেভিড রুইজ। আল হিলালের হয়ে গোল করেছেন আলেক্সান্ডার মিত্রোভিচ, আব্দুল্লাহ আল হামদান ও মিকায়েল ও ম্যালকম।
আল হিলালের জার্সিতে মাঠে নেইমার উপস্থিত থাকলে বার্সেলোনার সেই ‘ত্রিরত্ন’কে অন্তত আরো একবার দেখতে পেত ফুটবল বিশ্ব। কিন্তু চোটের কারণে মাঠের বাইরে আল হিলাল তারকা। তাই তো বার্সেলোনার সাবেক দুই সতীর্থ লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেজের সঙ্গে তার পুনর্মিলনীটা হতে গিয়েও হলো না। তবে এদিন কিংডম অ্যারেনায় খেলা দেখতে আসা দর্শকদের পয়সা উশুল হয়েছে। ৭ গোলের রোমাঞ্চ তো আর প্রতিদিন দেখা যায় না।
প্রথমার্ধেই ৩-১ ব্যবধানে ম্যাচে লিড নেয় আল হিলাল। খেলা শুরুর দশম মিনিটে সার্বিয়ার মিলিনকোভিচের অ্যাসিস্ট থেকে দলের হয়ে প্রথম গোল করেন আলেক্সান্ডার মিত্রোভিচ। প্রথম গোল খাওয়ার তিন মিনিটের মাথায় দ্বিতীয় গোল খেয়ে বসে মায়ামি। এবার গোলদাতা আব্দুল্লাহ আল হামদান।
২ গোলে পিছিয়ে পড়ে গোল শোধে মরিয়া হয়ে উঠে মায়ামি। ম্যাচের ৩৪তম মিনিটে দলীয় আক্রমণ থেকে বল পেয়ে কোনাকুনি শটে গোল করেন উরুগুয়ে তারকা লুইস সুয়ারেজ। ভিএআরের সাহায্য নিয়ে সেটিকে গোল ঘোষণা করেন রেফারি। মায়ামির হয়ে এটি সুয়ারেজের প্রথম গোল, প্রাক মৌসুম সফরে ক্লাবটির প্রথম গোলও। তার আগে গোলের দুটি ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন সুয়ারেজ। একটি শট বাইরে মারেন। অন্যটি ঠেকান আল হিলাল গোলকিপার আলওতায়ান।
তবে হতাশা নিয়েই বিরতিতে যেতে হয়েছে মায়ামিকে। কারণ ম্যাচের ৪৪ মিনিটে আল হিলালের আব্দুল্লাহ আল হামদানের অ্যাসিস্ট থেকে মিশেল দেলগাদোর করা গোলে স্কোর লাইন দাঁড়ায় ৩-১। শুধু তাই নয়, গোলটি হজমের আগে মেসি আল হিলালের জালে একবার বল পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু সে যাত্রায় অফসাইড ছিলেন সুয়ারেজ।
৫৪ মিনিটে ডেভিড রুইজ আল হিলালের বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় মায়ামি। স্পটকিক থেকে গোল তুলে নেন মেসি। এক মিনিট পরই রুইজের গোলে সমতায় ফেরে মায়ামি। এরপর দুই দলই যেন খেলায় ঢিল দিয়েছিল। ম্যাচটি যখন রোমাঞ্চকর ড্রয়ের দিকে এগোচ্ছিল তখনই ম্যালকমের গোলে! ৮৮ মিনিটে ইয়াসির আল শাহরানির ক্রস থেকে হেডে গোলটি করেন এই ব্রাজিলিয়ান।
বিরতির পর পেনাল্টি থেকে গোল করেন লিওনেল মেসি। ম্যাচের ৫৪তম মিনিটে ডেভিড রুইজকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় মায়ামি। পরের মিনিটেই রুইজের কল্যাণে ম্যাচে সমতা ফেরায় ইন্টার মায়ামি। মায়ামির তিন গোলেই গোলেই জড়িয়ে ছিলেন এলএমটেন। কিন্তু ম্যাচ জেতা হয়নি তার দলের। ম্যাচ সমতায় ফেরার পর দুই দলই যেন খেলায় ঢিল দিয়েছিল। ম্যাচটি যখন রোমাঞ্চকর ড্রয়ের দিকে এগুচ্ছিল তখনই মায়ামির কফিনে শেষ পেরেক ঠুকেন মেসি-আলবা-বুসকেটসের সাবেক বার্সা সতীর্থ ম্যালকম। ম্যাচের ৮৮তম মিনিটে ইয়াসির আল শাহরানির ক্রস থেকে হেডে গোলটি করেন এই ব্রাজিলিয়ান।
এই হারের ফলে প্রাক মৌসুম প্রস্তুতিতে তিন ম্যাচ খেলে এখনও জয়হীন ইন্টার মায়ামি। এল সালভাদরের সঙ্গে ড্রয়ের পর এফসি ডালাসের কাছে হেরেছিল তারা। এবার হার মানতে হলো নেইমারের ক্লাব আল হিলালের কাছেও। বৃহষ্পতিবার আল নাসরের বিপক্ষে সৌদি আরবে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে মায়ামি।