বিশ্বকাপের শতবর্ষে আয়োজক হতে চায় আর্জেন্টিনাসহ ৪ দেশ

ফিফা বিশ্বকাপের প্রথম আসর বসেছিল উরুগুয়েতে। সেটা ১৯৩০ সালে। ঠিক ১০০ বছর পর আয়োজিত হবে আরেকটি ফুটবল বিশ্বকাপ। শতবর্ষে ফিফার মেগা ইভেন্টের আয়োজক হতে চায় আর্জেন্টিনাসহ লাতিনের ৪ দেশ।
২০৩০ বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য যৌথভাবে বিড জমা দিয়েছে আর্জেন্টিনা, চিলি, প্যারাগুয়ে এবং উরুগুয়ে। যেখানে টুর্নামেন্টটির জন্ম, সেই দক্ষিণ আমেরিকায় বিশ্বকাপ ফেরানোর আহ্বান জানানো হয়েছে কনমেবলের পক্ষ থেকে।
দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল ফেডারেশনের (কনমেবল) প্রেসিডেন্ট আলেহান্দ্রো ডমিনগুয়েজের মতে, তাদের অঞ্চলে টুর্নামেন্ট আয়োজনের অনুমতি দিয়ে তাদের প্রতি ইতিবাচক মানসিকতা দেখাতে পারে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ফিফা।
ডমিনগুয়েজ বলেছেন, ‘২০৩০ বিশ্বকাপ শুধুমাত্র আরেকটি বিশ্বকাপ নয়, এটি ১০০ বছরের জন্য স্বীকৃতিসহ একটি উদযাপনের দাবি রাখে। ফিফার একটি বাধ্যবাধকতা রয়েছে এই টুর্নামেন্টের স্মৃতিকে সম্মান করার, যা সবার আগে আমাদের অঞ্চলে আয়োজিত হয়েছে।’
বিডিং অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিও তাপিয়া। তিনি বলেছেন, ‘বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আমাদের, সমস্ত দক্ষিণ আমেরিকানদের স্বপ্ন এটা (বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়া)। শুধুমাত্র শতবর্ষের জন্য নয়, আমাদের বেঁচে থাকায় ফুটবলের যে আবেগ তার জন্য।’
এমনকি আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রপতি আলবার্তো ফার্নান্দেজের সাড়াও পাওয়া গেছে এই ইস্যুতে। তিনি তার অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে এক পোস্টে বলেছেন যে লাতিনের ৪ দেশের স্বপ্নপূরণে বলিভিয়ারও এগিয়ে আসা উচিত।
উরুগুয়েতে প্রথম সংস্করণের পর, আর্জেন্টিনা ১৯৭৮ সালে এবং চিলি ১৯৬২ সালে বিশ্বকাপের আয়োজক ছিল। প্যারাগুয়ে কখনোই এই বৈশ্বিক ইভেন্টের আয়োজক হতে পারেনি।
এসজি
