পর্তুগালের নতুন কোচ মার্টিনেজ

গুঞ্জনটাই সত্যি হলো। পর্তুগাল ফুটবল দলের নতুন কোচ হলেন রবার্তো মার্টিনেজ। সোমবার বেলজিয়ামের সাবেক কোচকে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পর্তুগিজ ফুটবল ফেডারেশন (এফপিএফ)।
কাতার বিশ্বকাপে পর্তুগালের যাত্রা থামে শেষ আটে। এরপরই ফার্নান্দো সান্তোসের সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টানে এফপিএফ। পর্তুগালের ডাগআউটে তারই স্থলাভিষক্ত হবেন মার্টিনেজ। আপাতত দৃষ্টিতে বলা যায়, সফল কোচকে বিদায় করে ব্যর্থ কোচকেই নিয়োগ দিয়েছে পর্তুগাল।
২০১৪ সালে পর্তুগালের কোচ হয়েছিলেন সান্তোস। জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেন ১০৯ ম্যাচে। তার কোচিংয়ে ২০১৬ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে এবং ২০১৮-১৯ মৌসুমে নেশন্স লিগের উদ্বোধনী সংস্করণে শিরোপা উল্লাস করে পর্তুগাল।
সান্তোস নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনেন কাতারে টানা দুই ম্যাচে ক্রিশ্চিয়ানো রোলানদোকে বেঞ্চে বসিয়ে রেখে। মূলত পর্তুগিজ যুবরাজের সঙ্গে অহেতুক দ্বন্দ্বে জড়িয়ে চাকরি হারান তিনি। তার পরিবর্তে যে মার্টিনেজের আস্থা রাখল এফপিএফ, সেই মার্টিনেজ বেলজিয়ামের সোনালি প্রজন্ম নিয়েও তেমন কিছু করে দেখাতে পারেননি। তার কোচিংয়ে বেলজিয়ানদের সেরা সাফল্য বলতে রাশিয়া বিশ্বকাপে তৃতীয় হওয়া।
সবশেষ কাতারে গ্রুপপর্বেই ছিটকে যায় মার্টিনেজের বেলজিয়াম। তারপরই ইডেন হ্যাজার্ডদের দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। বিশ্বমঞ্চে যাই ঘটুক না কেন, টুর্নামেন্ট শেষে আগেই এই চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছিলেন মার্টিনেজ।
এবার রোনালদোদের ডাগআউট সামলানোর বড় দায়িত্ব নিলেন বেলজিয়ামের সাবেক কোচ। এফপিএফ প্রেসিডেন্ট ফার্নান্দো গোমেজ বলেছেন, ‘মার্টিনেজের যে উৎসাহ এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়েছে আমি তার প্রশংসা করি।’
মার্টিনেজ বলেছেন, ‘বিশ্বের অন্যতম প্রতিভাবান দলের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমি আনন্দিত। তাদের খুব বড় একটি দল আছে। আমি বুঝতে পেরেছি যে এখানে অনেক প্রত্যাশা রয়েছে। আমরা একসঙ্গে আমাদের লক্ষ্য অর্জন করব।’
আরএ/
