পোল্যান্ডকে বিদায় করে শেষ আটে ফ্রান্স
বিশ্বকাপে পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয়ের রেকর্ড ছিল না ফ্রান্সের। একবারের মোকাবেলায় জয়টি ছিল পোলিশদের। সেটিও ১৯৮২ বিশ্বকাপে। ৪০ বছর পর কাতার বিশ্বকাপে সেই পোল্যান্ডকে উড়িয়ে শেষ আটে জায়গা করে নিয়েছে ফ্রান্স।
রবিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে শেষ ষোলোর ম্যাচে পোল্যান্ডকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ফরাসিদের হয়ে জোড়া গোল করেন এমবাপে। একটি গোল জিরুদের। পোল্যান্ডের হয়ে পেনাল্টিতে গোল করেন লেভানদোভস্কি।
আল থুমামা স্টেডিয়ামে ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত ফ্রান্স। গ্রিজম্যানের কর্ণারে হেডটা ভালোমতো নিতে পারেননি রাফায়েল ভারানে। ১৩ মিনিটে চুয়ামেনির শট কর্ণারের বিনিময়ে রক্ষা করেন পোলিশ গোলরক্ষক স্ট্যাসনি। এর মিনিট চারেক পর উসমান দেম্বেলের শট সহজেই আটকান তিনি।
২১ মিনিটে প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে পোল্যান্ডের তারকা ফুটবলার লেভানদোভস্কির শট চলে যায় ফ্রান্সের পোস্টের বাইরে। ২৯ মিনিটে গোল পেতে পারত ফ্রান্স। কিন্তু দেম্বেলের পাসে ছুটে গিয়ে বলের নাগাল পাননি জিরুদ। যদিও অফসাইডের পতাকা তোলেন লাইন্সম্যান।
৩৮ মিনিটে প্রায় গোলের দেখা পেতে যাচ্ছিল পোল্যান্ড। পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে জেলিনস্কির শট পা দিয়ে ফেরান ফরাসি গোলরক্ষক লরিস। ফিরতি বলে জেলিনস্কির আরেকটি প্রচেষ্টা প্রতিহত হয় ফরাসি রক্ষণভাগে।
৪৪ মিনিটে পোল্যান্ডের জালে প্রথম গোল ফ্রান্সের। এমবাপের পাসে দারুণ শটে গোলটি করেন অলিভার জিরুদ। ফ্রান্সের সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ডে থিয়েরি অঁরিকে ছাড়িয়ে এককভাবে শীর্ষে বসেন তিনি। জিরুদের মোট গোল ৫২টি।
দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুরন্ত ফ্রান্স। জিরুদের পর এই অর্ধে চমক দেখান তুখেড়া স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপে। পাল্টা আক্রমণে ৭৪ মিনিটে দেম্বেলের পাসে নয়নকাড়া শটে পোলিশ গোলরক্ষককে পরাজিত করেন তিনি। ২-০ ব্যবধানে লিড নেয় ফ্রান্স।
অতিরিক্ত সময়ের প্রথম মিনিটে থুরামের পাসে আবার এমবাপে ঝলক। এবারও নিখুত শট। নাগাল পাননি পোলিশ গোলরক্ষক। ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা ফ্রান্স তখন জয়ের অপেক্ষায়। শেষ মুহর্তে হ্যান্ডবলের জন্য ভিআরএর বদৌলতে পেনাল্টি পায় পোল্যান্ড।
স্পট কিকে গোল করতে পারেননি লেভানদোভস্কি। ঝাঁপিয়ে রক্ষা করেন লরিস। তবে এই স্পট কিক বাতিল হয়ে যায় লরিস গোললাইনে না থাকার কারণে। পুনরায় কিক নিয়ে সফল লেভা। ব্যবধান কমে আসে ৩-১ এ। তারপরও দারুণ জয়ের আনন্দে মাতে ফরাসি শিবির।
/এএস