মেসির বাম পায়ের জাদুতে প্রথমার্ধে এক গোলে এগিয়ে আর্জেন্টিনা
নকআউট পর্ব। জয় ভিন্ন কোন উপায় নেই। গোলই তার একমাত্র সমাধান। সেই গোল পাওয়ার জন্য আর্জেন্টিনা আক্রমণাত্মক পদ্ধতি অবলম্বন করলেও অস্ট্রেলিয়া ছিল রক্ষণাত্মক। আর্জেন্টিনা ৪-৩-৩ এবং অস্ট্রেলিয়া ৪-৪-২ পদ্ধতিতে খেলা শুরু করে।
আহমেদ বিন আলী স্টেডিয়ামে প্রথম ১০ মিনিট দু'দলই কোন উল্লেখযোগ্য আক্রমণ তৈরি করতে পারেনি। গোলপোস্ট লক্ষ্য করে নিতে পারেনি কোন শট হয়নি কোন কর্নার অস্ট্রেলিয়া তিনটি ফাউল করে আর্জেন্টিনা করে একটি। এ সময় আর্জেন্টিনার বল নিয়ন্ত্রণ ছিল ৮৩%।
আর্জেন্টিনা মাঝমাঠের দখল নিয়ে ছোট ছোট পাশে আক্রমণ সাজানোর চেষ্টা করে কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার কঠিন দুর্গ তারা ভাঙতে পারেনি। কোনঠাসা হয়ে থাকা অস্ট্রেলিয়া ধীরে ধীরে নিজেরাও খেলায় ফেরার চেষ্টা করে। বল নিয়ন্ত্রণের গতিও তারা বাড়াতে থাকে। ২০ মিনিটে তাদের বল নিয়ন্ত্রণের গতি ১৩% থেকে বেড়ে ২১% গিয়ে পৌঁছে। আর্জেন্টিনার আক্রমণ ভাগে তারা বল নিয়ে যেতে সক্ষম হয়নি। এসময় আর্জেন্টিনা একটি মাত্র শট গোলপোস্ট লক্ষ্য করে মারতে পেরেছিল। ১৭ মিনিটে মেসি গোমেজকে বক্সে বল বাড়িয়ে দিলে, গোমেজের সেই শট বারের অনেক উপর দিয়ে চলে যায়।
৩০ মিনিট পর্যন্ত দু'দলই কোন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেনি। অস্ট্রেলিয়া এসময় নিজেদের বলেন নিয়ন্ত্রণ বাড়িয়ে ৩৯% নিয়ে যায়। আর্জেন্টিনা যেমন অস্ট্রেলিয়ার রক্ষণভাগ ভাঙতে পারেনি তেমনি অস্ট্রেলিয়া বলেন নিয়ন্ত্রণ বাড়ালেও আর্জেন্টিনার রক্ষণ গিয়ে বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া বলের নিয়ন্ত্রণ বাড়িয়ে নেয়ার ফলে ৩২ মিনিটে গিয়ে একটি ফ্রি কিক আদায় করে নেই আর্জেন্টিনার বক্সে। সেই ফ্রি কিক অবশ্য আর্জেন্টিনার জন্য কোন কাঁপন তৈরি করতে পারেনি। এটি ছিল আর্জেন্টিনার একটি কৌশল কারণ তারা যখন অস্ট্রেলিয়ার রক্ষন ভাঙ্গতে পারছিল না, তখন অস্ট্রেলিয়াকে আক্রমণে উঠে আসার সুযোগ করে দেয়। সেই সুযোগে রক্ষণে যে গ্যাপ তৈরি হয়, তা থেকে আর্জেন্টিনা ফায়দা তুলে নেয়। ৩৪ মিনিটে মেসির বাম পায়ের জাদুতে গোলের দেখা পায় আর্জেন্টিনা। ঠিক পারুলের কাছ থেকে বক্সের মধ্যে বল পেয়ে একজন খেলোয়াড়ের পায়ের ফাঁক দিয়ে বাম পায়ের শটে অস্ট্রেলিয়ার গোলরক্ষক রিয়ানকে পরাজিত করেন। এসময় অস্ট্রেলিয়ার বল নিয়ন্ত্রণ কমে আসে। পুরো খেলা নিয়ন্ত্রনে চলে যায় আর্জেন্টিনার। বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে মেসির ছিল এটি প্রথম গোল।
এমপি/এএস