সুয়ারেজের হৃদয় ভেঙেছে ফিফা!
জিতেও নকআউট নিশ্চিত করতে পারেননি। পেনাল্টির সিদ্ধান্ত পক্ষে আসেনি। স্ত্রী-সন্তানকেও যথাযথ সম্মান দেখাতে পারেননি। এমনই একটি দুঃস্বপ্নের দিন পার করলেন লুইস সুয়ারেজ। তাই কষ্ট, দুঃখ, হতাশা আর অপমানে অশ্রু ঝরালেন তিনি। আর অভিযোগের আঙুল তুললেন ফিফার দিকে। সুয়ারেজের দাবি-তার হৃদয় ভেঙেছে বিশ্ব ফুটবল নিয়ন্ত্রণ সংস্থা।
শুক্রবার রাতে ‘এইচ’ গ্রুপের শেষ ম্যাচ ডেতে ঘানাকে ২-০ গোলে হারায় উরুগুয়ে। তাদের এবং দক্ষিণ কোরিয়া পয়েন্ট ছিল সমান ৪। তবে তিন ম্যাচ মিলিয়ে কম গোল করায় বিশ্বকাপ অভিযান শেষ লাতিন অঞ্চলের জায়ান্টদের। নকআউটে পর্তুগালের সঙ্গী হয়েছে কোরিয়া। তাই ঘানার বিপক্ষে পেনাল্টি না পেয়ে রেফারি এবং ফিফা উপর বেজায় চটেছেন সুয়ারেজ।
উরুগুয়ে ঘানা ম্যাচে প্রতিপক্ষে ডি-বক্সে এডিনসন কাভানিকে ফাউল করেন আলিদৌ সেইদু। তখন পেনাল্টির দাবি জানালেও তাতে সায় দেননি জার্মান রেফারি ড্যানিয়েল সেইবার্ট। এমনকি ভিএরআর প্রযুক্তির সাহায্যও নেননি ম্যাচ পরিচালক। তার আগে, লিভারপুল ফরোয়ার্ড ডারউইন নুনেজও ফাউলের শিকার হোন ঘানার ডি-বক্সে। তখনও উরুগুয়ের পক্ষে পেনাল্টির বাঁশি ফুঁকাননি সেইবার্ট।
বিতর্কিত দুই সিদ্ধান্ত হজম করতে পারেনি উরুগুইয়ানরা। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার পরই সেইবার্টকে আক্রমণ করেছিল ডিয়েগো আলোনসোর শিষ্যরা। এরপর রেফারি এবং ফিফা কমিটিকে একহাত নেন সুয়ারেজ। বিদায়ের হতাশায় মাঠেই কান্নায় ভেঙে পড়া উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার বলেন, ‘আমি দুঃখ এবং হতাশা অনুভব করছি। আমরা ছেলেও সেই দুঃখের চিত্র নিয়ে স্টেডিয়ামে ছেড়ে গেছে, এটা একজন বাবার জন্য কঠিন।’
৩৫ বছর বয়সী তারকা ফুটবলার যোগ করেন, ‘আমি কাভানির জন্য একটি পেনাল্টি দেখতে পারছিলাম, কারণ তাকে (ঘানার) ডিফেন্ডার ফেলে দিয়েছিল। ডারউইনের ক্ষেত্রেও। এটা কোনো অজুহাত নয়, কিন্তু বিশ্বকাপে অদ্ভুত সব পেনাল্টি দেওয়া হচ্ছে। রেফারি এবং ফিফা কমিটি রয়েছে, তাদের অন্তত নিজেদের আরও ভালোভাবে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করতে হবে।’
আল জানুব স্টেডিয়ামে সুয়ারেজ তার স্ত্রী এবং সন্তানদের অভ্যর্থনা জানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সম্মতি দেয়নি ফিফা। এ নিয়েও আক্ষেপের শেষ অন্ত নেই তার। অভিযোগের সুরে বলেন, ‘আমি একজন ফরাসি খেলোয়াড়কে তার সন্তানদের সঙ্গে বেঞ্চে দেখেছি।’
এমএমএ/এমএমএ/