হল্যান্ড-যুক্তরাষ্ট্র লড়াইয়ে নকআউট শুরু শনিবার
গ্রুপ পর্ব শেষের দোড়গোড়ায় বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টের পরের রাউন্ড শুরুর আগে থাকছে না কোনো বিরতি। আগামীকাল শুরু হচ্ছে নকআউট পর্ব। দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথম দিনে মাঠে গড়াবে দুই ম্যাচ।নকআউটের শুরুতেই মুখোমুখি হবে হল্যান্ড-যুক্তরাষ্ট্র। আলরায়ানে খলিফা স্টেডিয়ামে দুই দলের লড়াই শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক হল্যান্ড-যুক্তরাষ্ট্র ম্যাচের ফ্যাক্ট
* হল্যান্ডএবং যুক্তরাষ্ট্রের আগেরপাঁচসাক্ষাতেরপ্রতিটিছিলপ্রীতিম্যাচ। ১৯৯৮ এবং ২০১০ সালেরমধ্যে প্রথমচারটিজিতেছেকমলাজার্সিধারীরা। ২০১৫ সালেসবশেষ দেখায়জিতেছে যুক্তরাষ্ট্র।
* বিশ্বকাপে নন-ইউরোপিয়ান দলেরবিপক্ষেহল্যান্ডতাদেরসবশেষ ১৯ ম্যাচেঅপরাজেয় (১৩ জয়, ৬ ড্র)। সবশেষ হারের স্বাদ পেয়েছে ১৯৯৪ কোয়ার্টার ফাইনালে, ব্রাজিলের বিপক্ষে ৩-২ ব্যবধানে। ৬ ড্রয়ের মধ্যে দুটোতে তারা টাইব্রেকারে বাদ পড়েছে: ১৯৯৮ সালেব্রাজিল এভং ২০১৪ সালে আর্জেন্টিার বিপক্ষে।
* যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপে ইউরোপিয়ান প্রতিপক্ষে বিপক্ষে তাদের শেষ ১১ ম্যাচে জয়হীন (৬ ড্র, ৫ হার)। সবশেষ জয় পেয়েছে ২০০২ সালে, পর্তুগালের বিপক্ষে ৩-২ গোলে। ইউরোপিয়ান দলের বিপক্ষে ২৩ বিশ্বকাপ ম্যাচের তিনটিতে জিতেছে যুক্তরাষ্ট্র (৭ ড্র, ১৩ হার)। পর্তুগাল বাদে অপর দুই জয় পেয়েছে বেলজিয়াম (১৯৩০)এবং ইংল্যান্ডের (১৯৫০) বিপক্ষে।
* লুইসফন গালের অধীনে হল্যান্ড তাদের ১০ বিশ্বকাপ ম্যাচে অপরাজেয়।নকআউট পর্বে সবশেষ তিন ম্যাচসহ, টুর্নামেন্টে সবশেষ ৬ ম্যাচের ৫টিতে ক্লিনশিট রেখেছে তারা। বিশ্বকাপের ইতিহাসে টানা চার নকআউট ম্যাচে ক্লিনশিট রাখা একমাত্র দল স্পেন। ২০১০ সংস্করণে শিরোপা জয়ের পথে এই রেকর্ড গড়ে স্প্যানিশরা।
* বিশ্বকাপে সবশেষ পাঁচ অংশগ্রহণে কমপক্ষে চার বার কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত খেলেছে হল্যান্ড। ব্যর্থ হয়েছে কেবল ২০০৬ সালে। ওই আসরে শেষ ষোলোতে তাদের ১-০ গোলে হারিয়েছিল পর্তুগাল।
* যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে তাদের চার ম্যাচের তিনটি হেরেছে, জিতেছে কেবল ২০০২ সালে মেক্সিকোর বিপক্ষে। নকআউট রাউন্ডে ইউরোপিয়ান প্রতিপক্ষের বিপক্ষে তারা তাদের তিন ম্যাচের সবকটি হেরেছে: ১৯৩৪ সালে ইতালির বিপক্ষে ৭-১, ২০০২ সালে জার্মানির বিপক্ষে ১-০ এবং ২০১৪ সালে বেলজিয়ামের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে।* কোডি গ্যাকপো কাতার বিশ্বকাপে তাদের গ্রুপের তিন ম্যাচেই হল্যান্ডকে ১-০ গোলে এগিয়ে রেখেছে। একক বিশ্বকাপে চারটি পৃথক ম্যাচে উদ্বোধনী গোল করা শেষ খেলোয়াড় ছিলেন স্পেনের ডেভিড ভিয়া।
*ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচ যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে তার শেষ ৯ ম্যাচে (সব প্রতিযোগিতায় মিলিয়ে) ৬ গোল সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন (৪ গোল, ২ অ্যাসিস্ট)।বিশ্বকাপে দলটির দুই গোলেই অবদান ছিল তার। যুক্তরাষ্ট্রের থাকা যেকোনো খেলোয়াড়ের চেয়ে তার গোল সংখ্যা দ্বিগুণ (২২টি)।
এমএমএ/