ড্র করলেই নকআউটে মরক্কো
যে বছর বিশ্বকাপে যাত্রা শুরু হয়েছিল কানাডার, সেই সংস্করণে প্রথমবার নকআউট খেলেছিল মরক্কো। বলা হচ্ছে, ১৯৮৬ বিশ্বকাপের কথা। দীর্ঘ সময় দ্বিতীয়বার টুর্নামেন্টে সুযোগ পেয়ে আরও একবার প্রথম রাউন্ডে কাটা পড়েছে কানাডা।
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) তাদের নিয়মরক্ষার ম্যাচ মরক্কোর বিপক্ষে, যারা দ্বিতীয়বার নকআউট খেলার শেষ স্বপ্ন দেখছে। স্বপ্নপূরণ করতে দোহায় আল থুমামা স্টেডিয়ামে ‘এফ’ গ্রুপের ম্যাচটি ড্র-ই যথেষ্ট আফ্রিকান দেশটির। দুই দলের লড়াই শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়।
ড্র যথেষ্ট হলেও ১ পয়েন্টের আশায় খেলতে নামছে না মরক্কো। বুধবার (৩০ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়ে দলটির কোচ ওয়ালিদ রেগ্রাগুই বলেন, ‘আমরা এমন একটি দলের বিপক্ষে নামছি যাদের হারানোর কিছু নেই, কারণ তারা ইতোমধ্যে বাদ পড়েছে এবং তাদের মাথা উঁচু করে রাখতে মাঠে নামবে। কিন্তু আমাদের জন্য এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা অনুপ্রাণিত এবং একটি কঠিন ম্যাচের জন্য প্রস্তুত হচ্ছি।’
রেগ্রাগুই তার শিষ্যদের সতর্ক করেন এভাবে, ‘ড্র আমাদের জন্য যথেষ্ট, ২০ বা ৩০ শতাংশ দিলে হবে- এমনটা ভেবে ম্যাচ খেলতে নামলে ভুল হবে। আমরা এমন একটি দলের বিপক্ষে খেলব যারা বিশ্বকাপ থেকে তাদের প্রথম পয়েন্ট নিতে চায়, তাই তারা চূড়ান্ত বাঁশি না হওয়া পর্যন্ত তাদের সবকিছুই দেবে। আমরাও জয়ের খোঁজে আছি- যদি আমরা ড্রয়ের পথ খুঁজি, তবে এটি একটি ভুল হবে।’
এদিকে, ১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপে প্রথমাবার অংশ নিয়ে বলার মতো তেমন কিছুই করতে পারেনি কানাডা। ওই আসরে গ্রুপপর্বের তিন ম্যাচের প্রতিটিতে কোনো গোল না করেই হেরেছিল তারা। কাতারে অবশ্য গোলের খাতা খুলতে পেরেছে তারা। তবে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে এক গোল করলেও হজম করতে হয়েছে চারটি। তার আগে বেলজিয়ামের কাছে হেরেছে ১-০ ব্যবধানে। অর্থাৎ ফুটবলের সবচেয়ে মঞ্চে এখনো জয়হীন কনকাকাফের দলটি। কানাডা কোচ জন হার্ডম্যানের বিশ্বাস, শেষটায় অন্তত ইতিহাস গড়বে তার শিষ্যরা।
হার্ডম্যান বলেন, ‘আগামীকাল আমাদের খেলোয়াড়দের জন্য, আমাদের দেশের জন্য, এগিয়ে যাওয়ার একটি আসল সুযোগ। একটি দল হিসাবে আমরা কৌশলগতভাবে এবং আমাদের পরিচয়ের সঙ্গে, এই টুর্নামেন্টে কিছু বড় পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা আমাদের পরিচয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকব এবং আরও কিছু ইতিহাস গড়ার সুযোগ নিয়ে আমরা এই ম্যাচে নামব।’
এসএন