আর্জেন্টিনা ৬: পোল্যান্ড ৩
বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের শঙ্কা মাথায় নিয়ে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে আর্জেন্টিনা ও পোল্যান্ড। আজ বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় দোহায় ৯৭৪ স্টেডিয়াম মুখোমুখি হবে দুই দল। ফুটবলে এটা তাদের ১২তম সাক্ষাৎ। আগের ১১ বারের দেখায় ৬টিতে জিতেছে আর্জেন্টিনা, পোল্যান্ড ৩টিতে। ড্র হয়েছে বাকি দুই ম্যাচ। দুই অঞ্চলের দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত হয়েছে ৩০ গোল।
ইউরোপের প্রতিপক্ষটির বিপক্ষে লাতিনের দলটির গোল সংখ্যা ১৮। পোলিশরা আর্জেন্টিনার জাল কাঁপিয়েছে ১২ বার। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক দুই দলের কিছু পরিসংখ্যান:
* বিশ্বকাপে তৃতীয়বার মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা এবং পোল্যান্ড। ১৯৭৪ সালে পোলিশরা জিতেছিল ৩-২ গোলে। ১৯৭৮ সংস্করণে প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের পথে আর্জেন্টিনা পোল্যান্ডকে হারিয়েছিল ২-০ ব্যবধানে।
* ২০১১ জুনে প্রীতি মুখোমুখি হওয়ার এই প্রথম দেখা হবে আর্জেন্টিনা-পোল্যান্ড। ওই ম্যাচে ইউরোপের পক্ষে গিয়েছিল ফল (২-১)।
* বিশ্বকাপে লাতিন অঞ্চলের প্রতিপক্ষে বিপক্ষে পোল্যান্ড তাদের সবশেষ সাত ম্যাচের চারটিতে জিতেছে এবং সবশেষ তিন ম্যাচে কোনো গোল না করেই হেরেছে তারা।
* আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপে ইউরোপিয়ান দলের বিপক্ষে তাদের সবশেষ দুই ম্যাচের দুটোই হেরেছে: ২০১৮ সংস্করণে ক্রোয়েশিয়া (০-৩) এবং ফ্রান্সের বিপক্ষে (৩-৪)। টুর্নামেন্টে কখনোই ইউরোপিয়ান প্রতিপক্ষের বিপক্ষে টানা তিন ম্যাচ হারেনি আলবিসেলেস্তেরা।
* পোল্যান্ড তাদের সবশেষ তিন বিশ্বকাপ ম্যাচে ক্লিনশিট রেখেছে। ম্যাচগুলোতে ২৭টি শট (৯টি অন-শট) মোকাবিলা করতে হয়েছে তাদের।
* বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা তাদের সবশেষ ১৪ অংশগ্রহণে ১৩ বারের মতো নকআউট পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জনের প্রচেষ্টায় আছে। ২০০২ সালে তারা আটকে গিয়েছিল গ্রুপপর্বে।
* ১৯৮৬ সালের পর প্রথমবার নকআউটের খেলার স্বপ্ন দেখছে পোল্যান্ড। সবশেষ ১৯৮২ সংস্করণে ইউরোপের দলটি প্রথম রাউন্ডে তিন ম্যাচের প্রতিটিতে অপরাজেয় ছিল। তৃতীয় হয়ে ওই আসর শেষ করেছিল পোল্যান্ড।
* সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে আর্জেন্টিনার জার্সিতে টানা ৬ ম্যাচে গোলের দেখা পেয়েছেন লিওনেল মেসি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যৌথভাবে এটা তার সেরা (২০১১ নভেম্বর থেকে ২০১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টানা ৬ ম্যাচে গোল করেছেন)। বিশ্বকাপে মেসি এবং ডিয়েগো ম্যারাডোনার গোলসংখ্যা এখন সমান ৮। টুর্নামেন্টে আর্জেন্টিনার জার্সিতে তাদের ওপরে আছেন কেবল গ্যাব্রিয়ে বাতিস্তুতা (১০ গোল)।
* ২০২২ বিশ্বকাপে পোল্যান্ডের দুই গোলের দুটোতেই সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন রবার্ট লেভানদোভস্কি: একটি নিজে করেছেন এবং আরেকটি করিয়েছেন সতীর্থকে দিয়ে।
এমএমএ/