শেষ ষোলতে ইংল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র
‘বি’ গ্রুপ থেকে শেষ ষোলতে উঠেছে ইংল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র। ওয়েলসকে ২-০ গোলে হারিয়ে ইংল্যান্ড গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে খেলবে শেষ ষোলতে। ৩ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৭। ইরানকে ১-০ গোলে হারিয়ে ৫ পয়েন্ট নিয়ে রানার্সআপ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৪ সালের পর আবার তারা শেষ ষোলতে জায়গা করে নিয়েছে।
ইরান এ নিয়ে ছয়বার বিশ্বকাপ খেলে একবারও গ্রুপ পর্ব পার হতে পারেনি। প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে ৬-২ গোলে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ইকুয়েডরকে ২-০ গোলে হারিয়ে শেষ ষোলতে যাওয়ার লড়াইয়ে শামিল হয়েছিল ৩ পয়েন্ট নিয়ে।
‘বি ‘ গ্রুপ থেকে চার দলেরই সুযোগ উন্মুক্ত ছিল শেষ ষোলতে যাওয়ার। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েছে ইংল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র। ওয়েলসকে যেতে হলে ইংল্যান্ডকে হারাতে হতো ৩ গোলের ব্যবধানে। সেখানে নিজেরাই হেরে যায় ৩-০ গোলে.। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ইরানের শুধু ড্র করলেই হতো। যুক্তরাষ্ট্রের জয় ভিন্ন আর কোনও পথ খোলা ছিল না। তারা সে পথই খুঁজে নেয় ১-০ গোলে ম্যাচ জিতে। ৩ ডিসেম্বর ‘এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন নেদারল্যান্ডেরসের বিপক্ষে খেলবে যুক্তরাষ্ট্র। পরের দিন ‘এ’ গ্রুপের রানার্সআপ সেনেগালকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে ইংল্যান্ড।
আল তুমামা স্টেডিয়ামে একাধিক সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে যায় ৩৮ মিনিটে। আম দিক থেকে ভেসে আসা ক্রস থেকে ডেস্ট মাপা হেড করে বক্সের ভেতর পুলিসিককে দিলে তিনি তার যথাব্যবহার করেন দলকে ১-০ গোলে এগিয়ে নিয়ে।
প্রথমার্ধে ইরান চাপে থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে গোল পরিশোধের জন্য ঘুরে দাঁড়ায়। চাপ তৈরি করে যুক্তরাষ্ট্রের উপর। একাধিক সুযোগও তৈরি করে। কিন্তু কাঙ্খিত গোলের দেখা আর পায়নি।
আহমেদ বিন আলী স্টেডিয়ামে ওয়েলসকে প্রথমার্ধে ইংল্যান্ডকে গোল বঞ্চিত রাখতে পারলেও দ্বিতীয়ার্ধে আর সম্ভব হয়নি। পরপর দুই মিনিটে দুই গোল করে ইংল্যান্ড এগিয়ে যায়। ৫০ মিনিটে রাশফোর্ডের গোলে ইংল্যান্ড এগিয়ে যাওয়ার পর ৫১ মিনিটে অধিনায়ক কেনের পাস থেকে ফোডেন গোল করেন। ৬৮ মিনিটে ফিলিপসের কাছ থেকে বল পেয়ে রাশফোর্ড নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোল করেন। এবারের বিশ্বকাপে এটি ছিল তার তৃতীয় গোল। ইকুয়েডরের ভ্যালেন্সিয়া, ফ্রান্সের এমবাপে ও নেদারল্যান্ডসের গাকপোর সঙ্গে তিনি যৌথভাবে শীর্ষে আছেন।
এমপি/এএস