ফ্রান্স-ব্রাজিলের পর শেষ ষোলতে পর্তুগাল
ফ্রান্স-ব্রাজিলের পর তৃতীয় দল হিসেবে শেষ ষোলর টিকিট নিশ্চিত করেছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল। লুসাইল আইকনিক আর্ন্তজাতিক স্টেডিয়ামে ‘এইচ’ গ্রুপের খেলায় পর্তুগাল ২-০ গোলে উরুগুয়েকে পরাজিত করে। খেলার দুইটি গোলই করেন ব্রোনো ফার্নান্দেজ। আগের ম্যাচে তারা ৩-২ গোলে ঘানাকে হারিছিল। ২ ম্যাচে উরুগুয়ের পয়েন্ট ১ । হারলেও তাদের শেষ ষোলতে যাওয়ার শতভাগ সম্ভাবনা রয়েছে। ২ ডিসেম্বর গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলবে ৩ পয়েন্ট নিয়ে থাকা ঘানার বিপক্ষে। শেষ ষোলতে যেতে হলে তাদের ঘানাকে হারাতেই হবে। পর্তুগাল তাদের শেষ ম্যাচ খেলবে একই দিন দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে।
প্রথমার্ধের খেলা ছিল গোলশূণ্য। এ সময় পর্তুগাল বল পজিশন রাখতে পেরেছিল ৭০ ভাগ। উরুগুয়ের ছিল মাত্র ৩০ ভাগ। গোল পোষ্ট লক্ষ্য করে পর্তুগাল ৮টি, উরুগুয়ে তার অর্ধেক শট নিয়েছিল। অন টার্গেট শট আবার উরুগুয়ে একটি নিতে পারলেও পর্তুগাল একটিও নিতে পারেনি। কর্ণার আবার পর্তুগাল ৪টি, উরুগুয়ে ১টি পেয়েছিল। পতুগালের জল পজিশন বেশি থাকায় উরুগুয়ে ফাউল করে বেশি ১০টি। পর্তুগালের ২টি।
প্রথমার্ধের বল পজিশনের নিন্ত্রয়ণ ধরে রেখে দ্বিতীয়ার্ধে দুইটি গোল আদায় করে নেয় পর্তুগাল। ৫৪ মিনিটে ব্রোনো ফার্নান্দেজের গোলে এগিয়ে যায় পর্তুগাল। গোরেরিয়রের কাছ থেকে বল পেয়ে বামপ্রান্ত থেকে ব্রোনো ফার্নান্দেজের ডান পায়ের যে ক্রস করেন, তা থেকে রোনালদো লাফিয়ে উঠে হেড করতে গেলে উরুগুয়ের গোলরক্ষক রোচেট বলের পচিশন আর বুঝতে পারেননি। বল সরাসরি জালে প্রবেশ করে। যদিও প্রথমে মনে হয়েছিল রোনালদোর মাথায় লেগেছিল। কিন্তু প্রথমে কিন্তু গোল রোনালদোর নামেই দেখানো হয়েছিল। এমন কি পরিসংখ্যানে বিশ্বকাপে তার গোল ৯টি দেখিয়ে স্বদেশি ইউসেবিওর পাশে তার নাম দেখানো হয়েছিল। পরে সংশোধন করা হয়।
৭৭ ও ৭৮ মিনিচে উরুগুয়ে গোল পরিশোধের দুইটি সুযোগ নষ্ট করে। প্রথমটি বদলি খেলোয়াড় সুয়ারেজ, পরেরটি ডিয়গো কস্টা। ৭৭ মিনিটে আরেক বদলি খেলোয়াড় আরেসকেটার ফ্রি কিক থেকে বক্সের ভেতর সুয়ারেজ বল রিসিভ করে যে শট নেন তা সাইড বার ঘেষে চলে যায়। পরেরটি গোমেজের পাস থেকে ডিয়াগো কস্টার শট পর্তুগালের গোলরক্ষক রোচেট প্রতিহত করেন। পর্তগালের দ্বিতীয় গোলটি ছিল পেনাল্টি থেকে। ৮৮ মিনিটে ব্রোনো ফার্নান্দেজ বল ভেতরে ডুকার মুহুর্তে উরুগুয়ের একজন খেলোয়াড় তাকে বাঁধা দিতে গিয়ে মাটিতে পড়ে যাওয়ার সময় বল তার হাত লেগে যায়। এ সময় তিনি বক্সের ভেতর ছিলেন। রেফারি ভিএআরের সহায়তা নিয়ে পেনাল্টি দেন। পেনাল্টি থেকে লক্ষ্যভেদ করেন ব্রোনো ফার্নান্দেজ। ইনজুরি টাইম দেওয়া হয়েছিল ৯ মিনিট। এ সময় ব্রোনো ফার্নান্দেজ হ্যাটট্রিক করা থেকে বঞ্চিত হন। প্রথমে তার শট রক্ষা করেন রোচেট। পরেরটি বারে লেগে ফিরে আসে।
এমপি/এএস