নকআউট নয়, ডাচদের টার্গেট শিরোপা
এখনো নকআউট পর্ব নিশ্চিত করতে পারেনি নেদারল্যান্ড। শেষ ষোলোতে খেলার যোগ্যতা অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে আগামীকাল স্বাগতিক কাতারের মুখোমুখি হবে ডাচরা। তার আগে, সোমবার (২৮ নভেম্বর) কোচ লুইস ফন গাল জানালেন যে নকআউট নয়, নেদারল্যান্ডের টার্গেট শিরোপা।
টানা ১৭ ম্যাচ অপরাজেয় ডাচরা। তারা বিশ্বকাপ শুরু করেছে সেনেগালকে ২-০ গোলে হারিয়ে। এরপর ১-১ গোলে ড্র করে ইকুয়েডরের সঙ্গে। কাল আল বায়েত স্টেডিয়ামে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে কাতারের বিপক্ষে এক পয়েন্ট পেলেই শেষ ষোলোতে নাম লিখাবে নেদারল্যান্ড।
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটির আগে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়ে ফল গাল বলেন, ‘আমি মনে করি আপনাকে সর্বদা টার্গেট নির্ধারণ করতে হবে, বিশেষ করে যে উদ্দেশ্যে আপনি এখানে (কাতারে) এসেছেন। যদি বলেন যে শেষ ষোলো বা কোয়ার্টার ফাইনালই যথেষ্ট, তাহলে সেটা করার সঠিক উপায় নয়।’
‘এ’ গ্রুপে শীর্ষে থাকলেও ডাচদের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে ইকুয়েডরের। সমান ৪ পয়েন্ট এবং সমান গোল ব্যবধান নিয়ে টেবিলে দ্বিতীয় আছে লাতিন অঞ্চলের দলটি। তবে কাতারের বিপক্ষে হেরেও নকআউট খেলার সুযোগ আছে নেদারল্যান্ডের, যদি ইকুয়েডর হারায় সেনেগালকে।
তবে যে দলটিকে ২০১৪ বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে তুলেছিলেন ফন গাল, তাদের কাছে এবার আরও বেশি কিছু চান ডাচ কোচ, ‘আমি কখনোই বলিনি যে আমরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে যাচ্ছি। আমি বলেছিলাম যে আমরা এটি হতে পারি, আমাদের সুযোগ আছে এবং খেলোয়াড়রাও এ সম্পর্কে জানে।’
এদিকে, কাতারের জন্য কালকের ম্যাচটি নিছক আনুষ্ঠানিকতা। কেননা, টানা দুই হারে ইতোমধ্যে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছে স্বাগতিকরা। তবুও মাথা উঁচু কোচ ফেলিক্স সানচেজের, ‘আমি হতাশ কিংবা বিব্রত বোধ করি না। আমি মনে করি এই খেলোয়াড়রা দেখিয়েছে তারা অনেক প্রতিযোগিতায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে।’
ম্যাচ ফ্যাক্ট
* বিশ্বকাপে এশিয়ার দলের বিপক্ষে নেদারল্যান্ড তাদের চার ম্যাচের প্রতিটি জিতেছে। ম্যাচগুলোতে ১১ গোল করার বিপরীতে হজম করেছে মাত্র ১টি। ফুটবলে প্রথমবারের মতো কাতারের মুখোমুখি হবে তারা।
* বিশ্বকাপে চতুর্থবারেরর মতো আয়োজক দেশের বিপক্ষে লড়বে নেদারল্যান্ড। ১৯৭৪ এবং ১৯৭৮ সালে যথাক্রমে জার্মানি ও আর্জেন্টিনার বিপক্ষে হেরেছে তারা। ২০১৪ সংস্করণে ব্রাজিলকে হারিয়েছিল তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে।
* বিশ্বকাপে মাত্র একবার গ্রুপপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচ হেরেছে সেনেগাল (দ্বিতীয় গ্রুপপর্ব বাদ দিয়ে)। জিতেছে ৪ ম্যাচে এবং ড্র করেছে ৩টি।
* ২০২২ বিশ্বকাপে কাতার তাদের দুটো ম্যাচই হেরেছে। কোনো একক স্বাগতিক দেশ কখনো টুর্নামেন্টের একটি সংস্করণে তিনটি ম্যাচ হারেনি।
* বিশ্বকাপে সবশেষ ছয় সংস্করণের মধ্যে পাঁচটিতে স্বাগতিকরা তাদের গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচ জিতেছে। ২০১৮ সালে স্বাগতিক রাশিয়া ৩-০ গোলে হেরেছিল উরুগুয়ের কাছে।
* গ্রুপপর্বে এখন পর্যন্ত পাঁচটি গোল হজম করেছে কাতার। গ্রুপপর্বে কখনোই কোনো স্বাগতিক দলকে এর চেয়ে বেশি গোল করতে হয়নি, ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার জাল কেঁপেছিল পাঁচবার।
/এএস