সেই হারের বদলা নিতে পারবে পর্তুগাল?
গত বিশ্বকাপে পর্তুগালকে নকআউট করেছিল উরুগুয়ে। রাশিয়ায় শেষ ষোলোতে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এবং তার সতীর্থদের কাঁদিয়েছিলেন লুইস সুয়ারেজ-এডিনসন কাভানিরা।
কাতারে বিদায়ের শঙ্কা মাথায় আজ রাত ১টায় (বাংলাদেশ সময়) পর্তুগালের মুখোমুখি হবে উরুগুয়ে। এবার সেই হারের বদলা নিতে পারবে পর্তুগাল? প্রশ্নটা ছিল ফার্নান্দো সান্তোসের কাছে। স্পষ্ট জবাব পাওয়া যায়নি তার কাছ থেকে।
গতকাল (রবিবার) সংবাদ সম্মেলনে পর্তুগাল কোচ কেবল জানিয়ে রাখেন— আজ লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে দুর্দান্ত একটি খেলা হতে চলেছে।
বিশ্বকাপে গত সংস্করণে প্রথম দেখা হয়েছিল দুই দলের। সোচিতে সেই ম্যাচে কাভানির জোড়া গোলে ২-১ ব্যবধানে হেরেছিল পর্তুগাল। সংবাদ সম্মেলনে এ সব প্রসঙ্গ উঠতেই সান্তোস বলেছেন, ‘তখন কাভানি এবং সুয়ারেজের বয়স আরও কম ছিল, কিন্তু তাদের গুনগত মান নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।’
পর্তুগাল কোচের মতে, উরুগুয়ের এবারের দলও শক্তিশালী এবং তারাও প্রস্তুত, ‘রাশিয়া বিশ্বকাপে সেই দলটি ছিল দুর্দান্ত, এবারও। এটা শক্তিশালী একটি দল, প্রযুক্তিগত দিক থেকে এগিয়ে এবং খেলার সময় ভারসাম্য বজায় রাখে। দুর্দান্ত একটি খেলা হতে যাচ্ছে।’
বের্নার্দো সিলভা অবশ্য এড়িয়ে যান সেই অতীত। বর্তমানে চোখ রাখছেন পর্তুগাল মিডফিল্ডার, ‘এটা ভিন্ন একটি ম্যাচ। আমাদের ৩ পয়েন্ট আছে এবং তাদের ১, এটি গ্রুপপর্বে। তবে উরুগুয়ে কঠিন, আক্রমণাত্মক একটি দল, যারা ভালো পাল্টা আক্রমণও করে। যদি আপনি ভুল করেন, সেই ভুল ভালোভাবে কাজে লাগায় তারা। তাই জয়ের জন্য সেরা উপায়টি বের করব আমরা।’
অপরদিকে, উরুগুয়ে কোচ ডিয়েগো আলোনসো বলেছেন, ‘তাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় আছে, যাদের ক্যারিয়ার দারুণ। আমাদেরও আছে। আমরা রক্ষণে খুব কমপ্যাক্ট হওয়ার চেষ্টা করব। তাদের খুব বেশি চিন্তা করতে দেওয়া যাবে না এবং (ম্যাচে) সেরা অবস্থানে থাকতে হবে। আমরা জানি যে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ।’
ম্যাচ ফ্যাক্ট
বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বার মুখোমুখি হবে পর্তুগাল এবং উরুগুয়ে। রাশিয়ায় সবশেষ সংস্করণে দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে পর্তুগালকে বিদায় করেছিল লাতিন অঞ্চলের দলটি।
বিশ্বকাপে ইউরোপিয়ান প্রতিপক্ষের বিপক্ষে উরুগুয়ে তাদের সবশেষ পাঁচ ম্যাচের চারটি জিতেছে।
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে লাতিন অঞ্চলের দলের বিপক্ষে পর্তুগাল তাদের সবশেষ ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে জয় পেয়েছে (৩ ড্র, ৫ হার)। ২০১৪ সালে প্রীতি ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল তারা।
ঘানার বিপক্ষে ৩-২ গোলের জয় দিয়ে কাতার বিশ্বকাপ শুরু করেছে পর্তুগাল। টুর্নামেন্টে তৃতীয়বারের মতো গ্রুপপর্বের প্রথম দুই ম্যাচ জয়ের হাতছানি তাদের সামনে। এমনটা ১৯৬৬ এবং ২০০৬ সংস্করণে করেছিল পর্তুগিজরা। ওই দুই আসরেই সেমিফাইনাল খেলেছিল পর্তুগাল।
বিশ্বকাপে উরুগুয়ে তাদের শেষ দুই ম্যাচে গোল করতে ব্যর্থ হয়েছে। টুর্নামেন্টে মাত্র একবারই টানা তিন ম্যাচে গোলহীন ছিল দলটি (১৯৮৬ এবং ১৯৯০ বিশ্বকাপের মধ্যে)। তবে লাতিন অঞ্চলের দলটি সবশেষ তিন অংশগ্রহণেই গ্রুপপর্বে তাদের দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পেয়েছে।
উরুগুয়ে বিশ্বকাপে তাদের শেষ পাঁচ গ্রুপপর্বের ম্যাচের প্রতিটিতে ক্লিনশিট রেখেছে। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে কোনো দলই টানা ৬ ম্যাচে ক্লিনশিট রাখতে পারেনি।
পর্তুগাল বিশ্বকাপে তাদের সবশেষ ১৩ গ্রুপপর্বের ম্যাচের মধ্যে ১টিতে হেরেছে (৭ জয়, ৫ ড্র)। ২০১৪ টুর্নামেন্টে নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে জার্মানির কাছে ৪-০ গোলে ধরাশায়ী হয়েছিল তারা।
আরএ/