নেইমারহীন ব্রাজিলও শক্তিশালী
গ্রুপপর্বে ব্রাজিল তাদের শেষ দুই ম্যাচ খেলবে নেইমারকে ছাড়া। তারই একটিতে আজ দোহায় ৯৭৪ স্টেডিয়ামে সুইজারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে সেলেকাওরা। বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় শুরু হতে যাওয়া ‘জি’ গ্রুপের ম্যাচটিতে ফেবারিটের আসনে সর্বোচ্চ পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা।
কেননা, নেইমারহীন ব্রাজিলও শক্তিশালী। এবার বিশ্বমঞ্চে সেলেকাওদের সঙ্গী হতে পারেননি রবার্তো ফিরমিনো। তাকে ছাড়াই বিশ্বকাপ পরিকল্পনা সাজাতে হয় তিতেকে। এতটুকু তথ্যই বলে দেয় ব্রাজিলিয়ান কোচের হাতে কত অপশন আছে।
তাই আজ যখন ইনজুরির কারণে ম্যাচের বাইরে নেইমার, তখন তিতের কাছে রয়েছে কমপক্ষে ৮টি অপশন। এটা সত্য, কারণ নেইমারসহ মোট ৯ ফরোয়ার্ডকে বিশ্বকাপ দলে রেখেছেন তিনি। ব্রাজিল তাদের উদ্বোধনী ম্যাচ খেলেছে ৪-২-৩-১ ছকে। স্কোরিং পজিশনে ছিলেন রিচার্লিসন। তাকে বলের যোগান দেওয়ার দায়িত্ব ছিল তিন ফরোয়ার্ড— নেইমার, ভিনিসিউস জুনিয়র এবং রাফিনহা।
আজ যদি ৯৭৪ স্টেডিয়ামে সুইসদের বিপক্ষে একই ছকে দলকে খেলান তিতে, তবে নেইমারের পজিশনে খেলতে প্রস্তুত অ্যান্থনি, রদ্রিগো, গ্যাব্রিয়েল মার্টেনেল্লি এবং পেদ্রো। এমনকি মিডফিল্ড পোক্ত করার রসদও আছে তাদের ২৬ সদস্যের স্কোয়াডে।
তাই নেইমারকে হারিয়েও শান্ত আছে সেলেকাওরা। কাসেমিরো বলেছেন, ‘আমরা বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়ের কথা বলছি। তার মানের একজনকে খুঁজে পাওয়া কঠিন। কিন্তু আমাদের দলে অনেক মানসম্পন্ন খেলোয়াড় আছে যারা তার পজিশনে ভালো খেলতে পারে।’
রবিবার সংবাদ সম্মেলনে তিতে বলেছেন, ‘ব্রাজিল তাদের সমস্ত দুর্দান্ত প্রতিভাকে বিশ্বাস করে। নেইমার একজন ব্যতিক্রমী খেলোয়াড়, তবে আমরা সবার ওপর বিশ্বাস রাখি। হয়ত আমরা ভিনির (ভিনিসিউস জুনিয়র) কাছ থেকে একটি ড্রিবল দেখতে পাব, ফিনিশিংয়ে রিচার্লিসন কিংবা পেড্রোর সৃজনশীলতা দেখতে পাব। এটা হবে কারণ তাদের সেই সৃজনশীলতা আছে।’
তিতে আরও বলেন, খেলোয়াড়রা সমস্ত চাপের মধ্যেও অনেকটা শান্ত থাকতে পারে যা অবাক করার মতো বিষয়।
একই মঞ্চে কোচের পাশে বসে ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মার্কুইনহোসও বলেন একই কথা, আমরা আগেও দেখিয়েছি। আমরা আবারও দেখাতে প্রস্তুত যে দলটি শক্তিশালী, ভালো অনুশীলন করেছে, সর্বোপরি যেকোনো কিছুর জন্য প্রস্তুত।
আরএ/