রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

‘ক্ষুধার্ত’ ঘানাকে দমিয়ে রাখতে চায় কোরিয়া

হার দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছে ঘানা। দক্ষিণ কোরিয়া তাদের উদ্বোধনী ম্যাচ করেছে গোলশূন্য ড্র। এতে ‘এইচ’ গ্রুপে চাপে রয়েছে উভয় দল। চাপমুক্ত হতে জয়ের ক্ষুধা বেড়েছে ঘানার। অপরদিকে ‘ক্ষুধার্ত’ প্রতিপক্ষকে দমিয়ে রাখতে চায় দক্ষিণ কোরিয়া।

আগামীকাল বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে ঘানা এবং দক্ষিণ কোরিয়া। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় আল রায়ানে এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে গড়াবে দুই দলের লড়াই।

মাঠে ঘানা-দক্ষিণ কোরিয়ার ফুটবলারদের লড়াই শুরুর আগে ‘বাকযুদ্ধে’ ভালোই লড়লেন দুই দলের কোচ। রবিবার (২৭ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে কোরিয়া বস পাওলো বেন্তো বলেন, ‘আমি আগেই বলেছি যে আমি কোনো চাপ অনুভব করি না, কখনো করিনি এবং করব না। (ঘানার বিপক্ষে) দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের জন্যই মাঠে নামব আমরা।’

বেন্তোর মতে, নির্ভার রয়েছে তার শিষ্যরাও, ‘আমি কোনো চাপ অনুভব করি না। খেলোয়াড়রাও আমার মতো করে অনুভব করতে চায়, কিন্তু আমি জানি তারা ভিন্ন সংস্কৃতি থেকে এসেছে। আমাদের জন্য কঠিন একটি ম্যাচ। তবে ভালো করার সামর্থ্য আছে আমাদের।’

বেন্তোর শিষ্যদের সেই সামর্থ্যে ঘাটতি ফুটিয়ে তুলতে চান অটো অ্যাডো, ‘আমরা দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ক্ষুধার্ত একটি দল দেখতে পাব। শেষ ম্যাচেও একই ক্ষুধা থাকবে। সবাই ভালো খেলতে এবং অনুশীলনের জন্য ক্ষুধার্ত। আমরা কোরিয়ার বিপক্ষে প্রতিটি আক্রমণ থামানোর চেষ্টা করব।’

নিজ পরিকল্পনা আড়ালেই রেখেছেন ঘানা কোচ অ্যাডো। তবে তাদের থামানোর পরিকল্পনা কিছুটা হলেও খোলাশা করেছেন বেন্তো, ‘ঘানা দারুণ একটি দল এবং শীর্ষ পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী খেলোয়াড়ের প্রতি আমাদের মহান এবং পরম শ্রদ্ধা রয়েছে। আমাদের নিজেদের কৌশলের মাধ্যমে চেষ্টা করতে হবে।’

কোরিয়া কোচ যোগ করেন, ‘আমরা নিজেদের দক্ষতা সম্পর্কে সচেতন এবং জানি যে ঘানা কতটা ভালো। এটি এমন একটি ম্যাচ হবে যেখানে কিছু মুহূর্তের মধ্যে আমাদের খেলা নিয়ন্ত্রণ করা ক্ষমতা থাকবে। আমরা দ্রুত ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে চাই এবং সেই মুহূর্তগুলোও যখন তারা আক্রমণে থাকবে।’

ম্যাচ ফ্যাক্ট
২০১৪ সালের জুনে প্রীতি ম্যাচের পর প্রথমবার মুখোমুখি হবে দক্ষিণ কোরিয়া এবং ঘানা। সেই দেখায় জর্ডান আইউর হ্যাটট্রিক ব্ল্যাক স্টাররা জিতেছিল ৪-০ গোলে।

বিশ্বকাপে আফ্রিকান দেশের বিপক্ষে দক্ষিণ কোরিয়া তাদের তিন ম্যাচের প্রতিটিতে দুটি করে গোল করেছে—২০০৬ সালে টোগোকে হারায় ২-১ ব্যবধানে, ২০১০ সালে নাইজেরিয়ার সঙ্গে ড্র করে ২-২ গোলে এবং ২০১৪ সালে আলজেরিয়ার কাছে হারে ৪-২ গোলে।

বিশ্বকাপে টানা পাঁচ ম্যাচ জয়হীন ঘানা (২ ড্র, ৩ হার)। আরেকটি হারে টানা দ্বিতীয়বার টুর্নামেন্টের প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নেবে। ২০১৪ সালে প্রথম রাউন্ডে থেমেছিল আফ্রিকান দলটি। রাশিয়া বিশ্বকাপে ছিল না ঘানা। তবে বিশ্বকাপে প্রথম দুই অংশগ্রহণে (২০০৬ এবং ২০১০ সংস্করণে) নকআউট খেলেছিল তারা।

দক্ষিণ কোরিয়া তাদের শেষ পাঁচ বিশ্বকাপ ম্যাচের তিনটিতে গোলের দেখা পায়নি। এ বছর সবশেষ চার ম্যাচের দুটিতে কোনো অন-শট ছিল না তাদের।

বিশ্বকাপে ঘানা তাদের সবশেষ ৬ ম্যাচের প্রতিটিতে গোল করেছে। টুর্নামেন্টে আফ্রিকান দলগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র নাইজেরিয়া (১৯৯৪ থেকে ১৯৯৮ সালের মধ্যে ৮টি) টানা বেশি ম্যাচে গোল করেছে।

বিশ্বকাপে আগের ১০ অংশগ্রহণে দক্ষিণ কোরিয়া কখনোই গ্রুপপর্বে তাদের দ্বিতীয় ম্যাচ জিততে পারেনি (৪ ড্র, ৬ হার)। সবশেষ তিন সংস্করণেই হেরেছে দ্বিতীয় ম্যাচ: ২০১৪ সালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ১-৪, ২০১৪ সালে আলজেরিয়ার বিপক্ষে ২-৪ গোলে এবং ২০১৮ সালে মেক্সিকোর বিপক্ষে ১-২ গোলে।

আরএ/

Header Ad
Header Ad

থাকবে না সরকারি ছুটি

২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা

পিলখানা হত্যাকাণ্ড। ছবি: সংগৃহীত

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের জন্য ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।

সকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে আজই প্রজ্ঞাপন জারি হবে। এ বছর থেকে দিবসটি পালন করা হবে। তবে এ দিনে থাকবে না সরকারি ছুটি।

মন্ত্রিপরিষদ সচিবের এমন বক্তব্যের কিছু সময় পরই ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা করে পরিপত্র জারি করা হয়।

Header Ad
Header Ad

প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু

ছবি: সংগৃহীত

১৯৭১ সালের পর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি বাণিজ্য শুরু হয়েছে। সরকারি পর্যায়ের চুক্তির (জি টু জি) আওতায় বিপুল পরিমাণ চাল নিয়ে একটি পাকিস্তানি কার্গো জাহাজ বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা করেছে।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, এই প্রথমবার সরকার অনুমোদিত একটি কার্গো জাহাজ করাচির পোর্ট কাসিম থেকে বাংলাদেশের পথে রওনা দিয়েছে। চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে মোট ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করছে, যা পাকিস্তানের ট্রেডিং করপোরেশন (টিসিপি) সরবরাহ করছে।

চলতি ফেব্রুয়ারির শুরুতে এই চুক্তি চূড়ান্ত করা হয়। দুই ধাপে চাল রপ্তানির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। প্রথম চালানের আওতায় ২৫ হাজার টন চাল ইতোমধ্যে বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা করেছে। আগামী মার্চের শুরুতে দ্বিতীয় চালানে আরও ২৫ হাজার টন চাল পাঠানো হবে।

এবারের চালান বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে, কারণ এটি ১৯৭১ সালের পর প্রথমবারের মতো পাকিস্তান ন্যাশনাল শিপিং করপোরেশনের (পিএনএসসি) কোনো জাহাজ সরকারি কার্গো নিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছাবে। এই ঘটনা দ্বিপাক্ষিক সামুদ্রিক বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সরাসরি বাণিজ্যিক যোগাযোগ স্থগিত ছিল। এই উদ্যোগ দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করবে এবং সামুদ্রিক পথ ব্যবহারের নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরাসরি জাহাজ চলাচলের ফলে বাণিজ্যিক কার্যক্রম আরও সহজ হবে এবং দুই দেশের ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

Header Ad
Header Ad

৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর, জানা গেল নাম

পুলিশের ৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর। ছবি: সংগৃহীত

উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) পদের চার কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার। আজ রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপনে তাঁদের বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়।

অবসরে পাঠানো চারজন হলেন- এন্টি টেররিজম ইউনিট কর্মরত ডিআইজি মো. নিশারুল আরিফ, নৌ পুলিশের কর্মরত ডিআইজি মো. আব্দুল কুদ্দুছ আমিন, হাইওয়ে পুলিশে কর্মরত ডিআইজি মো. আজাদ মিয়া, এনডিসি ও আমেনা বেগম।

 এতে বলা হয়, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন)-এর ৪৫ ধারার বিধান অনুযায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে এই চারজনকে অবসর প্রদান করা হলো। 

তারা বিধি অনুযায়ী অবসরজনিত সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন। জনস্বার্থে জারীকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়। 

এর আগে বিতর্কিত শেষ তিন সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা তিন সচিবসহ ২২ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর পাঠানো হয়। গত বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা
প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু
৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর, জানা গেল নাম
পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী, কোনো দলের নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ধর্ষণের প্রতিবাদে আসাদ গেটে ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ
স্ত্রীর সামনে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
দুই ফুসফুসেই নিউমোনিয়া, পোপ ফ্রান্সিসের অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’
সংস্কার কমিশনের সুপারিশ: জুনেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন
নওগাঁয় রাতে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি
প্রযোজনায় নাম লেখালেন বুবলি  
চোখে লাল কাপড় বেধে ঢাকার উদ্দেশ্যে কুয়েটের ৮০ শিক্ষার্থী  
বিয়ে বাড়িতে গান বাজানোর জেরে বাসর ঘরে হামলা  
আজ দুবাইয়ে ভারত-পাকিস্তান মহারণ  
মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার  
দুপুরের মধ্যে ১৪ জেলায় বজ্রবৃষ্টির আভাস  
সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে যা জানালো র‍্যাব  
এ বছরই মধ্যে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন : দুদু  
জিম্মিদের ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল  
জশ ইংলিসের সেঞ্চুরিতে রেকর্ড গড়ে ইংল্যান্ডকে হারাল অস্ট্রেলিয়া
১৫ বছর দলীয় বিবেচনায় অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানানো হয়েছে: উপদেষ্টা ফারুক