যুক্তরাষ্ট্রে আটকা পড়ল ইংল্যান্ড
যুক্তারষ্ট্র-ইংল্যান্ড দুইটি দেশই বিশ্বে পরাশক্তি। কিন্তু ফুটবল মাঠে ইংল্যন্ডই পরাশক্তি। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র অনেক পিছিয়ে। সেই যুক্তরাষ্ট্রেই আটকা পড়েছে ইংল্যান্ড। টপকাতে পারনি মার্কিন বাঁধা। আল বায়াত স্টেডিয়ামে ‘বি’ গ্রুপের খেলাটি গোলশূন্য ভাবে শেষ হয়েছে। এর ফলে ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ইংল্যান্ড শেষ ষোলর পথে এক পা দিয়ে রেখেছে। সমান ম্যাচের ২ পয়েন্ট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রও শামিল আছে শেষ ষোলতে যাওয়ার লড়াইয়ে। আগের ম্যাচে তারা ওয়েলসের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছিল। ২৯ নভেম্বর নির্ধারিত হবে ‘বি’ গ্রুপের ভাগ্য। ইংল্যান্ড খেলবে ওয়েলসেন বিপক্ষে। ১ পয়েন্ট নিয়ে ওয়েলসও আছে শেষ ষোলতে যাওয়ার লড়াইয়ে। যুক্তরাষ্ট্র খেলবে ইরানের বিপক্ষে। শুক্রবার ইরান ২-০ গোলে ওয়েলসকে হারিয়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে আছে 'বি’ গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে।
মাঠের ইংল্যান্ড যতই শক্তিশালী হোক না কেন, মাঠের লড়াই-ই বলে দেয় যুক্তরাষ্ট্র কতটা সমান তালে লড়েছে। বল পজিশনে তারা খুব পিছিয়ে ছিল না। ক্ষেত্র বিশেষে তারা এগিয়েও ছিল। ইংল্যান্ডের বল পজিশন ছিল ৫৫ ভাগ, যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫ ভাগ। কিন্তু গোলপোস্টে শট নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ১০টি, ইংল্যান্ড ৮টি। অন টার্গেট শট ছিল ইংল্যান্ডের ৩টি, যুক্তরাষ্ট্রের ১টি। কর্নার যুক্তারাষ্ট্র পেয়েছিল ৭টি, ইংল্যান্ড ৩টি। খেলার আবার সবচেয়ে সহজ সুযোগও এসেছিল যুক্তরাষ্ট্রের।
১০ মিনিটে ইংল্যান্ড প্রথম সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি। সাকা-বেলিংহ্যাম হয়ে অধিনায়ক হ্যারিকেনের নিচু শট কাজে লাগেনি। ১৪ মিনিটে আবারও সাকা বক্সে ডুকে হ্যারিকেনকে বল দিয়েছিলেন। হ্যারিকেন ভলি করতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়ের জন্য ব্যর্থ হন। ২০ মিনিটে যুক্তারাষ্ট্র প্রথম সুযোগ পায়। ডিস্ট সুযোগ নষ্ট করেন। ২৪ মিনিটে হ্যারি ম্যাগুয়েরা চমৎকার পাস দিয়েছিলেন রহিম স্ট্যালিংকে উদ্দেশ্যে করে। কিন্তু তার আগেই যুক্তারষ্ট্রের রক্ষণভাগ বল ক্লিয়ার করে। ২৬ মিনিটে নিশ্চিত গোল হজম করা থেকে রক্ষা পায় ইংল্যান্ড। তাইমোতি ওয়েহর ক্রস থেকে ওয়েস্টন ম্যাককনির শট বারের উপর দিয়ে চলে যায়। এটি ছিল প্রথমার্ধের সেরা সুযোগ। ২৯ মিনিটে ইংল্যান্ডের গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ডের আবারও পরীক্ষা নেন যুক্তারাষ্ট্রের খেলোয়াড়রা। ইউনুস মুসার শট সরাসরি পিকফোর্ডের হাতে চলে যায়। ৩৩ মিনিটে ক্রিস্টিয়ান পলিস্কির কোনাকুনি শট বার ক্রসবারে লেগে চলে যায়। ৪৫ মিনিটে ইংল্যান্ড আবার সুযোগ পায় লুক শ’র ক্রস থেকে সাকার শট বারের উপর দিয়ে চলে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধেও দুই দল গোল করার জন্য চেষ্টা চালাতে থাকে। কিন্তু সেরকম কোনও সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। দুই দলই এ সময় তিনটি করে পরিবর্তন আনে। কিন্তু ম্যাচেরর চিত্রনাট্যের পরিবর্তন আনতে পারেনি। তারপরও ইনজুরি টাইমে লুক শ’র ফ্রি কিক থেকে হ্যারিকেনের হেড সাইড বার দিয়ে চলে গেলে ইংল্যান্ডের শেষ সম্ভাবনা হাতছাড়া হয়ে যায়।
এমপি/এএস