ছয়ে ছয় চায় সেনেগাল
সাদিও মানেহীন সেনেগাল শুভসূচনা পায়নি বিশ্বকাপে। নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরেছে ২-০ গোলে। এখন গ্রুপপর্বে নিজেদের সবশেষ দুই ম্যাচকে টার্গেট বানিয়েছে আফ্রিকান দলটি। নকআউট খেলার স্বপ্ন পূরণ করতে হাতে থাকা ছয় পয়েন্টের প্রত্যেকটি নিজেদের ঝুলিতে জমা করতে চায় সেনেগাল।
অবশিষ্ট দুই ম্যাচের একটি আগামীকাল (২৫ নভেম্বর) খেলতে নামবে আলিউ সিসের দল। আল থুমামা স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৭টায় তাদের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক কাতার। ফেলিক্স সানচেজের দলও হার দিয়ে টুর্নামেন্ট দিয়ে। তাদেরকে ২-০ গোলে পরাজয়ের স্বাদ দিয়েছে লাতিন অঞ্চলের প্রতিপক্ষ ইকুয়েডর। বিশ্বমঞ্চে হারের গণ্ডি পেরুনোই এখন দুই দলের প্রধান লক্ষ্য।
বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) সেনেগাল ডিফেন্ডার কালিদৌ কালিবালি বলেন, ‘(নকআউটে খেলা) এটা সহজ হবে না। আমরা হার দিয়ে শুরু করেছি এবং দেয়ালে আমাদের পিঠ ঠেকে আছে, কিন্তু আমরা লায়ন্স এবং ছয়ের মধ্যে ছয় পয়েন্ট পাওয়ার চেষ্টা করব।’
কালিবালিদের নিয়ে গর্বিত সেনেগাল কোচ সিসেও। তিনি বলেন, ‘নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সেনেগাল খারাপ করেনি। আমরা বিশ্বমানের খেলোয়াড়দের নিয়ে বিশ্বের অন্যতম সেরা দলের মুখোমুখি হয়েছিলাম। আমি আমার খেলোয়াড়দের নিয়ে খুব খুশি এবং খুব গর্বিত।’
সিসের দৃঢ় বিশ্বাস, আগামীকাল গোলের খাতা খুলবে তার দল, ‘গোল মনস্তাত্ত্বিক বিষয়। বল জালে ফেলতে আপনার নির্দিষ্ট পরিমাণ আগ্রাসন প্রয়োজন। আমাদের ফরোয়ার্ডরা গোল করতে সক্ষম। তারা এটি আগেও দেখিয়েছে। আমি নিশ্চিত তারা আগামীকাল আবার দেখাবে।’
অন্যদিকে সব চাপ ঝেড়ে ফেলে নতুন উদ্যোমে জেগে উঠার অপেক্ষায় কাতার। সংবাদ সম্মেলনে স্বাগতিক কোচ ফেলিক্স সানচেজ বলেন, ‘আমরা সাধারণত বলি যে আমরা ভুল থেকে শিখি, তাই আমরা আশা করি এখন আমরা উদ্বোধনী ম্যাচের সব চাপ থেকে মুক্ত হয়েছি।’
তিনি যোগ করেন, ‘আশা করছি আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারব। আমাদের ‘এ’ লেভেলের খেলা ফিরিয়ে আনতে পারব এবং দেখাতে পারব যে ফল যাই হোক না কেন, আমরা অন্যদিনের তুলনায় আরও বেশি লড়াকু হতে পারি। মূল বিষয় হলো আমাদের সেরা পারফরম্যান্স দেখানো। আমাদের উন্নতির অনেক জায়গা আছে।’
কাতার ডিফেন্ডার ইসমাইল মোহাম্মদ আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছেন সৌদি আরব এবং জাপানের অবিশ্বাস্য জয় দেখে। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত যে পারফরম্যান্স দেখেছি, বিশেষ করে আরব দলগুলোর, তারা আমাদের ঈর্ষান্বিত করে তোলে এবং আমাদেরকে তাদের মতো পারফর্ম করতে অনুপ্রাণিত করে। আমরা আগামীকাল আমাদের সব দিতে চাই এবং মাঠে নিজেদের প্রমাণ করতে চাই।’
ম্যাচ ফ্যাক্ট
* ফুটবলে প্রথমবার দেখা হবে কাতার এবং সেনেগালের। বিশ্বকাপে প্রথমবার স্বাগতিক দেশের মুখোমুখি হবে সেনেগাল।
* বিশ্বকাপে পূর্বে একবার এএফসির প্রতিপক্ষকে মোকাবিলা করেছে সেনেগাল। রাশিয়ায় সবশেষ টুর্নামেন্টে ওই ম্যাচে জাপানের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছিল তারা।
* কাতার প্রথম আয়োজক দেশ যারা বিশ্বকাপে তাদের উদ্বোধনী ম্যাচ হেরেছে (ইকুয়েডরের বিপক্ষে)। মাত্র চারটি আয়োজক দেশ টুর্নামেন্টে ব্যাক-টু-ব্যাক হারের স্বাদ পেয়েছে- ১৯৮২ সালে স্পেন, ১৯৯৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ২০০২ সালে দক্ষিণ কোরিয়া এবং ২০১৪ সালে ব্রাজিল।
* কাতার ইকুয়েডরের বিপক্ষে তাদের উদ্বোধনী ম্যাচে একটিও অন-শট নিতে পারেনি।
* সেনেগাল তাদের শেষ দুই বিশ্বকাপ ম্যাচ হেরেছে। এর আগে টুর্নামেন্টে নিজেদের ৭ ম্যাচের মাত্র একটিতে হেরেছে তারা (৩ জয়, ৩ ড্র)। হারের ম্যাচগুলো একটিতেও গোলে দেখা পায়নি সেনেগাল।
* ২০০২ সালে ফ্রান্সের বিপক্ষে তাদের প্রথম বিশ্বকাপের ম্যাচে একটি ক্লিনশিট রাখার পর থেকে সেনেগাল টুর্নামেন্টে তাদের শেষ আট ম্যাচের প্রতিটিতে গোল হজম করেছে।
এসজি