মেসিদের অঘটনের মঞ্চে নেইমারদের শুরু
চলতি বিশ্বকাপের প্রথম অঘটন ঘটেছে লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে। এই ভেন্যুতে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে অবিশ্বাস্য জয় তুলে নিয়েছে সৌদি আরব। মেসিদের অঘটনের মঞ্চেই শুরু হচ্ছে নেইমারদের ‘হেক্সা মিশন’। লুসাইলে বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১টায় মুখোমুখি হবে ব্রাজিল ও সার্বিয়া। ‘জি’ গ্রুপের ম্যাচটি দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করবে দুই দল।
বরাবরের মতো এবারও ফেবারিট তকমা নিয়ে বিশ্বকাপে ব্রাজিল। সেলেসাওদের ভরসার কেন্দ্রে যথারীতি নেইমার। দলের আক্রমণভাগে বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলার একা নন। তাকে সাহায্য করতে প্রস্তুত রদ্রিগো, রিচার্লিসন, গ্যাব্রিয়েল জেসুস, পেদ্রো, রাফিনহা এবং ভিনিসিউস জুনিয়ররা। এক কথায়, সেরা স্কোয়াড নিয়েই কাতারে হেক্সার অপেক্ষা ঘুচাতে এসেছে সর্বোচ্চ পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
গতকাল (২৩ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে ব্রাজিল কোচ তিতে বলেছেন, ‘চাপ থাকাটা স্বাভাবিক। ফুটবলে ব্রাজিলের বড় ইতিহাস রয়েছে। সেই কারণে সব সময় অনেক চাপ থাকে। আমাদের কিছু খেলোয়াড় আছে, যারা বিশ্বের সবচেয়ে বড় মিডিয়ার মনোযোগ আকর্ষণ করে। তাই চাপটাকে আমরা স্বাভাবিকভাবে নিই। কাতারে আমরা বিশ্বকাপ জিততেই এসেছে। চাপও অনিবার্য।’
ব্রাজিল অধিনায়ক থিয়াগো সিলভার বিশ্বাস, তারা নিজেদের দায়িত্ব পালন করে নেইমারের উপর চাপ কমাতে পারবেন, ‘আমি মনে করি খেলোয়াড়রা নেইমারকে সাহায্য করতে পারবে, কারণ তারা দায়িত্ব ভাগ করে নিতে পারে এবং তাকে খেলার সুযোগ গড়ে দিতে সক্ষম। দল খুব ভালো অবস্থানে আছে। তরুণ এবং অভিজ্ঞদের মিশ্রণটা দারুণ।’
এদিকে গুঞ্জন উঠেছে, সার্বিয়ার অনুশীলন দেখতে নাকি ড্রোন ব্যবহার করেছে তিতের শিষ্যরা। বড় মঞ্চে ছেলেভুলানো গল্প হাসিতেই উড়িয়ে দিয়েছেন সার্বিয়া কোচ ড্রাগন স্টোজকোভিচ। তিনি বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি না যে তারা আমাদের দেখেছে, এটা ভুল তথ্য।’
ম্যাচ ফ্যাক্ট
* সার্বিয়ার বিপক্ষে আগের দুই ম্যাচের প্রতিটিতে জিতেছে ব্রাজিল। গত বিশ্বকাপে গ্রুপপর্বে জয় এসেছিল ২-০ গোলে। ১-০ ব্যবধানে অপর জয়টি আসে ২০১৪ সালে, প্রীতি ম্যাচে।
* ব্রাজিলই একমাত্র দল যারা বিশ্বকাপের প্রতিটি সংস্করণে খেলেছে।
* বিশ্বকাপে ব্রাজিল তাদের শেষ ১৫ গ্রুপপর্বের ম্যাচে অপরাজেয় ছিল (১২ জয়, ৩ ড্র)। ১৯৮২ সাল থেকে টুর্নামেন্টের প্রত্যেক আসরে গ্রুপ সেরা হয়েছে সেলেসাওরা। সবশেষ ১৯৬৬ সালে প্রথম রাউন্ডে বাধা টপকাতে ব্যর্থ হয়েছিল তারা।
* ব্রাজিল বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন। টুর্নামেন্ট ইতিহাসে যেকোনো দেশের চেয়ে বেশি ম্যাচ (৭৩) জিতেছে তারা এবং তাদের উইনিং রেট (৬৭ শতাংশ) সবচেয়ে বেশি।
* সবশেষ পাঁচ বিশ্বকাপের চারটিতে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে সার্বিয়া (কাতারসহ)। ব্যর্থ হয়েছে ২০১৪ সালে। এই সময়কালে ৯ বিশ্বকাপ ম্যাচের ৭টিতে হেরেছে তারা (২ জয়)।
* সার্বিয়া বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে তাদের ৮ ম্যাচের একটিতেও হারেনি (৬ জয়, ২ ড্র)। ২০০৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের পর এই প্রথম মেজর টুর্নামেন্টে (বিশ্বকাপ/ইউরো) কোয়ালিফায়ারে অপরাজেয় ছিল তারা।
* ২০১৪ সালে বিশ্বকাপে অভিষেকের পর থেকে নেইমার টুর্নামেন্টে ব্রাজিলের ১৯ গোলের ৮টিতে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন (৬ গোল, ২ অ্যাসিস্ট)।
এসজি