৫ মিনিটে ২ গোল করে এগিয়ে সৌদি আরব
প্রথমার্ধে ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৮ মিনিটের মাঝে ২ গোল করে এগিয়ে গেছে সৌদি আরব। ২টি গোলই হয়েছে ৫ মিনিটের ব্যবধানে। ২টি গোলই ছিল দর্শনীয় দৃষ্টিনন্দন।
৪৮ মিনিটে আর ব্রিকানের কাছ থেকে বল পেয়ে আল শেহরি বক্সে ডুকে একজন খেলোয়াড়ের বাধার সত্ত্বেও বাম পায়ের কোনাকুনি শটে গোল পরিশোধ করেন। ৫ মিনিট পর সালেম আল দসারি পানপায়ের বুলেট শটে আর্জেন্টিনার জাল কাঁপান।
প্রথমার্ধে মূলত চারটি গোল করে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা। কিন্তু এর মধ্যে তিনটিই বাতিল হয় অফসাইডের কারণে। রাশিয়ায় গত বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার উদ্বোধনী ম্যাচে পেনাল্টি মিস করেছিলেন মেসি। মঙ্গলবার সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি করেননি খুদেরাজ। লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে সৌদি আরবের বিপক্ষে দশম মিনিটে সফল স্পট-কিকে লা আলবিসেলেস্তেদের এগিয়ে নেন ৩৫ বছর বয়সি ফরোয়ার্ড।
নিজেদের ডি-বক্সে লিয়ান্দ্রো পারেদেসকে ফাউল করেন আল বুলায়হি। মেসি যখন ফ্রি-কিক নেন, তখন বিপজ্জনক জায়গায় আর্জেন্টাইন ফুটবলারকে ফেলে দেন সৌদি ডিফেন্ডার। এরপর টিভি মনিটরে রিপ্লে দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। শট নিতে এসে ঠান্ডা মাথায় গোলরক্ষক মোহাম্মদ আল ওয়াইসকে বোকা বানান মেসি।
এই গোলে একটি রেকর্ডও গড়েছেন পিএসজি সুপারস্টার। আর্জেন্টিনার হয়ে চার বিশ্বকাপে গোল করা একমাত্র খেলোয়াড় এখন তিনি। রেকর্ড গড়ার পর ২২ মিনিটে সতীর্থদের বাড়ানো লম্বা পাস থেকে বল পেয়ে ফের প্রতিপক্ষের জাল কাঁপান মেসি। কিন্তু গোল উৎসবে মেতে উঠার সুযোগ হয়নি তাদের, কারণ লাইন্সম্যান অফসাইড ফ্লাগ উঁচিয়ে ধরেন সঙ্গে সঙ্গে।
চার মিনিট বাদে একই দুর্ভাগ্যের শিকার লাউতারো মার্টিনেজ। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের গোলের পর উদযাপনও সেরে ফেলে আর্জেন্টিনা। তাদের উল্লাস থামিয়ে প্রযুক্তির সাহায্য নেন রেফারি এবং অফসাইডের অভিযোগ এনে বাতিল করেন গোল। অফসাইড নাটকের শেষ নয় এখানেই। ৩৪ মিনিটে ফের জাল খুঁজে নেন মার্টিনেজ। লাইন্সম্যান উঁচিয়ে ধরেন অফসাইড ফ্লাগ।
প্রথমার্ধে আর্জেন্টাইন ফুটবলারদের দাপুটে পারফরম্যান্সের বিপরীতে বলার মতো কিছুই করতে পারেনি সৌদির ফুটবলাররা। প্রথম ৪৫ মিনিটে একটি শটও নিতে পারেনি হার্ভে রেনার্ডের শিষ্যরা।
এমপি/এসজি