জয়ের হাসিতে বিশ্বকাপ শুরু হল্যান্ডের
ড্রয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছিল সেনেগাল-হল্যান্ড। সেখান থেকে ২-০ গোলের জয় ছিনিয়ে নিয়েছে ডাচরা। তাদের জয়ের নায়ক কোডি গ্যাকপো এবংড্যাভি ক্লাসেন।
সোমবার (২১ নভেম্বর) আল থুমামা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকেদুর্দান্ত হেডে দলকে এগিয়ে নেন গ্যাকপো। ইনজুরি সময়ে ক্লাসেনের গোলে দ্বিগুন হয় ব্যবধান। তাতে জয়ের হাসিতে বিশ্বকাপ শুরু করল হল্যান্ড।
‘এ’ গ্রুপের ম্যাচটির প্রথমার্ধেবল দখলে ঊনিশ-বিশ পার্থক্য ছিল দুই দলের লড়াইয়ে। উভয় দল নেয় সমান ৩ শট। হল্যান্ডের একটি শটও ছিল না লক্ষ্যে। বিপরীতে একটি অন-শট নিলেও তাতে গোলের মুখ দেখেনি সেনেগাল। দ্বিতীয়ার্ধে ডাচদের ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভাব হন গ্যাকপো। বিশ্বমঞ্চে দলকে উপহার দেন শুভসূচনা।
সাদিও মানের অনুপস্থিতিতে সেনেগালের আক্রমণ ভাগে জ্বলে উঠেন ইসমাইলা সার। প্রথমার্ধে তিনি দুটো শট নেন, যার একটি থেকে আদায় করেন কর্নার। পাশাপাশি সতীর্থদের দুটো সুযোগ গড়ে দেনএবং দুর্দান্ত ড্রিবলিংয়ে জিতেন তিনটি ফ্রি-কিক।
এক কথায়, প্রথমার্ধে ডাচদের দৃষ্টিকোণ থেকে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছিলেন তিনি, কিন্তু সতীর্থদের ব্যর্থতায় সারের সব প্রচেষ্টাই বৃথা যায়।প্রথম ৪৫ মিনিটে‘সার’ হয়ে উঠতে পারেনি কোনো ডাচ ফুটবলার। লুইস ফন গালের শিষ্যদের পারফরম্যান্স ছিল আরও সাদা-মাটা।
আর প্রসঙ্গ যদি হয় গোলের সুযোগ গড়ে তোলা, তাহলে দুই দলই ছিল শতভাগ ব্যর্থ। অথচ উভয় পক্ষ মাঠের দুই প্রান্তে খেলার পূর্ণ স্বাধীনতা পেয়েছিল, কিন্তু ফুটবলের সেরা ইভেন্টে সেরা খেলার ধারেকাছেও ছিল না তারা।
দ্বিতীয়ার্ধে একটি করে সেরা সুযোগ পেয়েছিল সেনেগাল ও হল্যান্ড। কিন্তু দুই গোলরক্ষকের দুর্দান্ত সেভে গোলের দেখা মিলেনি। ৬৫ মিনিটে মাঠের মাঝপথে ডাচরা বল হারালেতা নিয়ে ছুটে যান ন্যামপালিশ মেন্ডি এবং বল বাড়ান বাউলে দিয়ার উদ্দেশে। প্রথমবারেই শট নেন সেনেগালের এই অ্যাটাকার, যা ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন প্রতিপক্ষের গ্লাভসম্যান আন্দ্রেয়াস নপার্ট।
৭৩ মিনিটে সেনেগালের ত্রাণকর্তা ছিলেন এদুয়ার্দো মেন্ডি। কিন্তু ৮৪ মিনিটে দলের জাল অক্ষত রাখতে পারেননি তিনি। ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংয়ের উড়িয়ে বাড়ানো বলে মাথা ছুঁইয়ে হল্যান্ডকে এগিয়ে নেন গ্যাকপো। ম্যাচ শেষ হওয়ার কিছু সেকেন্ড আগে দলের জয়ের ব্যবধান ২-০ করেন ক্লাসেন।
এমএমএ/