রাত পোহালেই আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ শুরু
সেরা ছন্দে লিওনেল মেসি। আর্জেন্টিনা অপরাজেয় দুই বছরের বেশি সময় ধরে। দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাচ্ছেন ভক্তরা। তাদের বিশ্বাস, লা আলবিসেলেস্তেদের জন্য বছরটা ‘বিশেষ’ হতে চলেছে। তবে সবটাই মিছে হয়ে যাবে যদি বিশ্বকাপ ট্রফিটা না উঠে মেসির হাতে। ভক্তদের প্রত্যাশার চাপ মাথায় নিয়ে টুর্নামেন্ট শুরুর দোড়গোড়ায় দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, রাত পোহালেই আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ শুরু।
আগামীকাল (২২ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টায় মেসির শেষ বিশ্বকাপ খেলতে নামবে আর্জেন্টিনা। লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে তাদের প্রতিপক্ষ সৌদি আরব। নিজেদের টানা ১৩তম এবং সবমিলে ১৮তম বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বেই কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে আর্জেন্টিনার। কেননা, ‘সি’ গ্রুপে তাদের অপর দুই প্রতিপক্ষ হলো ডেনমার্ক ও মেক্সিকো।
তবে শুরুতে অপেক্ষাকৃত সহজ প্রতিপক্ষের সামনে আর্জেন্টিনা। সৌদি আরব বিশ্বকাপে তাদের ১৬ ম্যাচের মাত্র ৩টিতে জয়ের দেখা পেয়েছে। হেরেছে ১১টিতে এবং ড্র করেছে ২ ম্যাচে। দলটির জন্য কাতারে গ্রুপ টেবিলের তলানিতে না থাকাই কঠিন চ্যালেঞ্জ। অন্যদিকে টানা ৩৬ ম্যাচ অপরাজেয় থাকার রেকর্ড আগলে বিশ্বকাপ শুরুর অপেক্ষায় আর্জেন্টিনা।
আর্জেন্টিনা-সৌদি আরব
* সৌদি আরবের বিপক্ষে আগের চার ম্যাচে অপরাজেয় (২ জয়, ২ ড্র) ছিল আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপে কালই প্রথমবার দেখা হবে দুই দলের।
* সবমিলে ১৮তম এবং টানা ১৩তম বিশ্বকাপ খেলবে আর্জেন্টিনা, যা ব্রাজিল (২২) এবং জার্মানির (১৮) পর তৃতীয় সেরা যাত্রা।
* বিশ্বকাপ শিরোপা জেতা লাতিন অঞ্চলের তিন দলের মধ্যে একটি আর্জেন্টিনা। ১৯৭৮ ও ১৯৮৬ সালে চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। ব্রাজিল সর্বোচ্চ পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন। উরুগুয়ে জিতেছে দুবার।
* আর্জেন্টিনা তাদের শেষ ১৩ বিশ্বকাপের ১২টিতেই প্রথম রাউন্ড পার করেছে। পারেনি কেবল ২০০২ সালে।
* আর্জেন্টিনা তাদের শেষ পাঁচ বিশ্বকাপ ম্যাচের তিনটিতে হেরেছে (১ জয়, ১ ড্র)। ২০১৮ সংস্করণে তারা দুটি ম্যাচ হেরেছে- ক্রোয়েশিয়া (৩-০) ও ফ্রান্সের (৪-৩) বিপক্ষে।
* এটা সৌদি আরবের ষষ্ঠ বিশ্বকাপ টুর্নামেন্ট। সবশেষ ৮ আসরের ৬টিতে স্থান পেল তারা। খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি ২০১০ ও ২০১৪ সালে।
* সৌদি আরব বিশ্বকাপে তাদের ১৬ ম্যাচের মধ্যে মাত্র ৩টিতে জিতেছে (২ ড্র, ১১ হার)। ওই ১৬ ম্যাচের মধ্যে মাত্র ১টিতে ক্লিন শিট রেখেছে দলটি। সেটা ১৯৯৪ সালে, বেলজিয়ামকে পরাস্ত করেছিল ১-০ গোলে।
* বিশ্বকাপে সৌদি আরবের ৩৬ শতাংশ গোল হয়েছে পেনাল্টি থেকে (১১টির মধ্যে ৪টি), যা এ বছর টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া বাকিগুলোর চেয়ে বেশি।
* বিশ্বকাপে করা ৬ গোলের প্রত্যেকটি গ্রুপপর্বে করেছেন লিওনেল মেসি। টুর্নামেন্টের নকআউটপর্বে ৭৫৬ মিনিট খেলে কখনোই জালের দেখা পাননি তিনি। এদিকে মেসিই একমাত্র খেলোয়াড় যিনি গত চারটি বিশ্বকাপের প্রতিটি টুর্নামেন্টে অ্যাসিস্ট করেছেন।
* আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি, যিনি ২০০৬ সালে খেলোয়াড় হিসেবে দেশের হয়ে একটি বিশ্বকাপ খেলেছেন এবং গত বছর কোচ হিসেবে লা আলবিসেলেস্তেদের কোপা আমেরিকা জয়ের সঙ্গী ছিলেন। আর্জেন্টিনার দায়িত্বে থাকা কোনো কোচ কখনো কোপা আমেরিকা এবং ফিফা বিশ্বকাপ উভয়ই জিততে পারেননি।
* সৌদি আরবের সালেহ আল শেহরি এএফসি বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডে যৌথভাবে সেরা গোলদাতা ছিলেন। চার অন-শটের প্রতিটিতে জাল খুঁজে নিয়েছিলেন এই স্ট্রাইকার।
* সৌদি আরব কোচ হার্ভে রেনার্ড এর আগে বিশ্বকাপে ছিলেন। ২০১৮ সালে সংস্করণে তার কোচিংয়ে বিশ্বকাপ খেলেছিল মরক্কো। গ্রুপপর্বে জয়হীন (১ ড্র, ২ হার) থাকায় গ্রুপপর্বেই বিদায় ঘণ্টা বেজেছিল দলটির।
এসজি