শক্তি হারিয়ে মুখোমুখি হবে সেনেগাল-নেদারল্যান্ডস
সেনেগালের সবশেষ ২৫ গোলের ১২টিতেই সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন সাদিও মানে। বিশ্বকাপের ইউরোপিয়ান বাছাইপর্বে সর্বোচ্চ ১৮ গোলে অবদান ছিল নেদারল্যান্ডসের মেমফিস ডিপাইয়ের। ১০ ম্যাচে করেছেন ১২ গোল এবং সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন আরও ৬টি।
দুই দলই বিশ্বকাপে তাদের সেরা অস্ত্রে প্রতিপক্ষদের ঘায়েল করার ছক কষেছিল, কিন্তু সেটা হতে দিল না ইনজুরির ছোবল। চোটের কারণে দল থেকে ছিটকে গেছেন মানে এবং ডিপাইয়ের প্রথম ম্যাচ না খেলা সুনিশ্চিত। এক কথায়, শক্তি হারিয়ে আগামীকাল (২১ নভেম্বর) মুখোমুখি হবে সেনেগাল-নেদারল্যান্ডস।
আল থুমামা স্টেডিয়ামে লড়বে দুই দল। তার আগে কত বড় ধাক্কা খেয়েছে নেদারল্যান্ডস এবং সেনেগাল সেটা উপলব্ধি করতে পেরেছেন লুইস ফন গাল। রবিবার (২০ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে ডাচ কোচ বলেছেন, ‘আমরা শুরুতে মেমফিসকে মিস করব। তারা মানেকে। এটি সেনেগালের জন্য বড় ক্ষতি।’
ফল গাল যোগ করেন, ‘দুই দল কীভাবে এর সমাধান করবে সেটাই প্রশ্ন। মানে বিশেষ একজন ফুটবলার। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোচ হিসেবে আমি তাকে চেয়েছিলাম। আমরাও আমাদের সেরা স্কোরার এবং অ্যাসিস্টটেন্টকে মিস করব। সে এখনো টুর্নামেন্ট শুরুর করার মতো অবস্থানে নেই।’
আগে আরও একবার ফন গালের অধীনে বিশ্বকাপ খেলেছে নেদারল্যান্ডস। সেটা ২০১৪ সালে। সেই আসরে তৃতীয় হয়েছিল ডাচরা। এবার দলকে চ্যাম্পিয়ন বানাতে চান ফন গাল, ‘এই খেলোয়াড়দের উপর আমরা বিশ্বাস আছে। ব্রাজিলে ২০১৪ সালে তৃতীয় হওয়ার চেয়েও বেশি কিছু আশা করছি আমি। আমরা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতে পারি।’
আত্মবিশ্বাসী ডাচ অধিনায়ক ভার্জিল ফন দাইক বলেন, ‘আমরা কঠোর অনুশীলন করেছি এবং বিশ্বকাপ শুরু করতে মুখিয়ে আছি। অবশেষে আগামীকাল আমরা এটা করতে যাচ্ছি এবং আশা করছি, এটা আমাদের জন্য দুর্দান্ত একটি অভিযান হবে।’
ম্যাচ ফ্যাক্ট
* ফুটবলে প্রথমবার মুখোমুখি হবে সেনেগাল এবং নেদারল্যান্ডস। বিশ্বকাপে আফ্রিকান প্রতিপক্ষের বিপক্ষে অপরাজেয় ডাচরা (৩ জয়, ১ ড্র)। টুর্নামেন্টের গ্রুপপর্বে কখনোই ইউরোপিয়ান প্রতিপক্ষের বিপক্ষে হারের স্বাদ পায়নি সেনেগাল (২ জয়, ১ ড্র)।
* বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডস তাদের সবশেষ আট উদ্বোধনী ম্যাচে অপরাজেয় ছিল (৬ জয়, ২ ড্র)। সেনেগাল টুর্নামেন্টে তাদের দুই উদ্বোধনী ম্যাচে জিতেছে- ২০০২ সালে ফ্রান্সের বিপক্ষে ১-০ গোলে এবং ২০১৮ সালে পোল্যান্ডের বিপক্ষে ২-১ গোলে।
* বিশ্বকাপে নিজেদের আট ম্যাচের কোনোটিতেই গোলহীন ছিল না সেনেগাল।
* এটা সেনেগালের তৃতীয় বিশ্বকাপ। আফ্রিকান নেশন্স কাপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা ২০০২ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছিল দলটি এবং সবশেষ আসরে বিদায় ঘণ্টা বাজে গ্রুপপর্বে।
* নেদারল্যান্ডস বিশ্বকাপে তাদের সবশেষ ১৪ ম্যাচের ১১টিতে জয়ের স্বাদ পেয়েছে (২ ড্র, ১ হার)। একমাত্র হারটি এসেছে ২০১০ সালে। সেবার স্পেনের বিপক্ষে অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ফাইনালে ১-০ গোলে হেরেছিল ডাচরা। বিশ্বকাপে গ্রুপ ম্যাচে তারা সবশেষ হেরেছে ১৯৯৪ সালে, বেলজিয়ামের বিপক্ষে (১-০)।
* সেনেগালের ম্যানেজার হিসেবে এটি টানা দ্বিতীয় বিশ্বকাপ আলিউ সিসের। টুর্নামেন্টে সেনেগালের খেলা ৮ ম্যাচের ৭টির অংশ ছিলেন তিনি, খেলোয়াড় হিসেবে ৪ ম্যাচে এবং কোচ হিসেবে ৩ ম্যাচে।
* তৃতীয় স্পেলে নেদারল্যান্ডস জাতীয় দলের কোচের ভূমিকায় লুইস ফন গাল। ২০১৪ সালে তার কোচিংয়ে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে নেমে তৃতীয় হয়েছিল ডাচরা।
এসজি