বিশ্বকাপে ফেরা এরিকসেনের ‘বিশেষ কিছু’
মৃত্যুর কাছ থেকে ফেরা। তাও ৮ মাস লড়াই করে। আবার মাঠে ফিরেছেন। শুধু তাই নয়, ডেনমার্কের বিশ্বকাপে স্কোয়াডেও আছেন তিনি। বিশ্বকাপে প্রত্যাবর্তনটা তাই বিশেষ কিছু মনে হচ্ছে এরিকসেনের।
২০২১ সালের জুনে ইউরো ফুটবলে ফিনল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাঠেই লুটিয়ে পড়েছিলেন এই প্লে মেকার। এ সময় চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়ার সময় তিনি তার স্ত্রী সাবরিনাকে বলেছিলেন, সম্ভবত আর কখনো ফুটবল খেলতে পারবেন না।
তবে আট মাস পরেই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফিরে আসেন এরিকসেন। তার দেহে লাগানো হয় প্রতিস্থাপন যোগ্য কৃত্রিম হৃদযন্ত্র। এর কারণে ইতালীয় আইনে তাকে ছাড়তে হয় তৎকালীন ক্লাব ইন্টার মিলান।
তবে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ব্রেন্টফোর্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন এরিকসেন, সেই সঙ্গে ফিরে আসেন আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে। বর্তমানে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যুক্ত হওয়া এরিকসেন বলেন, ‘জাতীয় দলের হয়ে বিশ্বকাপে অংশ নিতে পারাটা আমার কাছে ‘বিশেষ কিছু’। এটি এমন একটি ব্যাপার, যা আমি মনে প্রাণে চেয়েছিলাম এবং এখানে ফিরে আসতে পেরে আমি খুবই খুশি। ওই ঘটনা আমাকে বেঁচে থাকা এবং পরিবারের সঙ্গে থাকার মর্ম অনুধাবন করতে শিখিয়েছে।’
ডি’ গ্রুপে আগামী মঙ্গলবার তিউনিশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে কাতার বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে ডেনমার্ক। গ্রুপে থাকা বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে এই বছর নেশন্স লিগে হোম এন্ড অ্যাওয়ে দুটি ম্যাচেই হারিয়েছে তারা।
গুরুত্বপূর্ণ তারকা ফর্মে ফেরায়, ডেনমার্কের শক্তি তখনকার তুলনায় আরও বেড়ে গেছে। ২০২০ ইউরো সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে ছিটকে পড়েছিল দলটি। এরিকসেন বলেন, ‘ব্যক্তিগত ভাবেও দলের অংশ হতে পারাটা আমার সব সময় ভালো লাগে। আশা করছি দলকে যতটুকু সম্ভব এগিয়ে নিতে আমি সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে পারব। জানি আমরা ফ্রান্সকে হারিয়েছি। তবে এই টুর্নামেন্টে বছরের অন্য সময়ের তুলনায় ফ্রান্স পরিণত হয় ভিন্ন একটি দলে। তবে আমরাও জানি কি করতে হবে এবং সেই অপেক্ষাতেই আছি।’
ডেনমার্কের সহকারি কোচ মর্টেন উইগহর্টস বলেন, এরিকসেন হচ্ছে দলের এবং দেশের বাকী মানুষের জন্য ‘অনুপ্রেরণা’। আমার মতে দুর্ঘটনার পর সে আগের চেয়েও ভালো করছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস সে আরো ভালো করবে।’
এমএমএ/