কাতার বিশ্বকাপে যা কিছু নতুন
কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলের ঘণ্টা বাজতে আর একদিনও বাকি নেই। নেমে এসেছে ঘন্টায়। এরপর মিনিট সেকেন্ড হয়ে আগামীকাল রবিবার রাত ১০টায় বাজবে বাাঁশি। খেলবে স্বাগতিক কাতার ও ইকুয়েডর।
এবারে কাতার বিশ্বকাপে অনেক কিছু ‘প্রথম’র সঙ্গে পরিচিত হবেন ফুটবল প্রেমীরা।
১. প্রতি চার বছর পরপর বিশ্বকাপ ফুটবল অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে সাধারণত জুন-জুলাই মাসে। এবার সেটি নিয়ে যাওয়া হয়েছে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে। মূলত কাতারে প্রচণ্ড গরমের কথা বিবেচনা করেই শীতেকালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শীত মৌসুমে প্রথম খেলা হবে।
২. এশিয়ার মাঝে কাতার এককভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে এককভাবে। এর আগে ২০০২ সালে এশিয়া আসর বসেছিল। তবে আয়োজক ছিল জাপান ও কোরিয়া যৌথভাবে।
৩. ফুটবল মানেই পুরুষ রেফারি। এবার সেখানে প্রথমবারের মতো দেখা যাবে নারী রেফারিদেরকেও ৩৬ জন মূল রেফারির তালিকায় তিনজন নারী রেফারিও আছেন। তারা হলেন জাপানের ইমোশিতা ইওশিমি, রুয়ান্ডার সালিমা মুকাসাঙ্গা ও ফ্রান্সের স্টেফানি ফ্যাপোর্ট।
৪. বিশ্বকাপের ইতিহাসে এবারই প্রথম একটি ম্যাচে একটি দল ৫ জন খেলোয়াড় পরিবর্তন করতে পারবে। গত বিশ্বকাপ পর্যন্ত সর্বোচ্চ তিনজন খেলোয়াড় বদল করতে পারত এক একটি দল।
৫. ক্রিকেটে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়ে থাকে আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে সুবিধার জন্য। এবার ফুটবলেও তা দেখা যাবে। অবশ্য ফুটবলে আগে থেকেই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়ে আসছে। রাশিয়া বিশ্বকাপে ভিএআর ব্যবহার করা হয়েছে। এবার অফসাইড হয়েছে কি না তা নিশ্চিত হতে প্রথমবারের মতো সেমি অটোমেটেড প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। যে বল দিয়ে খেলা হবে, সে সব বলগুলোর ভেতরে এক ধরনের সেন্সর লাগানো থাকবে। কাতার বিশ্বকাপে এটি প্রথমবারের মতো ব্যবহার করা হলেও ২০২১ সালের ফিফা আরব কাপ ও ফিফা বিশ্ব ক্লাব কাপ ফুটবলে এটি ব্যবহার করো হয়েছিল।
৬. গরমের কারণে খেলা নিয়ে যাওয়া হয়েছে শীতকালে। তারপরও আটটি ভেন্যু করা হয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। অর্থ্যাৎ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্টেডিয়ামে খেলাও হবে প্রথমবারের মতো
৭. আয়োজক দেশ হিসেবে কাতার সবচেয়ে ছোট দেশ। সাড়ে ১১ হাজার বর্গ কিলোমিটারের দেশটিতে মাত্র ২.৯ মিলিয়ন জনগণের বাস। বিশ্বকাপের আটটি স্টেডিয়ামই রাজধানী দোহার ৫৫ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত। যে কারণে স্টেডিয়ামগুলোও একটি অপরটির খুবই কাছাকাছি। বলা যায় একটির গায়ে আরেকটি লাগানো! এত কম জায়গার মাঝে এর আগে এভাবে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়নি।
কাতার বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামগুলো একটি অপরটির খুবই কাছাকাছি। মাত্র ৫৫ কিলোমিটার জায়গার মধ্যে আটটি স্টেডিয়ামের অবস্থান। ভৌগোলিকভাবে এটিই সবচেয়ে ‘আঁটসাঁট’ জায়গার বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপ ইতিহাসে আর কখনো এত অল্প জায়গার মধ্যে সব ভেন্যু ছিল না।
এমপি/এমএমএ/