বিশ্বকাপ শেষ মানের, ফিরছেন বায়ার্নে
সাদিও মানের সর্বনাশ হয়েছে বায়ার্ন মিউনিখে। তার ফল ভোগ করতে হচ্ছে সেনেগাল ফুটবল দলকে। আফ্রিকার দুবারের বর্ষসেরা আফ্রিকান তারকা ছাড়াই বিশ্বকাপ খেলতে হবে তাদের।
গত ফেব্রুয়ারিতে প্রথমবার নেশন্স কাপ জয়ের ইতিহাস গড়ে সেনেগাল। ফাইনালে শুটআউটে হারিয়েছিল মিশরকে। ওই ম্যাচে দলের জয়সূচক পেনাল্টি শট নিয়েছিলেন মানে। তার প্রায় দুই মাস পর ফের মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। সেটা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্লে-অফে। সেখানেও পেনাল্টি শুটআউটে ম্যাচ নির্ধারিত গোলটি করেছিলেন মানে।
যার নৈপুণ্যে বিশ্বকাপের মূলপর্বে সেনেগাল, তাকে ঘিরেই সব পরিকল্পনা সাজিয়েছিল ফুটবল দলটি। কিন্তু ব্যস্ত মৌসুমের ভার নিতে পারলেন না মানে। গত ৮ নভেম্বর বুন্দেসলিগায় ওয়েদার ব্রিমেনের বিপক্ষে পায়ে চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন তিনি। সর্বনাশের শুরু ওখানেই।
মানের পায়ের চোট সারাতে আদা-জল খেয়ে নামে সেনেগাল ফুটবল কর্তৃপক্ষ। একগাদা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তাকে রেখেই বিশ্বকাপ দলও সাজানো হয়। এমনকি গত মঙ্গলবার সেনেগাল ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল- বিশ্বকাপে শুধুমাত্র প্রথম ম্যাচ মিস করবেন ৩০ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।
কিন্তু এমআরআই স্ক্যানের রিপোর্ট বদলে দিয়েছে সবকিছু। বৃহস্পতিবার করানো ওই ডাক্তারি পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়া গেছে যে মানের আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন। ইতোমধ্যে তার ডান হাঁটুর ফিবুলায় সফল অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে বায়ার্ন কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে ক্লাবটি জানিয়েছে, ‘কিছুদিনের মধ্যেই মিউনিখে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু করবেন মানে।’
অর্থাৎ একদিকে মানে ছাড়বেন কাতার, আরেকদিকে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে তার দল সেনেগাল। ৩০ বছর বয়সে এটা স্বাভাবিকভাবেই সেনেগাল ফরোয়ার্ডের জন্য সবচেয়ে বড় ধাক্কা। কেননা, চার বছর পর সেনেগালের আরেকটি বিশ্বকাপে খেলা কিংবা ততদিন মানের টিকে থাকা, কোনো কিছুরই নিশ্চয়তা দিতে পারবে না কেউ।
কাতারে সেনেগাল বিশ্বকাপ শুরু করবে সোমবার (২১ নভেম্বর)। প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস। ‘এ’ গ্রুপে তাদের অপর দুই প্রতিপক্ষ- স্বাগতিক কাতার ও লাতিনের ইকুয়েডর।
এসএন