আমিরাতকে নিয়ে আর্জেন্টিনার ছেলেখেলা
সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে শক্তির পার্থক্যটা মাঠেই দেখাল আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপের আগে প্রথম ও একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে স্বাগতিকদের ছেলেখেলা করেছে লিওনেল মেসিবাহিনী। আবুধাবির মোহাম্মদ বিন জায়েদ স্টেডিয়ামে আমিরাতের জালে গুণে গুণে পাঁচবার বল পাঠিয়েছে আর্জেন্টাইনরা।
আর্জেন্টিনার অনায়াস জয়ের রাতে মেসি ছাড়াও গোলের দেখা পেয়েছেন জুলিয়ান আলভারেজ, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া ও জোয়াকিন কোরেয়া। এ নিয়ে টানা ৩৬ ম্যাচ অপরাজেয় থাকল দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। পেয়েছে টানা পঞ্চম জয়। অর্থাৎ জয়রথে চেপেই কাতারে বিশ্বকাপ খেলতে যাবে আলবিসেলেস্তেরা।
আবুধাবিতে একচেটিয়া আধিপত্য ছিল লিওনেল স্কালোনির শিষ্যদের। ম্যাচজুড়ে শতকরা ৬০ ভাগ সময় বল দখলে রেখে মোট ১১টি শট নেয় তারা। এর মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ৭টি। এক কথায়, প্রীতি ম্যাচে আর্জেন্টাইনদের এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে দুর্বিষহ হয়ে ওঠে স্বাগতিক ফুটবলারদের জীবন।
বিন জায়েদ স্টেডিয়ামে ম্যাচের সপ্তদশ মিনিটেই এগিয়ে যায় অতিথিরা। মেসির পাস ধরে আর্জেন্টিনাকে লিড উপহার দেন ম্যানচেস্টার সিটির তরুণ স্ট্রাইকার আলভারেজ। এর রেশ না কাটতেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ডি মারিয়া। মার্কোস আকুনার বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পরক্ষণেই তা জালে জড়ান ৩৪ বছর বয়সি উইঙ্গার।
ডি মারিয়ার দ্বিতীয় গোলটি ছিল দেখার মতো। অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টারের বাড়ানো বল পেয়ে প্রতিপক্ষের একাধিক ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষককে পরাস্ত করে ঠান্ডা মাথায় লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। জোড়া স্ট্রাইকের পর ৪৪ মিনিটে মেসিকে দিয়ে গোল করান ডি মারিয়া। তাতে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই একাদশে পরিবর্তন আনেন স্কালোনি। আর্জেন্টাইন কোচ মাঠ থেকে তুলে নেন আলভারেজ, ডি মারিয়া, অ্যালিস্টার, ওতামেন্দি ও আকুনাকে। বদলি হিসেবে নামেন হার্মান পেজ্জেলা, গঞ্জালো মনতিয়েল, নাহুয়েল মলিনা, এনজো ফার্নান্দেজ ও জোয়াকিন কোরেয়া।
বদলি নামা কোরেয়া ম্যাচের এক ঘণ্টার মাথায় দলের পঞ্চম গোলটি করেন। তাকে অ্যাসিস্ট করেন রদ্রিগো ডি পল। ম্যাচের ৮০ মিনিটে একটি গোল শোধ দেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল আমিরাত। কিন্তু সেটা হতে দেননি আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ ও ডিফেন্ডার মনতিয়েল। ম্যাচও শেষ হয় ৫-০ গোলে।
এসএন