বিশ্বকাপের আগে রোনালদোর কাঠগড়ায় ‘ম্যানইউ’
বিশ্বকাপ-বিরতিতে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগ। ফুটবলারদের ধ্যান-জ্ঞানে এখন কেবল কাতার যাত্রা ভাবনা। সবাই সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এর বাইরে নন। তবে সেরা ছন্দে থেকে কিংবা নির্ভার চিত্তে পর্তুগালের বিশ্বকাপ পরিকল্পনায় অংশ নিতে পারছেন না সিআর-সেভেন। আর এজন্য নিজ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন পর্তুগিজ যুবরাজ।
লম্বা সময় ধরেই গুঞ্জন চলছিল, ম্যানইউর সঙ্গে সর্ম্পকটা ভালো যাচ্ছে না রোনালদোর। এটা এখন আর গুঞ্জনের পর্যায়ে নেই। ওল্ড ট্রাফোর্ডে দুই পক্ষের মুখোমুখি সম্পর্কে অবগত ফুটবলপ্রেমিরা। যতটুকু জানা বাকি ছিল সেটাও ক্ষোভে উগড়ে দিলেন ৩৭ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। চলতি মাসে টটেনহাম ম্যাচে বদলি হিসেবে নামতে অস্বীকৃতি জানান রোনালদো। কোচের আদেশ অমান্য করে নিষেধাজ্ঞার শাস্তিও পান তিনি।
দলের পরের ম্যাচগুলোতে রোনালদো ছিলেন অনিয়মিত। এমনকি বিশ্বকাপে আগে ক্লাবের শেষ দুটো ম্যাচে দেখাই যায়নি তাকে। অবশেষে সবকিছু নিয়ে মুখ খুললেন রোনালদো। সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বোমা ফাটিয়েছেন এভাবে, ‘তার (ম্যানইউ কোচ এরিক টেন হ্যাগ) প্রতি আমার শ্রদ্ধা নেই, কারণ সে আমার প্রতি সম্মান দেখায় না। আপনি যদি আমার প্রতি সম্মান না রাখেন, তবে আমি কখনোই আপনাকে শ্রদ্ধা করব না।’
সিআর-সেভেন যোগ করেন, ‘আমি মনে করি ভক্তদের সত্যটা জানা উচিত। আমি ক্লাবের জন্য সেরাটা চাই। এই কারণেই আমি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে এসেছি। কিন্তু ক্লাবের ভিতরে এমন কিছু জিনিস রয়েছে যা ম্যানসিটি, লিভারপুল এবং এমনকি এখন আর্সেনালের মতো পর্যায়ে পৌঁছাতে সহায়তা করে না...দারুণ এই ক্লাবটির আমার মতে সবার শীর্ষে থাকা উচিত, কিন্তু তারা দুর্ভাগ্যবশত সেখানে নেই।’
রোনালদোর স্পষ্ট বলে দিলেন ম্যানইউতে ফিরে প্রতারিত হয়েছেন তিনি, ‘ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড আমাকে জোর করে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল।
শুধু কোচই নয়, ক্লাবের আশেপাশে থাকা আরও দুই-তিনজন লোকও (সিনিয়র এক্সিকিউটিভ লেভেল)। মনে হচ্ছে আমি প্রতারণার শিকার হয়েছি। আমি এসব পাত্তা দেই না, তবে মানুষের সত্যটা শোনা উচিত। আমাকের কিছু লোক এখানে চায়নি, শুধু এ বছরই নয়, গত মৌসুমেও।’
এমএমএ/