সেই নেপালের কাছে জামাল ভূঁইয়ারা হারলেন ৩-১ গোলেই
একই ভেন্যু। একই প্রতিপক্ষ। ফলাফলও এক। শুধু খেলোয়াড় পরিবর্তন। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলেছিলেন বাংলাদেশ-নেপালের মেয়েরা। এবার ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচে দুই দেশের ছেলেরা।
কিন্তু সাবিনা-মারিয়া-সানজিদারা ৮ দিন আগে যে সুখের কাব্য লিখেছিলেন নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে, সেখানে জামালরা উপহার দিলেন দুঃখের রজনি। হেরেছেন একই ব্যবধানে ৩-১ গোলে। কি মধুর প্রতিশোধ। মেয়েদের হারের বদলা নিলেন নেপালের ছেলেরা। ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচে বাংলাদেশ আগের ম্যাচে কম্বোডিয়াকে তাদের মাঠে হারিয়েছিল ১-০ গোলে।
নেপালের কাঠমান্ডুর দশরথখ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে অঞ্জন বিস্তা হ্যাটিিট্রক করেন। বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র গোলটি পরিশোধ করেন সাজ্জাদ।
প্রথমার্ধেই নেপাল ৩-০ গোলে এগিয়ে ছিল। তবে ১৮ মিনিটে প্রথম গোল হজম করার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ ভালোই খেলছিল। বেশষ কয়েকটি সুযোগও তৈরি করেছিল। ১৬ মিনিটে বক্সের বাইরে ফ্রি কিকও পেয়েছিল। কিন্তু তা থেকে কোনোও ফায়দা নিতে পারেনি। জামাল ভুইয়ার ফ্রি কিক বার কাঁপিয়ে ফিরে।
এরপর বাংলাদেশের চাপ সামলে নেপাল আক্রমণ যায়। সেই সঙ্গে পেতে থাকে একের পর এক গোল। অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেন স্ট্রাইকার অঞ্জন বিস্তা। ১৮ মিনিটে বাংলাদেশের জালে প্রথম গোল প্রবেশ করায় নেপাল। বক্সের বাম প্রান্ত থেকে বিমলের ফ্রি কিক থেকে হেড করে তিনি গোলক্ষকক আনিসুল ইসলাম জিকোকে পরাজিত করেন অঞ্জন। ২৬ মিনিট করেন দ্বিতীয় গোল। পরিকল্পিত আক্রমণ থেকে তার নেয়া শট গোলরক্ষক জিতো সেভ করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। প্লেসিং শটে তিনি নিশানাভেদ করেন। হ্যাটট্রিক করেন ৩৭ মিনিটে। আকাশে ভেসে আসা ক্রস থেকে আবারো চমৎকার হেডে তিনি গোল করেন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। ৫৭ মিনিটে ডান দিক থেকে রকিবের ক্রসে সাজ্জাদ চমৎকার ডাইভিং হেডে একটি গোল পরিশোধ করেন। এ সময় নেপাল গোল দেয়ার চেয়ে গোল হজম না করার দিকে বেশি মনোনিবেশ করে। এই সুযোগে বাংলাদেশ একের পর এক আক্রমণ গড়ে নেপালের রক্ষণভাগকে ব্যতিব্যস্ত করে তুলে। সুযোগও আসতে থাকে। গোলের দেখা আর পাওয়া হয়ে উঠেনি। ৬৬ মিনিটে এই সাজ্জাদের ক্রস থেকে ইব্রাহিমের হেড পোস্টে সামান্য পাশ ঘেনে চলে যায়। পরের মিনিটে রকিবের ক্রস থেকে সাজ্জাদের হেডও পোস্ট শেষে চলে যায়। ৭৮ মিনিটে রাকিবের তীব্র শট বারের বাইরে দিয়ে চলে যায়।
অবশেষে দশরথের রঙ্গশালায় ৮ দিন আগে যেখানে মেয়েরা সুখ স্মৃতি জন্ম দিয়েছিলেন, সেখানে জামাল ভূঁইয়ারা দুঃখের কাব্য রজনি সৃষ্টি করেন।
এমপি/এমএমএ/