ভারতকে হারাল বাংলাদেশের যুবারা
ভারতের মাটিতে বিজয় কেতন উড়ালেন বাংলাদেশের যুবারা। সাফ অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবলে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতকে ২-১ গোলে পরাজিত করে আসরে দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ম্যাচে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠা পিয়াস আহমেদকে নোভাকে আটকাতে পারেনি ভারতের রক্ষণভাগ।
দুইটি গোলই এসেছে তার কাছ থেকে। ভারতের হয়ে একটি গোল পরিশোধ করেন গুরকিরাত সিং। দুই ম্যাচে দুই জয়ে ছয় পয়েন্ট নিয়ে পেয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি ফাইনালে যাওয়া পথে নিজেদের অনেক এগিয়ে রাখল। ভারতের ছিল প্রথম ম্যাচ। বাংলাদেশ তৃতীয় ম্যাচ খেলবে ২৯ জুলাই শুক্রবার মালদ্বীপের বিপক্ষে।
ভারতের সিনিয়র দলের সঙ্গে বাংলাদেশের সিনিয়র দল খুব কমই পেরে উঠে। কিন্তু বয়স ভিত্তিক ফুটবলে চিত্র ভিন্ন। সেখানে চলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। যদিও সর্বশেষ অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবলের ফাইনালে ভারতের কাছে ফাইনালে ১-০ গোলে হেরে রানার্সআপ হয়েছিল ২০১৯ সালে। এবার তার প্রতিশোধ নিলেন অনূর্ধ্ব-২০ দলের ফুটবলাররা। বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছিল ১-০ গোলে।
ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে যোগ্যতম দল হিসেবেই। জয়ের নায়ক নোভা দুই গোল করা ছাড়াও আরও বেশ কয়েকবার ভারতের রক্ষণে ভীতি ছড়িয়ে ছিলেন। যেখোনে তার অন্তত আরও একাধিক গোল পাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু চেষ্টার ত্রুটি না থাকলেও ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল না।
ভুবনেশ্বরের কালিঙ্গা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ২৯ মিনিটে প্রথম গোল করার আগে দুইটি সুযোগ তৈরি করেছিল। দুইটিই ছিল পিয়াস আহমেদ নোভার। আট মিনিটে অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে নোভা বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে জালে জড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বল পোষ্টে লেগে ফেরত এসে গোল বঞ্চিত করে। অথচ এভাবে যে তাকে গোল বঞ্চিত করবে তা নোভা হয়তো নিজেই ভাবেননি। বল গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে ঠেলে দিয়ে তিনি অপেক্ষায় ছিলেন গোল করার উ]সবের। সেখানে তাকে হতাশ হতে হয়। ১৭ মিনিটে ভারতের রক্ষনভাগ তছনছ করে নোভা গোলরক্ষককেও কাটিয়ে নিজে শট না নিয়ে গোলপোষ্টে বল বাড়িয়ে দেন। কিন্তু ভারতের রক্ষণের এক খেলোয়াড় এসে দলকে বিপদমুক্ত করেন।
বাংলাদেশে ২৯ মিনিটে এগিয়ে গিয়েছিল ভারতের রক্ষণের ভুলে। বাংলাদেশের গোলরক্ষক বক্সের সামনে বল বাড়িয়ে দিয়েছিলেন সতীর্থ একজনকে। তিনি বল ধরে নোভাকে উদ্দেশে করে লম্বা পাস দেন ভারতের সীমানায়। ভারতের রক্ষণের এক খেলোয়াড় চলতি বল ক্লিয়ার করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বল চলে যায় ভারতের আরও সীমনার ভেতর। ভারতের গোলরক্ষকসহ একাধিক খেলোয়াড় ছিলেন সেখানে।
কিন্তু জটলার মধ্যে নোভা বল ধরে একজন খেলোয়াড়কে কাটিয়ে ফাঁকা পোষ্টে বল জালে ঠেলে দেন ( ১-০)। কিন্তু এই গোল বাংলাদেশ দল খুব বেশি সময় ধরে রাখতে পারেনি। ৩৪ মিনিটে ভারত সমতা আনে। দলের একজন খেলোয়াড়ের কাছ থেকে বক্সের ভেতর ভেসে ক্রসে গুরকিরাত সিং লাফিয়ে উঠে চমৎকার হেড করে গোল করেন (১-১)। ভারতও বেশি সময় লিড ধরে রাখতে পারেনি। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে পেনাল্টি থেকে নোভা আবার গোল করে বাংলাদেশকে ২-১ গোলে এগিয়ে নেন। বক্সের ভেতর বল নিয়ন্ত্রণ নিতে গিয়ে নোভা নিজেই ফাউলের শিকার হলে রেফারি এই পেনাল্টি দিয়েছিলেন।
দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশ দল গোল ধরে রাখার মিশনে নামলে ভারত চাপ তৈরি করে খেলতে থাকে। সুযোগও আসতে থাকে। কিন্তু গোলের দেখা আর পাযনি।
এমপি/এমএমএ/