মোস্তাফিজ-তাসকিনদের বোলিং কোচ হচ্ছেন ডোনাল্ড
অ্যালান ডোনাল্ড
মোস্তাফিজ-তাসকিনদের বোলিং কোচ হতে যাচ্ছেন বিশ্বের অন্যতম সাবেক ফাস্ট বোলার দক্ষিণ আফ্রিকার লিজেন্ডারি অ্যালান ডোনাল্ড। ক্রিকেট বিশ্বে তিনি ‘সাদা বিদ্যুৎ’ নামে পরিচিত ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকেই ডোনাল্ড কাজ শুরু করবেন। তবে তাকে দীর্ঘ মেয়াদে পাবেন না মোস্তাফিজরা। ২০২২ সাল পর্যন্ত।
শুক্রবার (৪ মার্চ) ক্রিকেট অপরেশনস কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস ঢাকাপ্রকাশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আমরা তাকে বেছে নিয়েছি। তিনি ২০২২ সাল পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে কাজ করবেন। আশা করি তাকে পেয়ে আমাদের পেসাররা অনেক কিছু শিখতে পাররেন। নিজেদের উন্নতি করতে পারবেন।
ডোনাল্ডকে বেছে নেওয়ার পাশাপাশি বিসিবি কয়েকজন সাবেক অস্ট্রেলিয়ানদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিল। কিন্তু তারা সবাই বিভিন্ন জায়গায় কাজ করছেন। জালাল ইউনুস বলেন, ‘আমরা কয়েকজন অস্ট্রেলিয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। তারা কেউ ফ্রি নন।’
কাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল জানতে চাওয়া হলে জালাল ইউনুস তাদের নাম বলেননি। তিনি জানান ডোনাল্ড শুধুই জাতীয় দল নিয়ে কাজ করবেন।
ডোনাল্ডকে স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে উইন্ডিজের ওটিস গিবসনের জায়গায়। চলতি বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ড সফরের পর তার সঙ্গে বিসিবি আর চুক্তি বাড়ায়নি।
এক ভিডিও বার্তায় ডোনাল্ড বলেন, ‘আমার জন্য খুবই বিশেষ একটি দিন। আমি ঘোষণা করতে যাচ্ছি যে আমি বাংলাদেশ দলের সঙ্গে কাজ করতে যাচ্ছি দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে থেকে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত আমি থাকবো। রাসেল ডোমিঙ্গোর সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে। আমি তাকে খুব ভালোভাবে জানি। তিনি খুবই পরিশ্রম করছেন। আমি বাংলাদেশের ফাস্ট বোলাদের সঙ্গে কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি এখানে তাদের সঙ্গে আমার দেখা হবে।’
ডোনাল্ড বাংলাদেশের হয়ে কাজ শুরু করার আগে নিজ দেশ ছাড়াও ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড দলেও কাজ করেছেন।
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকা আবার ফিরে আসার পর থেকেই ডোনাল্ড ছিলেন দলে। ১৯৯১ সাল থেকে ২০০৩, প্রায় এক যুগ তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দাঁপিয়ে বেড়িয়েছেন। ১৯৯১ সালের ১০ নভেম্বর কলকাতায় ভারতের বিপক্ষে একদিনের ম্যাচ দিয়ে তার পথচলা শুরু। ১৯৯২ সালের ৪ এপ্রিল উইন্ডিজের বিপক্ষে ব্রিজটাউনে খেলেছিলেন প্রথম টেস্ট। শেষ একদিনের ম্যাচ খেলেছিলেন ২০০৩ সালে নিজে দেশে ইন্ট লন্ডনে কানাডার বিপক্ষে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে। আর শেষ টেস্ট ছিল ২০০২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি জোহানেসবার্গে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ৭২ টেস্ট খেলে তিনি উইকেট নিয়েছিলেন ৩৩০টি। ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিলেন ১৬৪টি। উইকেট ছিল ২৭২টি।
এমপি/আরএ/