রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বাংলাদেশের সামনে ‘ভয়ংকর’ আফগানিস্তান

 

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের সামনে আফগানিস্তান যেন এক বিভীষিকার নাম। মোটেই পেরে উঠে না। মুখোমুখি সাক্ষাতে মনে হবে আফগানিস্তানের সামনে বাংলাদেশ নবীন এক শিশু। কিন্তু বাস্তবে আফগানিস্তানই নবীন। কারণ তারা টেস্ট স্ট্যাটাস পেয়েছে মাত্রই ২০১৭ সালে, সেখানে বাংলাদেশের টেস্ট স্ট্যাটাস প্রাপ্তি সেই ২০০০ সালে। কালের বিবর্তনে বাংলাদেশ সেভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি, যতোটা পেরেছে আফগানরা। গোল-বারুদের শব্দে ঘুম ভাঙা দেশটি বাংলাদেশের বিপক্ষে একটিমাত্র তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে হোয়াইটওয়াশ করেছিল। এরপর আজ আবার শুরু হবে দুই ম্যাচের সিরিজ। বাংলাদেশের সামনে বদলা নেওয়ার পালা। সিরিজ জেতা ও হোয়াইটওয়াশ দুইটিই। এর অন্যতা হলে সিরিজ ড্র কিংবা উল্টো আবার বাংলাদেশ নিজেরাই হোয়াইটওয়াশ হবে!

অথচ এ আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ জয় দিয়েই শুরু করেছিল। ২০১৪ সালে মিরপুরে জিতেছিল ৯ উইকেটে। এরপর হার টানা চার ম্যাচে। তবে সুখের খবর সর্বশেষ দেখাতে আবার বাংলাদেশ জিতেছিল। আজকের ম্যাচে বাংলাদেশের এটাই হতে পারে মনোবল। কিন্তু ২০১৯ সালে পাওয়া এ জয় কী আসলেই বাংলাদেশের মনোবল বাড়াতে কোনো ভূমিকা রাখতে পারবে? কারণ বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অতীত যে ধুসর। হারে হারে বিধ্বস্ত। অন্ধকারে ঢাকা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে পাকিস্তানের বিপক্ষে হোম সিরিজ-টানা ৮ ম্যাচে হার। বাংলাদেশের ক্রিকেটে যায় যায় রব উঠেছিল এ আট হারেই। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চরম ব্যর্থতায়। সেই ব্যর্থতা কিছুটা ঢাকা পড়েছিল নিউ জিল্যান্ড সফরে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট জেতার পর। আড়ালে চলে যাওয়া বিসিবির কর্তারাও যেন হাফ ছেড়ে বাঁচেন। কিন্তু যে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ব্যর্থতা ছিল, সেই ব্যর্থতার জাল কী আজ মাহমুদউল্লাহ বাহিনী ছিন্ন করে বের হয়ে আসতে পারবেন?

সংবাদ সম্মেলনে দলনেতা মাহমুদউল্লাহ ব্যক্ত করেছেন জয়ের আশাবাদই। বলেছেন, ‘আশা তো অবশ্যই জেতার।’

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ব্যর্থতার পর বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা নিজেদের ঘষা-মাজা করে নিতে পেরেছেন বিপিএলে খেলে। কিন্তু বিপিএলে সেরা ব্যাটসম্যান তামিম ইকবালকেই পাওয়া যাচ্ছে না সিরিজে। কিছুটা অভিমানে আপাতত এ ফরম্যাট থেকে নিজেকে দূর সরিয়ে রেখেছেন ওয়ানডে কাপ্তান। কিন্তু তার না খেলাটাকে আবার মাহমুদউল্লাহ-তামিমের ব্যক্তিগত উল্লেখ করে সেই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানানোর কথা বলেছেন।

তামিম ইকবাল না থাকাতে বাংলাদেশের ব্যাটিং ঘাটতি থেকেই যাবে। শেষ যে ৮ ম্যাচে হেরেছে একমাত্র শ্রীলঙ্কা ছাড়া আর কোনো ম্যাচেই তারা আগে-পরে ব্যাট করে দেড়শ রানও করতে পারেনি। দুইটি ম্যাচে আছে শতরানের নিচে অলআউট হওয়া। পাকিস্তানের বিপক্ষে তিনটি ম্যাচে রান ছিল ১২৭, ১২৪, ১০৮। এ ৮ ম্যাচের মাত্র একটিতে বাংলাদেশ পরে আগে ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়েছিল।

এমনিতে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন ভঙুর। সেখানে আবার আছে রশিদ-নবী-মুজিব। এ স্পিন ত্রয়ীই বাংলাদেশের জন্য একটা আতঙ্কের নাম। ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে এ স্পিন ত্রয়ীকে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ভোঁতা বানাতে পেরেছিলেন। কিন্তু শেষ ম্যাচে তারা জানান দিয়েছেন ভোঁতা হয়ে যাননি। ক্ষেপণাস্ত্রের ভয়াবহতা ঠিকই আছে। বাংলাদেশ হেরেছে আসলে এ তিনজনের কাছেই। বিশেষ করে নবী-রশিদের ঘূর্ণিতে।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলা ৬ ম্যাচে আগে-পরে ব্যাট করে বাংলাদেশের দেড়শোর্ধ কোনো ইনিংস নেই। এ তিন বোলারের ১২ ওভারই তাই বাংলাদেশের জন্য ভীতি।

এ ভীতি কাটিয়ে উঠার জন্য শুরুর হালটা কে ধরবেন? গত আট ম্যাচে উদ্বোধনী জুটিতে বদল এসেছে চারবার। এক প্রান্তে নাঈম থাকলেও অপর প্রান্তে এসেছে বারবার পরিবর্তন। আজ সেই নাঈমের স্থানই নড়বড়ে। নাঈমের স্থান টিক থাকলেও পরিবর্তন আসবে, না থাকলে ডাবল পরিবর্তন। সর্বশেষ ম্যাচে উদ্বোধন করেছিলেন নাঈম-নাজমুল হোসেন শান্ত। আজ এক প্রান্ত থেকে লিটন দাস আবার ফিরে আসছেন। অপর প্রান্তে নাঈমের! জাতীয় দলের ব্যর্থতার মাঝেও নাঈমের ব্যাট হেসেছিল। কিন্তু সেখানে টি-টোয়েন্টি মেজাজ ছিল না। তবে তার জন্য ‘কাল’ হয়ে দেখা দিতে পারে বিপিএলের ‘চরম’ ব্যর্থতা। মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকার অধিনায়ক ছিলেন মাহমুদউল্লাহই। কিন্তু তিনি নিজেই নাঈমকে নিয়মিত খেলাননি। আবার খেলালেও কোনো কোনো ম্যাচে ওপেনই করাননি। নাঈম যদি আজ টিকে যান একমাত্র জাতীয় দলের সর্বশেষ পারফরম্যান্সের কারণেই। টিকলেও ওপেন করবেন কি না সেটাও দেখার বিষয়। কারণ এদিকে আবার বিপিএলে কাঁপানো মুনিমস শাহরিয়ার দরজায় কড়া নাড়ছেন সেরা একাদশে ঢোকার। তার সুযোগ পাওয়া মানেই ওপেন করা। ব্যাটিং অর্ডারে মাহমুদউল্লাহ ছাড়া অন্য নামগুলো হতে পারে আফিফ, শেখ মেহেদি, সাকিব, ইয়াসির আলী রাব্বিরা।

আজকের ম্যাচের উইকেটও থাকবে ওয়ানডের মতোই স্পোর্টিং। তাই একাদশে পেসারদের আধিক্যই থাকছে বেশি। মোস্তাফিজ-তাসকিনের সঙ্গে শরিফুলের সম্ভাবনাই বেশি। স্পিনে সাকিবের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি স্পেশিয়ালিস্ট নাসুম আহমেত থাকছেন।

এমপি/এসএন

 

Header Ad

দুই দিনের ব্যবধানে আবারও বাড়ল সোনার দাম

ছবি: সংগৃহীত

দুই দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে আবারও বেড়েছে সোনার দাম। ভরিতে এবার সর্বোচ্চ দুই হাজার ৮৩৩ টাকা বাড়িয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। দাম বাড়ানোর ফলে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হবে এক লাখ ৪২ হাজার ২৬৬ টাকা। যা আজ ছিল এক লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। রোববার (২৪ নভেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে। এর আগে গত ২১ নভেম্বর ভরিতে ১৯৯৪ টাকা বাড়া‌নো হয়েছিল।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা এক লাখ ৪২ হাজার ২৬৬ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮০৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ১৬ হাজার ৩৯৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ৯৫ হাজার ৬৪৫ টাকায় বিক্রি করা হবে।

সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত আছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ২১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ৫৮৬ টাকা।

এর আগে, গত ২১ নভেম্বর সোনার দাম বাড়য়েছিল বাজুস। যা ২২ নভেম্বর কার্যকর হয়, ওই দামে এই দুই দিন সোনা কেনাবেচা হয়েছে। সেই হি‌সে‌বে আজ‌কে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা সোনা এক লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

Header Ad

বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস

ফাইল ছবি

বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস। সরকারি সফরের অংশ হিসেবে ভারতীয় উপমহাদেশে আসার পরিকল্পনা করছেন তিনি। চলতি বছরের শুরুর দিকে শরীরে ক্যানসার শনাক্ত হওয়ার পর বিদেশ সফর থেকে বিরত রয়েছেন ব্রিটিশ এই রাজা। তবে কিছু দিনের মধ্যে তিনি বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান সফর করতে পারেন বলে দেশটির সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিররের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

শুক্রবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস ও তার স্ত্রী রানি ক্যামিলা অদূর ভবিষ্যতে ভারতীয় উপমহাদেশ সফরের পরিকল্পনা করছেন। রাজা তৃতীয় চার্লস ক্যানসার থেকে ধীরে ধীরে সেরে ওঠায় শিগগিরই এই সফরে বের হতে পারেন। ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটেনের রাজার সফরের পরিকল্পনাকে তার শারীরিক অবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নতির লক্ষণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ঠিক কবে নাগাদ ব্রিটিশ রাজা ও রানির এই সফর শুরু হতে পারেন, সেই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য জানায়নি ডেইলি মিরর।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর তৃতীয় চার্লস সব ধরনের সফর বাতিল করতে বাধ্য হন। তবে ভারতীয় উপমহাদেশের তিন দেশ—বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তান সফরের এই পরিকল্পনার মাধ্যমে পুনরায় তার সফর শুরু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্রেক্সিট পরবর্তী বিশ্বে তাৎপর্যপূর্ণ অর্থনৈতিক সংযোগ প্রতিষ্ঠা করতে চায় ব্রিটেন। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্রিটিশ রাজা ও রানির সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

দেশটির একটি সূত্র বলেছে, ‘‘রাজা এবং রানির জন্য এই ধরনের সফরের পরিকল্পনা করাটা অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক। ভারতীয় উপমহাদেশে তাদের একটি সফর শুরুর কথা রয়েছে; যা বিশ্ব মঞ্চে ব্রিটেনের জন্য রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে ব্যাপক তাৎপর্যপূর্ণ হবে। এই সময়ে ব্রিটেনের জন্য রাজা এবং রানিই জুতসই রাষ্ট্রদূত।’’

ডেইল মিরর বলছে, রাজ সফরের জন্য সম্ভাব্য আয়োজক দেশগুলোর সাথে আলোচনার করতে ব্রিটেনের পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তাদের সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তান সফরের খসড়া তৈরি করা হচ্ছে। গত বছর ভারত সফর বাতিল করার পর রাজা ও রানিকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে দেশটিতে ব্রিটিশ রাজা ও রানির সফর নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। গত মাসে ব্রিকসের শীর্ষ সম্মেলনে সাক্ষাৎ করেছিলেন এই দুই রাষ্ট্রনেতা। এছাড়া গত মঙ্গলবার ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার ‘‘কৌশলগত অংশীদারত্বে’’ স্বাগত জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। যদিও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইউক্রেন যুদ্ধ ‘‘শান্তিপূর্ণভাবে শেষ’’ হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছিলেন।

২০০৬ সালে ক্যামিলাকে সঙ্গে নিয়ে ওয়েলসের যুবরাজ হিসেবে এক সপ্তাহের জন্য পাকিস্তান সফর করেছিলেন চার্লস। সেই সময় শুভাকাঙ্ক্ষীদের উদ্দেশে তিনি বলেছিলেন, ‘‘আপনাদের কাছে পৌঁছাতে আমার প্রায় ৫৮ বছর লেগেছে। তবে এটা যে চেষ্টা করার অভাবে নয়, তা আমি বলতে পারি।’’

Header Ad

নির্বাচনের ফাঁকা মাঠ ভেবে খুশি হচ্ছেন, সাবধান হন : তারেক রহমান

ছবি: সংগৃহীত

যেসব নেতাকর্মী সামনে নির্বাচনের ফাঁকা মাঠ ভেবে খুশি হচ্ছেন। তারা সাবধান হন। সামনে ভয়ংকর অন্ধকার দেয়াল আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেল পাঁচটায় রাজশাহী জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠানটি ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক বিভাগীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলার বিষয়ে আইনজীবীর প্রশ্নের উত্তরে তারেক রহমান বলেন, স্বৈরাচার পড়ে গেছে, পালিয়ে গেছে। তারা তো বসে নাই, তারা ষড়যন্ত্র করছে। যদি তাদের ষড়যন্ত্র সফল হয়- মামলা তো উঠবেই না বরং নেতাকর্মীদের নামে জ্যামিতিক হারে ২০টা মামলা হয়ে যাবে। সেই সম্ভাবনাও আছে। সেই সম্ভাবনাকে যদি নস্যাৎ করে দিতে হয়, তাহলে আজকে থেকে আপনাদের প্রত্যেকেই সতর্ক হতে হবে।

তিনি বলেন, আপনাদের একটাই টার্গেট হতে হবে। জনগণ, জনগণ অ্যান্ড জনগণ। এর বাইরে যদি কিছু চিন্তা করেন। তাহলে পতিত স্বৈরাচার সফল হবে। তারা সফল হলে আইনজীবী সহকর্মীর বক্তব্য অনুযায়ী মামলা আপনাদের মিটবে না। বরং মাথার ওপরে আরও ১০টি, ২০টি মামলা চেপে বসবে। আপনাদের নিজেকে যদি বাঁচাতে হয় তাহলে উপায় একটাই- জনগণের আস্থা অর্জন করেন। আপনার পরিবার-পরিজনকে রক্ষা করতে হলে উপায় একটাই জনগণের আস্থা আর্জন করেন।

তিনি বলেন, ফারাক্কা বাঁধের বিষয়ে আমাদের একটি ধারণা আছে। এটি একটি আন্তর্জাতিক বিষয়। বিএনপির বাইরে অন্য সরকার যখন ক্ষমতায় এসেছে, তারা যথাযথভাবে এটা দেখেনি। পতিত স্বৈরাচার সরকার প্রতিবেশী দেশকে খুশি করার জন্য ইচ্ছা করেই করেনি। আমরা সময়মতো অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কাজ করবো। আমাদের ন্যায্য হিস্যা আদায়ের জন্য প্রয়োজনে দেশের স্বার্থে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের নিয়েই কাজ করবো।

তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে পাঁচ বছরে পাঁচ কোটি বৃক্ষরোপণের ইচ্ছে আছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রের পানি বাড়ছে। গবেষণায় উঠে আসছে বাংলাদেশের অনেকাংশ, অর্ধেক বা তার কম অংশ ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। এই দেশের মানুষকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। খালেদা জিয়া সরকারের সময় আমরা বৃক্ষমেলা করতাম। আমাদের যেভাবেই হোক, এই কর্মসূচি আবার শুরু করতে হবে। সবাইকে উৎসাহ দিতে হবে বৃক্ষরোপণের জন্য। গাছ প্রকৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ব্যক্তিগতভাবে আমার একটা পরিকল্পনা আছে। আগামী দিনে আমরা সুযোগ পেলে পাঁচ বছরে আমরা পাঁচ কোটি বৃক্ষরোপণ করব।

এর আগে সকাল ১০টায় প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়। এসময় বক্তব্য দেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ, চেয়ারপারসনের বিদেশ বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ড. মাহাদী আমিন।

কর্মশালায় আলোচনা করেন, বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রাশিদা বেগম হীরা ও কৃষকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা হাবিব। সভাপতিত্ব করেন, বিএনপির রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত।

বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটির সদস্য সচিব এবিএম মোশাররফ হোসেনের সঞ্চালনায় কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় নেতা ওবায়দুর রহমান চন্দন, আমিরুল ইসলাম আলীম প্রমুখ।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দুই দিনের ব্যবধানে আবারও বাড়ল সোনার দাম
বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস
নির্বাচনের ফাঁকা মাঠ ভেবে খুশি হচ্ছেন, সাবধান হন : তারেক রহমান
গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী