ওগবাহর হ্যাটট্রিকে বড় জয় সাইফ স্পোর্টিংয়ের
জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভুইয়া খেলে থাকেন সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবে। জাতীয় দলের অধিনায়কের দল বলে কথা। তাই শুরুটাও হলো সে রকম। প্রথম দুই ম্যাচেই জয়। কিন্তু এরপরই ছন্দপতন। রেফারিং বিতর্কে হেরে যায় পরের ম্যাচে। সেই হার তরান্বিত হয় পরের ম্যাচেও। শিরোপা প্রত্যাশী দলের জন্য এই এক বিরাট ধাক্কা। পঞ্চম ম্যাচে গিয়ে আবার পয়েন্টের দেখা পায়। তাও আবার ড্র করে। অবশেষে ষষ্ট ম্যাচে এসে সাইফ স্পোর্টিং ফিরেছে আবার চেনা রূপে। যে স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ নিজেদের প্রথম ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল, সেই স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘকেই ৫-১ গোলের বড় ব্যবধানে ওগবাহর হ্যাটট্রিকে উড়িয়ে দিয়েছে সাইফ স্পোর্টিং। অপর দুইটি গোল করেন এমেরি বাইসেঙ্গে ও আসরোর গাফরুভ। স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘের পক্ষে গোলটি করেন নদ্রিবেক মাভলোনোভ। এদিকে এই জয়ে সাইফ স্পোর্টিং ৬ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের পাঁচে। সমান ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘের অবস্থান দশে।
মঙ্গলবার (১ মার্চ) রাজশাহী মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্টেডিয়ামে একচেটিয়া দাপট দেখিয়ে বড় জয় তুলে নেয় সাইফ স্পোর্টিং। ১৫মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় তারা। অধিনায়ক জামাল ভুইয়ার ফ্রি কিক থেকে দলের এক খেলোয়াড়ের মাথা ছুঁয়ে আসা বল এমেরি বাইসেঙ্গে আবার হেড করে গোল করেন। ১৯ মিনিটে গোল পরিশোধের সহজ সুযোগ নষ্ট করে স্বাধীনাতা ক্রীড়া সংঘ। নেদো তুর্কোভিচের সঙ্গে জয়নাল আবেদিন দিপু বল আদান-প্রদান করে নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে সরাসরি গোলরক্ষকের হাতে মেরে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। ৩৫ মিনিটে ওগবাহ তার হ্যাট্রিটকের প্রথম গোল করেন। ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে একাধিক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে কোনাকুনি শটে গোল করেন। প্রথমার্ধে সাইফ স্পোর্টিং ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হলে ৪৭ মিনিটে আসরোর গভুরভের গোলে ব্যবধান ৩-০ করে সাইফ স্পোর্টিং। ২ মিনিট পর নদ্রিবেক মাভলোনোভের ফ্রি কিকে সরাসরি জালে বল প্রবেশ করলে ব্যবধান কমে আসে ৩-১ এ। এরপর সাইফের ওগবাহর হ্যাটট্রিকের পালা। ৭০ থেকে ৭৯- এই ৯ মিনিটের ব্যবধানে তিনি দুই গোল করে লিগে তৃতীয় হ্যাটট্রিক করেন। আগের দুইটি হ্যাটট্রিকও করেছিলেন দুই বিদেশি। প্রথমে আবাহনীর ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড দোরিয়েলতন রদ্রিগেজ এরপর দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক করেন চট্টগ্রাম আবাহনীর পিটার থ্যাঙ্কগড।
এমপি/এসআইএইচ