বগুড়া যেন বিদেশ!

বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ টাইগার্সের অনুশীলনে দেখে মনে হবেই না এটি নিজেদের মাঝে এমনিতেই অনুশীলন। মনে হবে প্রতিপক্ষের বিপক্ষে মাঠে নামার জন্য জোর অনুশীলন করছেন ক্রিকেটাররা।
বলা যায় ছায়া জাতীয় দলের যেন ছায়া অনুশীলনই। পেসার সৈয়দ খালেদ আহমেদের কথায় ফুটে উঠেছে সে রকমই অভিব্যক্তি।
তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, সুযোগ-সুবিধা খুবই ভালো। বিসিবি অনেক সুন্দরভাবে আমাদের সবকিছু ব্যবস্থা করে দিয়েছে। সত্যি বলতে উইকেটগুলো অনেক ভালো। এখানে বোলিং করেও মজা পাচ্ছি, সঙ্গে ব্যাটসম্যানরাও মজা পাচ্ছে। অনেকটা বাইরের দেশের মতো উইকেট।’
তিনি আরও বলেন, ‘উইকেটে ভালো পেস, বাউন্স পাচ্ছি। সামনে যেহেতু দক্ষিণ আফ্রিকা সফর সেখানে বাউন্সি উইকেট থাকবে। এখানে যে কদিনই সময় পাই লেন্থটা যদি উন্নতি করতে পারি তাহলে ওখানেও ভালো হবে।’
২৬ তারিখ শুরু হয়েছে ২৩ জন ক্রিকেটারকে নিয়ে এই অনুশীলন। চলবে ৭ মার্চ পর্যন্ত। দ্বিতীয় দিনের অনুশীলন করেন ক্রিকেটার। নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে খালেদ বলেন,‘সতীর্থরাও বেশ উপভোগ করছে অনুশীলন। যার যেখানে দুর্বলতা সেসব নিয়ে কোচদের সঙ্গে কথা বলতেছে। এখানে পরবর্তীতেও যারা অনুশীলন করতে আসবে তাদের জন্যও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ভালো করার এটা দারুণ সুযোগ।’
এই ক্যাম্প না থাকলে খালেদের মতো যারা শুধুই টেস্ট দলের জন্য বিবেচিত হয়ে থাকেন, তাদেরকে অলস সময় কাটাতে হতো। সুযোগ পেয়ে সবাই ক্লাসের মনযোগি ছাত্র।
তিনি বলেন, ‘সবাই মনোযোগ দিয়ে অনুশীলন করছে। যার যেখানে ভুল আছে তা নিয়ে কোচদের সঙ্গে সারাক্ষণ কথা বলছে। আমাদের জন্য খুবই ভালো হয়েছে। বিসিবিকে অনেক ধন্যবাদ। আমরা সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছি।’
সামনে যেহেতু দক্ষিণ আফ্রিকা সফর। ক্যাম্পের অধিকাংশই টেস্ট দলের। খালেদও তাই নিজের লাইন-লেন্থ নিয়ে কাজ করছেন।
তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি অনুশীলনে লাইন ও লেন্থ নিয়ে কাজ করছি। কীভাবে লেন্থ উন্নতি করতে পারি এ নিয়ে কোচের সঙ্গে সারাক্ষণ কথা চলছে। অ্যাকুরেসিও বাড়ানোর চেষ্টা করছি।’
এমপি/এমএমএ/
