সাকিব ভালো বোলার না হলে বাদ পড়ে যেত: সিডন্স

জেমি সিডন্স। বাংলাদেশের ক্রিকেটে অতি পরিচিত এক নাম। ২০০৭ সালে উইন্ডিজ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের পর বাংলাদেশ জাতীয় দলের দায়িত্ব নেয়ার পর ২০১১ সালে ঘরের মাঠে প্রথমবারের ( ভারত-শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে) মতো অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের ভরাডুবি ঘটে। এরপরই তার বিদায় ঘণ্টা বাজে। এরপর আবার বাংলাদেশে এসেছেন ১০ বছর পর। প্রথমে এসেছিলেন ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে। কিন্তু ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স পদত্যাগ করলে বিসিবি তাকেই দেয় ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে তিনি কাজ শুরু করেছেন। এর মাঝে বাংলাদেশ প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে। দুইটি ম্যাচই বাংলাদেশের ব্যাটিং ছিল প্রশংসনীয়। প্রথম ম্যাচে ৪৫ রানে ৬ উইকেট হারানোর পরও আফগানিস্তানের ২১৫ রান বাংলাদেশ পাড়ি দেয় আর কোনো উইকটে না হারিয়েই। পরের ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ৩০৬ রান করে ম্যাচ জিতেছিল ৮৮ রানে। আজ শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। বর্তমান দল নিয়ে যেমন কথা বলেছেন, তেমনি ছিল আগামীর কথাও।
আজকের দলের মূল স্তম্ভ তামিম-সাকিব-রিয়াদ-মুশফিকরা তারই হাতে গড়া। এই চার ক্রিকেটার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথ চলা শুরুর পথে পেয়েছিলেন জেমির একান্ত সান্নিধ্য। জেমিও তাদের ঘষে-মেঝে গড়ে তুলেছেন। চারজনই বিশ্ব ক্রিকেটের তারকা মুখ। এদের মতো করেই জিমি আজকের তরুণদের গড়ে তুলতে চান। যাতে করে তারা সাকিব-তামিমদের চেয়েও বড় মাপের ক্রিকেটার হয়ে উঠতে পারে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের এই দলে আমরা কিছু সম্ভাব্য সুপারস্টার পেয়েছি। তাদের যথাযথভাবে গড়ে উঠার জন্য আমরা সময় দিয়ে কাজ করব। আমাদের উচিত হবে তাদের ওপর চাপ কমিয়ে আরও সুযোগ করে দেওয়া। তাঁতে নতুন সাকিব-তামিম তৈরি হবে।’
জেমি সিডন্স জানান, সাকিব বোলার হিসেবে ভালো না করতে পারলে অনেক আগেই দল থেকে বাদ পড়ত।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে যে তামিম, সাকিব, মুশফিক এবং রিয়াদ সবাই যখন শুরু করেছিল তখন তাঁরা অধারাবাহিক ছিল। আমরা তাঁদের ক্যারিয়ারের যেকোনো পর্যায়ে বাদ দিতে পারতাম। সাকিব যদি ভালো বোলার না হতো তাহলে ব্যাটসম্যান হিসেবে বাদ পড়ে যেতে পারত। তবে সে নিজেকে গুছিয়ে নিয়েছে, কারণ ব্যাটসম্যান হিসেবে তার সামর্থ্য ছিল।’
বাংলাদেশ দলে এমন কিছু প্রতিভাবান ক্রিকেটার আছেন যাদের বারবার সুযোগ দেওয়ার পরও নিজেদের সেভাবে প্রমাণ করতে পারছেন না। কেউ বাদ পড়ছেন, কেউ বা আছেন আসা-যাওযার মাঝে। তিনি তাদের পরখ করে নিতে চান। গড়ে তুলার জন্য চেষ্টা করতে চান সিডন্স।
জেমি সিডন্স বলেন, এরই মধ্যে আমার ওপর থেকে চাপটা সরে গেছে। তাদের এখনই বড় ম্যাচে পারফর্ম করার মতো সামর্থ্য আছে। লিটনের মতো ক্রিকেটাররা টেস্ট ম্যাচে করে দেখিয়েছে। আমার মনে হচ্ছে, আমি তাকে ছোট ছোট বিষয়ে সাহায্য করতে পারি। বিশ্বের সব বোলারের বিপক্ষে সেটা হোক অনেক গতিময় পেসার কিংবা অসাধারণ কোনো স্পিনার, তাদের বিপক্ষে ভালো করার জন্য তার যে শেষ কাজটা প্রয়োজন তা করতে কিছুটা সময় দেওয়া। তামিম এবং অন্যরা দারুণ একটা পর্যায়ে চলে গেছে। আমরা এখন চাই তরুণরা যেনো আরও সামনে যেতে পারে।’
এমপি/এসআইএইচ
