বগুড়ায় সহসাই ফিরছে না আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট!

বাংলাদেশে একটি করে নতুন আর্ন্তজার্তিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের যাত্রা শুরু হয়, আর পুরানো একটি করে যাদুঘরে চলে যায়। ইতিমধ্যে দেশের প্রথম আর্ন্তজাতিক ভেন্যু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম। যেটিতে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ টেস্ট স্ট্যাটাস পেয়েছিল, খেলেছিল অভিষেক টেস্ট, সেই স্টেডিয়ামে এখন আর কোনো ক্রিকেট ম্যাচই হয় না। একই অবস্থা শুরুর আরেক ভেন্যু চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়াম। এই স্টেডিয়ামে ২০০৫ সালে বাংলাদেশ জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে পেয়েছিল প্রথম টেস্ট জয়। সেই আজিজ স্টেডিয়ামেও এখন ক্রিকেটের জন্য যাদুঘর হয়েছে। একই পরিণতি বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামেরও। ২০০৬ সালে যাত্রা শুরু করে সেই বছরই শেষ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর থেকে নির্বাসিত।
বগুড়া স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচ খেলে ২০০৬ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। হার দিয়ে শুরু করলেও পরে খেলা চারটি ম্যাচেই বাংলাদেশ জিতেছিল। সর্বশেষ ম্যাচ খেলছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫ ডিসেম্বর। এ ছাড়া একটি টেস্টও খেলেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ৮ মার্চ শুরু হয়ে চার দিনেই শেষ হয়েছিল টেস্ট। বাংলাদেশ হেরেছিল ১০ উেইকেটে। এরপর শুধু আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটই নির্বাসিত হয়নি। ঘরোয়া ক্রিকেটও অপায়ংক্তেয় হয়ে উঠে। মাঝে মাঝে অবশ্য কিছু খেলা হয়েছে অনেক বড় বিরতি দিয়ে। তবে ইদানিং কিছু খেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
বিসিবি আবার ধীরে ধীরে এই স্টেডিয়ামে কার্যক্রম শুরু করেছে। এবারের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ক্যাম্প হয়েছিল বগুড়াতে। এবার জাতীয় দলের ‘ছায়া’ দল বাংলাদেশ টাইগার্সেরও প্রথম অনুশীলন শুরু হয়েছে বগুড়াতেই। আজ কার্যক্রম শুরুর দিন উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ টাইগার্সের চেয়ারম্যান কাজী ইনাম ও বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন। বগুড়া স্টেডিয়ামে আর্ন্তজাতিক ম্যাচ ফেরা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় তাকে। জবাবে তিনি ম্যাচ ফেরা নিয়ে কিছু সীমাবদ্ধতার কথা জানান। যার সারমর্ম দাঁড়ায় সহসাই ম্যাচ ফেরার কোনো সম্ভাবনা নেই বগুড়াাতে। নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট করতে হলে আইসিসির একটা নিয়ম, কিছু নীতি আছে ‘ তিনি আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, লজিস্টিক সুযোগ সুবিধা, হোটেল, বিমানবন্দর এবং আনুষঙ্গিক কিছু সুযোগ সুবিধার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আর বিপিএল অলমোস্ট সেইম এটা একটু চ্যালেঞ্জিং। সেদিক বিবেচনায় একটু সময় তো লাগবে।’
বগুড়া স্টেডিয়ামে শুধুই ক্রিকেটের জন্য বরাদ্দ হলেও এর দেখ-ভালো কিন্তু আবার বিসিবির নিয়ন্ত্রণে নেই। এটি দেখা-শুনা করে থাকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। এখানেও নিজেদের সীমাবদ্ধতা কথা তুলে ধরেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী। তিনি বলেন, ‘স্টেডিয়াম কিন্তু জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের আন্ডারে। সেখানে আমাদের কিছু লিমিটিশন রয়েছে।’ বাংলাদেশ টাইগার্সের অনুশীলন করার জন্য যে কাজগুলো না করলেই নয়, শুধু মাত্র সেরকম কিছু কাজ তারা বিসিবির পক্ষ থেকে করেছেন জানিয়ে বলেন, ‘এখানে যে কাজগুলো ইমিডিয়েট করার দরকার ছিল, আমাদের প্রোগ্রামটা রান করার জন্য আমরা সেগুলোই করেছি। পর্যাক্রমে আমরা মন্ত্রণালয় বা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সাথে কথা বলে অন্যান্য বিষয়গুলোকে যতটুকু করা সম্ভব হয় আমরা করবো।’
এমপি
